ওয়াভেল পরিকল্পনা, সিমলা বৈঠক ও ব্রিটিশ মন্ত্রী মিশন | Wavell Plan and Shimla Meeting and British Ministerial Mission




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Wavell Plan and Shimla Meeting and British Ministerial Mission. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে ওয়াভেল পরিকল্পনা, সিমলা বৈঠক ও ব্রিটিশ মন্ত্রী মিশন | Wavell Plan and Shimla Meeting and British Ministerial Mission

Ajjkal



ওয়াভেল পরিকল্পনা, সিমলা বৈঠক ও ব্রিটিশ মন্ত্রী মিশন | Wavell Plan and Shimla Meeting and British Ministerial Mission

ওয়াভেল পরিকল্পনা (সিমলা সম্মেলন, জুন ১৯৪৫) : অশান্ত ভারতের সমস্যা সমাধানের জন্য বড়লাট লর্ড আর্কিবন্ড ওয়াভেল এক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। ‘ওয়াভেল পরিকল্পনা’ নামে পরিচিত এই পরিকল্পনার মূল ধারাগুলি ছিল :



(ক) ভারতের নতুন সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।

(খ) বড়োলাটের কার্যনির্বাহক পরিষদে বর্ণহিন্দু ও মুসলমান সদস্যদের সংখ্যা সমান করা হবে।

(গ) একমাত্র বড়োলাট ও প্রধান সেনাপতি ছাড়া পরিষদের আর সব সদস্যই ভারতীয় হবেন এবং যতদিন ভারতের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব ব্রিটিশ সরকারের হাতে থাকবে, ততদিন সামরিক দপ্তরের যাবতীয় ভার ব্রিটিশদের হাতেই থাকবে।




সিমলা বৈঠক (জুন ১৯৪৫) : ওয়াভেল প্রস্তাব নিয়ে আলাপ আলোচনার জন্য ১৯৪৫ সালের জুন মাসে সিমলায় একটি সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করা হয়। এই বৈঠকে জিন্না দুটি শর্ত আরোপ করেন, যেমন :

(ক) বড়োলাটের পরিষদের সব মুসলিম সদস্য মুসলিম লীগ থেকেই নিতে হবে, এবং

(খ) পাকিস্তান প্রস্তাব কার্যকর করা এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষার জন্য বড়লাট প্রয়োজনে ‘ভেটো’ দিতে পারবেন। কিন্তু জিন্নার এই প্রস্তাব কংগ্রেস এবং শিখ ও হরিজন সম্প্রদায় সমর্থন না করায় সিমলা বৈঠক ব্যর্থ হয়ে যায়।

ব্রিটিশ মন্ত্রী মিশন : দেশব্যাপী অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এট্‌লী ভারতে একটি ‘মন্ত্রী মিশন’পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিলেন। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার তিনজন বিশিষ্ট সদস্য স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রীপস, এ.ভি.আলেকজান্ডার ও ভারত সচিব স্যার পেথিক-লরেন্স ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ভারতে আসেন। এই মিশনের প্রধান প্রধান সুপারিশগুলি ছিল :

(১) ভারতে একটি যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হবে। দেশীয় রাজ্যগুলি পরে এই যুক্তরাষ্ট্রে যোগ দিতে পারবে।

(২) কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকারগুলির মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হবে।

(৩) ভারতের অঙ্গ রাজ্যগুলিকে মোট তিনটি শ্রেণিতে চিহ্নিত করা হবে, যেমন : (ক) হিন্দু-প্রধান রাজ্যসমূহ (খ) মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ (গ) বাংলা ও অসম। এই তিনটি শ্রেণিতে গোষ্ঠীবদ্ধ প্রদেশগুলির নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে ভারতের সংবিধান রচনার জন্য একটি গণ-পরিষদ গঠিত হবে।

(৪) নতুন সংবিধান অনুসারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর ইচ্ছে করলে কোনো প্রদেশ ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে পারবে।

(৫) যতদিন না নতুন সংবিধান রচিত হচ্ছে, ততদিন একটি অন্তর্বর্তী জাতীয় সরকার গঠিত হবে।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।