সৌরজগৎ ও পরমাণুর গঠনের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য | Structure of Solar System and Atom-Similarities and Contrasts




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Structure of Solar System and Atom-Similarities and Contrasts. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে সৌরজগৎ ও পরমাণুর গঠনের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য | Structure of Solar System and Atom-Similarities and Contrasts

Ajjkal



সৌরজগৎ ও পরমাণুর গঠনের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য | Structure of Solar System and Atom-Similarities and Contrasts

সৌরজগৎ ও পরমাণুর গঠন — সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য (Planetary Model of Atom– Similarities and Dissimilarities with Solar System) : লর্ড রাদারফোর্ডের কল্পনা অনুযায়ী পরমাণুর গঠন অনেকটা সৌরজগতের মতো। সৌরজগতের সঙ্গে পরমাণুর গঠনের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নীচে দেওয়া হল।

■ সাদৃশ্য :

(i) সৌরভার্গতে সূর্যকে কেন্দ্র করে বুধ, শুক্র, পৃথিবী ইত্যাদি গ্রহ বিভিন্ন কক্ষপথে আবর্তন করে। পরমাণুতে নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইলেকট্রনগুলি বিভিন্ন কক্ষপথে আবর্তন করে।



(ii) সৌরজগতের মতোই পরমাণুর বেশির ভাগ স্থানই ফাঁকা।

(iii) যে-কোনো গ্রহের ভরের তুলনায় সূর্যের ভর অনেকগুণ বেশি। ইলেকট্রনের ভরের তুলনায় নিউক্লিয়াসের ভর বহুগুণ বেশি।

(iv) সূর্য ও গ্রহগুলির মধ্যে মহাকর্ষীয় বল ক্রিয়া করে। নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রনগুলির মধ্যে তড়িৎ-আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে।

(v) গ্রহগুলির কক্ষপথ উপবৃত্তাকার, সূর্য থাকে ওই উপবৃত্তের ফোকাসে। ইলেকট্রনগুলির কক্ষপথ উপবৃত্তাকার (বিশেষ ক্ষেত্রে বৃত্তাকার), নিউক্লিয়াস থাকে উপবৃত্তের ফোকাসে (বা বৃত্তের কেন্দ্রে)।

(vi) সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করার সময় গ্রহগুলি নিজ-নিজ অক্ষের চারদিকে আবর্তন করে। নিউক্লিয়াসের চারদিকে প্রদক্ষিণ করার সময় ইলেকট্রনগুলিও নিজ-নিজ অক্ষের চারদিকে আবর্তন করে।




■ বৈসাদৃশ্য

(i) সৌরজগতে গ্রহ ও সূর্যের মধ্যে মহাকর্ষীয় বল ক্রিয়া করে। পরমাণুতে ইলেকট্রন ও নিউক্লিয়াসের মধ্যে তড়িৎ-চুম্বকীয় বল ক্রিয়া করে।

(ii) সূর্য ও গ্রহগুলি সাধারণভাবে আধানযুক্ত নয়। নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রন যথাক্রমে ধর্মাত্মক ও ঋণাত্মক আধানযুক্ত।

(iii) সৌরজগতের গ্রহগুলির আয়তন ও ভর ভিন্ন ভিন্ন। পরমাণুর প্রতিটি ইলেকট্রনের আয়তন ও ভর একই।

(iv) সৌরজগতে যে-কোনো কক্ষে একটি মাত্র গ্রহ থাকে। পরমাণুতে যে-কোনো কক্ষে একাধিক ইলেকট্রন থাকে বা থাকতে পারে।

(v) কোনো কোনো গ্রহের এক বা একাধিক উপগ্রহ রয়েছে। ইলেকট্রনের কোনো উপ-ইলেকট্রন নেই।

(vi) এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে গ্রহকে সরানো যায় না। ইলেকট্রনকে এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে সরানো যায়।

(vii) সৌরজগতের গ্রহগুলির কক্ষপথ মোটামুটি একই তলে থাকে। পরমাণুতে ইলেকট্রনগুলির কক্ষপথ বিভিন্ন তলে থাকে।

■ আইসোটোপ বা সমস্থানিক (Isotope) :

❏ সংজ্ঞা: একই মৌলের বিভিন্ন পরমাণু যাদের পারমাণবিক সংখ্যা অর্থাৎ, প্রোটন সংখ্যা একই কিন্তু নিউক্লিয়াসে বিভিন্ন সংখ্যক নিউট্রন থাকার জন্য পারমাণবিক ভর অর্থাৎ, ভর-সংখ্যা বিভিন্ন হয়, তাদের আইসোটোপ বা সমস্থানিক বলে।

■ সমস্থানিক পরমাণুগুলির মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য :

❏ সাদৃশ্য:

(i) একই মৌলের সমস্থানিক পরমাণুগুলি হল একই মৌলের পরমাণু।

(ii) একই মৌলের সমস্থানিক পরমাণুগুলির নিউক্লিয়াসগুলিতে প্রোটন সংখ্যা একই থাকে ; অর্থাৎ, তাদের পারমাণবিক সংখ্যা একই।

(iii) একই মৌলের সমস্থানিক পরমাণুগুলির বিভিন্ন কক্ষে ইলেকট্রন সংখ্যা ও ইলেকট্রন বিন্যাস একই থাকে।

(iv) সাধারণভাবে একই মৌলের বিভিন্ন সমস্থানিকের রাসায়নিক ধর্ম একই রকমের হয়।

(v) একই মৌলের সমস্থানিকগুলির যোজ্যতা একই হয়।

(vi) একই মৌলের বিভিন্ন সমস্থানিকগুলি পর্যায় সারণির একই স্থানে রাখা হয়।

❏ বৈসাদৃশ্য :

(i) একই মৌলের বিভিন্ন সমস্থানিকগুলির পরমাণুর নিউক্লিয়াসে নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন।

(ii) একই মৌলের সমস্থানিকগুলির ভরসংখ্যা আলাদা হয়।

(ii) একই মৌলের বিভিন্ন সমস্থানিকের ভর বিভিন্ন হওয়ার জন্য তাদের ঘনত্ব, স্ফুটনাঙ্ক, গলনাঙ্ক প্রভৃতি ভৌত ধর্ম ভিন্ন ভিন্ন হয়।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।