সুভাষচন্দ্র বসু ও আজাদ হিন্দ বাহিনীর অবদান | Subhash Chandra Bose and Azad Hind Army

সুভাষচন্দ্র বসু ও আজাদ হিন্দ বাহিনীর অবদান | Subhash Chandra Bose and Azad Hind Army

■ প্রশ্ন:- সুভাষচন্দ্র বসু কীভাবে নেতাজি হলেন? আজাদ হিন্দ বাহিনীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। আজাদ হিন্দ সরকার সম্বন্ধে কী জানো? (Subhash Chandra Bose and Azad Hind Army).

উত্তর:- নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জাপানে পৌঁছোনোর পর জাপানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২ রা জুলাই সিঙ্গাপুরে আসেন। সেখানে তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানানো হয় ও আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্ব তাঁকে নিতে রাসবিহারী বসু অনুরোধ করেন। তখন আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈন্যরা সুভাষকে ‘নেতাজি ’ উপাধিতে ভূষিত করে।

আজাদ হিন্দ বাহিনী:- ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ শে আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদ হিন্দ বাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণ করে নেতাজি সৈন্যদলকে সংগঠিত করতে আত্মনিয়োগ করেন।

সৈন্যসংখ্যা:- সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার করা হয় যার মধ্যে ২০ হাজার ছিল স্থায়ী সেনা।

ব্রিগেড:- তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজকে কয়েকটি ব্রিগেডে ভাগ করেন। এগুলি হল গান্ধি ব্রিগেড, আজাদ ব্রিগেড, নেহরু ব্রিগেড, বাছাই করা সেনা নিয়ে সুভাষ ব্রিগেড, নারীবাহিনী নিয়ে ঝাঁসির রানি ব্রিগেড এবং বালক-বালিকাদের নিয়ে বাল-সেনাদল।

সৈন্যাধ্যক্ষ:- বিভিন্ন ব্রিগেডের সৈন্যাধ্যক্ষদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জি.এস.ধীলন, শাহনওয়াজ খান, পি.কে.সাইগল, লক্ষ্মী স্বামীনাথন প্রমুখ।

■ আজাদ হিন্দ সরকার:- নেতাজি ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২১ শে অক্টোবর সিঙ্গাপুরে ‘আজাদ হিন্দ সরকার’ নামে একটি অস্থায়ী স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। শীঘ্রই জার্মানি, জাপান, থাইল্যান্ড, ইতালিসহ ৯ টি দেশ এই সরকারকে স্বীকৃতি জানাল। এই সরকারের মন্ত্রীসভা ছিল নিম্নরূপ —

● সুভাষচন্দ্র বসু – প্রধানমন্ত্রী, যুদ্ধ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী।

● রাসবিহারী বসু — প্রধান উপদেষ্টা।

● এ.এম.সহায় — সচিব।

● এ.সি.চট্টোপাধ্যায় — অর্থ বিভাগ।

● এস.এ.আয়ার – সম্প্রচার বিভাগ।

আজাদ হিন্দ সরকারের ভাষা ছিল হিন্দুস্থানি ও জাতীয় সংগীত ছিল জনগণমন ……। এই সরকারের জাতীয় পতাকা ছিল কংগ্রেসের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা যা উত্তোলন করে নেতাজি সুভাষ আহ্বান জানান ‘’তোমরা আমায় রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।”