হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনা | Urban Planning of Harappan Civilization

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ এসেছি Urban Planning of Harappan Civilization. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনা | Urban Planning of Harappan Civilization

Ajjkal

হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনা | Urban Planning of Harappan Civilization

■ হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনা :

● (১) প্রধান নগর পরিকল্পনা : হরপ্পা সভ্যতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল যে, এটি ছিল এক অতি উন্নত নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। মহেঞ্জোদাড়ো, হরপ্পা, কালিবানগান ও লোথাল এইসব নগরগুলি ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। প্রধান দুটি নগরের পরিকল্পনা প্রায় একই ধরনের ছিল। নগর পরিকল্পনার দুটি প্রধান দিক হল যে, প্রত্যেকটি নগর দুর্গ দ্বারা বেষ্টিত ছিল। উঁচু ঢিপির ওপর দুর্গ নির্মাণ করা হত। শাসকশ্রেণির লোকেরা দুর্গের অভ্যন্তরে বসবাস করতেন আর নগর দুর্গের নীচে অবস্থিত উপনগরীতে ছিল সাধারণ মানুষের বসবাস।

● (২) রাস্তাঘাট : দুর্গের নীচে প্রায় দেড় কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে প্রকৃত শহর বিস্তৃত ছিল। প্রতিটি শহর তার চারদিকের প্রশস্ত রাজপথ দ্বারা কয়েকটি অংশে বিভক্ত ছিল। ৩ মিটার থেকে ১০ মিটার চওড়া এইসব রাজপথগুলো উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিমে সমান্তরালভাবে বিস্তৃত ছিল। গলিপথগুলি ছিল বড়ো রাস্তার সঙ্গে সংযুক্ত।

● (৩) বসতবাড়ি : গলিগুলির দু’পাশে বসতবাড়ির অবস্থান ছিল। মহেঞ্জোদাড়ো ও হরপ্পা এই দুটি নগরের কোনোটিতেই পাথরের তৈরি বাড়ির নিদর্শন পাওয়া যায়নি। বাড়িগুলির অধিকাংশই পোড়া ইঁট দিয়ে তৈরি হত। প্রতিটি বাড়িতে খোলা উঠোন, স্নানঘর, কুয়ো, সিঁড়ি ও নর্দমার ব্যবস্থা ছিল। সাধারণত এই সমস্ত বাড়িগুলি প্রাচীর দিয়ে ঘেরা থাকতো।

● (৪) পয়ঃপ্রণালী ও জল নিকাশী ব্যবস্থা : হরপ্পা সভ্যতার নগরগুলোতে বাড়ির ভেতর থেকে জল নিকাশের জন্য নর্দমা থাকত। এই নর্দমাগুলো সদর রাস্তার বাঁধানো বড়ো নর্দমার সঙ্গে যুক্ত থাকত। এই সভ্যতার জলনিকাশী ব্যবস্থা ছিল সত্যিই চমকপ্রদ। এই জন্য ঐতিহাসিক ব্যাসাম যথার্থই বলেছেন যে, বিশ্বের আর কোনও দেশে এইরকম জল নিকাশী ব্যবস্থার নিদর্শন পাওয়া যায়নি। হরপ্পা সভ্যতার শহরগুলোকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ডাস্টবিন ও ম্যানহোল ব্যবস্থার প্রচলন ছিল। স্বভাবতই এ থেকে উপলব্ধি করা যায় যে, সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীরা স্বাস্থ্য সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন।

● (৫) স্নানাগার ও শস্যাগার : নির্মাণ শৈলীর দিক থেকে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মহেঞ্জোদাড়োর স্নানাগার ও হরপ্পার শস্যাগার। মহেঞ্জোদাড়োর বিশালাকার স্নানাগারটির আয়তন ছিল ১৮০x১০৮ ফুট, স্নানাগারের অভ্যন্তরে অবস্থিত জলাশয়ের আয়তন ছিল দৈর্ঘ্যে ৩৯ ফুট, প্রস্থে ২৩ ফুট এবং গভীরতায় ৮ ফুট। হরপ্পায় যে শস্যাগারের নিদর্শন পাওয়া গেছে তার আয়তন ছিল দৈর্ঘ্যে ১৬৯ ফুট ও প্রস্থে ১৩৫ ফুট। অধ্যাপক ব্যাসাম হরপ্পার শস্যাগারটিকে‘ রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। অধ্যাপক হুইলারের মতে, ‘খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর আগে পৃথিবীর আর কোথাও এই ধরনের শস্যাগার ছিল না।

● (৬) কেন্দ্রীয় শাসকগোষ্ঠীর অস্তিত্ব : সিন্ধু সভ্যতার বিভিন্ন নিদর্শন ও উন্নত নগর পরিকল্পনা থেকে বলা যেতে পারে যে, নগরগুলিতে কড়া পৌরশাসন ছিল। হরপ্পার অতি উন্নত নগর পরিকল্পনা লক্ষ করে অনেক ঐতিহাসিক হরপ্পার নগরগুলোতে কোনও কেন্দ্রীভূত স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করেন। তবে এই শাসনব্যবস্থা রাজতান্ত্রিক না গণতান্ত্রিক ছিল সে বিষয়ে বিতর্ক আছে। প্রসঙ্গত অধ্যাপক এ.এল.ব্যাসাম এই সভ্যতার রক্ষণশীল চরিত্রের কথা উল্লেখ করেছেন।

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।