Various types Soil of India | ভারতের ভারতের মৃত্তিকার প্রকারভেদ

Soil of India: The loose soft rock layer of fine material in the upper part of the earth’s surface is called soil. Soil is a mixture of various rock, organic matter, minerals, water, air and germs. Climate, rock layer, natural flora and fauna influence the origin of soil.

Classification and characteristics of these soils Different types of soils have been created in different parts of India according to different types of regional climate, rock formation, biological environment, natural energy impact, soil weaving, soil structure, color, rock etc According to the nature of the soil, the soil of India is mainly of two types, regional and non-regional. Red soil, laterite soil, black soil, fallow soil, glacier soil etc. are of regional nature. On the other hand, silt, coastal silt, etc.

ভারতের মৃত্তিকা (Soil of India):

ভূপৃষ্ঠের ওপরের অংশে সূক্ষ্ম পদার্থের শিথিল কোমল শিলাস্তরকে মাটি বলে । মাটি হল বিভিন্ন শিলাচূর্ণ , জৈব পদার্থ , খনিজ পদার্থ , জল , বাতাস ও জীবাণুর এক যৌগিক মিশ্রণ । মাটির উৎপত্তির জন্য জলবায়ু , শিলাস্তর , স্বাভাবিক উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ প্রভাব বিস্তার করে । এ মাটির শ্রেণিবিভাগ ও বৈশিষ্ট্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের আঞ্চলিক জলবায়ু , শিলার গঠন , জৈব পরিবেশ , প্রাকৃতিক শক্তির ঘাত – প্রতিঘাত , মাটির বুনন , মাটির গঠন , রং , শিলালক্ষণ প্রভৃতি অনুসারে বিভিন্ন ধরনের মাটির সৃষ্টি হয়েছে।মাটির প্রকৃতি অনুযায়ী ভারতের মাটি প্রধানত দুধরনের আঞ্চলিক মাটি ও অনাঞলিক মাটি। লাল মাটি,ল্যাটেরাইট মাটি,কালাে মাটি , পড়ল মাটি , হিমবাহ মাটি প্রভৃতি আঞ্চলিক প্রকৃতির। অন্যদিকে পলিমাটি , উপকূলের পলিমাটি প্রভৃতি অনালিক মাটির রাসায়নিক গঠন অনুযায়ী মাটিকে তিনভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে—

[ i ] বৃষ্টিবহুল অঞ্চলের অম্ল প্রকৃতির ও অনুর্বর মাটিকে পেডালফার মাটি , [ i ] স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত বা শুষ্ক অঞ্চলের কালাে রঙের ক্ষার জাতীয় মাটিকে । পেডােক্যাল মাটি এবং [ ii ] বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে অন্যত্র শিলাচূর্ণ সঞ্চিত মাটিকে অপসৃত মাটি বলে । এই মাটি খুব উর্বর । ভারতের কৃষি গবেষণা পরিষদ ভারতের মাটিকে আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যের তারতম্যে 27 টি ভাগে ভাগ করেছেন । তবে সাধারণভাবে ভারতের মাটিকে 2 টি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে ।

( ক ) লাল মাটি ( আঞ্চলিক মাটি ) :

[ i ] অবস্থান : প্রায় সমগ্র দাক্ষিণাত্য মালভূমি , সাঁওতাল পরগনা , ওড়িশার উঁচুভূমি , দণ্ডকারণ্য মালভূমি , পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ – পশ্চিম অংশ , ছত্তিশগড় উঁচুভূমি প্রভৃতি স্থানে লাল মাটি দেখা যায় ।

[ ii ] বৈশিষ্ট্য : ( a ) গ্রানাইট ও নিস শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে এই মাটির সৃষ্টি হয়েছে । ( b ) ফেরিক অক্সাইডের পরিমাণ বেশি থাকে বলে মাটির রং লাল হয় । ( c ) এরূপ মাটির জলধারণ ক্ষমতা খুব কম । ( d ) এই মাটি অনুর্বর ।

( খ ) ল্যাটেরাইট মাটি ( আঞ্চলিক মাটি ) : [ i ] অবস্থান কর্নাটক ও কেরলের পশ্চিমঘাট পার্বত্য অঞ্চলে , ওড়িশা , অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর পূর্বঘাট পার্বত্য অঞ্চলে , ছােটোনাগপুর মালভূমির পূর্বাংশে , অসম ও মেঘালয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে ল্যাটেরাইট মাটি দেখা যায় ।

[ i ] বৈশিষ্ট্য : ( a ) ল্যাটিন শব্দ ল্যাটার ’ – এর অর্থ ইট । ইটের মতাে শক্ত ও লাল রঙের বলে এই মাটির নাম ল্যাটেরাইট । ( b ) এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা খুব কম । (C) এই মাটি অনুর্বর ।

( গ ) কালাে মাটি ( আঞ্চলিক মাটি ) :

[ i ] অবস্থান : প্রায় সমগ্র মহারাষ্ট্র , দক্ষিণ গুজরাট , পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ , উত্তর কর্নাটক , অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর কিছু অংশে কালাে মাটি দেখা যায় ।

[ i ] বৈশিষ্ট্য : ( a ) লাভা গঠিত ব্যাসল্টের শিলাবিকারের ফলে এরূপ মাটির সৃষ্টি হয়েছে । ( b ) এই মাটির থানীয় নাম রেগুর বা রেগাড়া । ( c ) কাদা ও পলির ভাগ বেশি থাকে বলে এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা বেশি । ( d ) এছাড়া এই মাটিতে লােহা , চুন , ক্যালশিয়াম কার্বনেট , ম্যাগনেশিয়াম , অ্যালুমিনা প্রভৃতি বেশি থাকে । ( e ) এই মাটি খুব উর্বর ।

( ঘ ) মরু অঞ্চলের মাটি ( আঞ্চলিক মাটি ) :

[ i ] অবস্থান : রাজস্থানের বাগর ও মরুস্থলী অঞ্চলে , কচ্ছের রন অঞ্চলে এবং পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কিছু কিছু অংশে এরূপ মাটি দেখা যায় ।

[ i ] বৈশিষ্ট্য : ( a ) অতি স্বল্প বৃষ্টিপাতের জন্য এই অঞ্চলে ধৌত প্রক্রিয়া বিশেষ দেখা যায় না । ( b ) অধিক বাষ্পীয়ভবনের ফলে মাটির উপরিভাগে ক্যালশিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম , সােডিয়াম প্রভৃতি নুনের পরিমাণ বেশি থাকে।( c ) এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম । ( d ) এই মাটির স্থানীয় নাম সিরােজেম । ( e ) এই মাটি স্বল্প উর্বর ।

( ঙ ) পার্বত্য মাটি ( আঞ্চলিক মাটি ) :

[ i ] অবস্থান : হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে , পশ্চিমঘাট ও নীলগিরির উঁচু অংশে ও অন্যান্য পার্বত্য অঞ্চলে এই ধরনের মাটি দেখা যায় ।

[ ii ] বৈশিষ্ট্য : ( a ) উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে অম্ল প্রকৃতির ধূসর রঙের মাটিকে পডসল বলে ( রুশ শব্দ ‘ পডসল ’ – এর অর্থ ধূসর ) । ( b ) এই মাটি অনুর্বর । ( c ) পূর্ব হিমালয়ের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে উদ্ভিদের পাতা পচে ধূসর বাদামী অরণ্য মাটির সৃষ্টি হয় । ( d ) এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের অন্যান্য অংশের মাটি পাথুরে বা দোআঁশ বা কাদা – দোআঁশ প্রকৃতির। ( চ ) পার্বত্য তৃণভূমির মাটি ( আঞ্চলিক মাটি ) :

[ i ] অবস্থান : হিমালয়ের স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত তৃণভূমি অঞ্চলে এরূপ মাটি দেখা যায় ।

[ ii ] বৈশিষ্ট্য : এই মাটির রং ছাই ও বাদামি1 রঙের । এই মাটি কিছুটা উর্বর ও অম্ল প্রকৃতির ।

(ছ ) হিমবাহ সৃষ্ট মাটি ( আঞ্চলিক মাটি ) :

[ i ] অবস্থান : হিমালয় পর্বতের অতি উঁচু অংশে হিমবাহ বাহিত নুড়ি , বালি, কাদা প্রভৃতির মিশ্রণে এরূপ মাটির সৃষ্টি হয় । [ i ] বৈশিষ্ট্য : এরূপ মাটি খুবই অগভীর ও অনুর্বর ।

( জ ) পলি মাটি ( অনালিক মাটি ) :

[ 1 ] অবস্থান : শতদ্র – গগা – ব্ৰত্মপুত্র নদী বিধৌত সমভূমি ও অন্যান্য নদী উপত্যকাগুলিতে পলি মাটি দেখা যায় ।

[ i ] বৈশিষ্ট্য : ( a ) নদী তীরবর্তী অঞলে পলি , বালি , কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে এরূপ অনালিক মাটির সৃষ্টি হয় । ( b ) প্রাচীন পলি মাটি ভাঙ্গর অপেক্ষাকৃত অনুর্বর । অনেক সময় এরূপ মাটিতে চুনের প্রাধান্য দেখা যায় । একে কংকর বা ঘুটিং বলে । ( c ) অপেক্ষাকৃত শুষ্ক অঞলে ঊষর , কালার প্রভৃতি নুন ও ক্ষারধর্মী প্রাচীন পলি মাটি দেখা যায় । ( d ) নবীন পলি মাটি খাদার খুব উর্বর । গঠন অনুযায়ী এই মাটিকে বেলে , এঁটেল , দোআঁশ — এই তিনভাগে ভাগ করা হয় ।

( ঝ ) উপকূলের পলি মাটি ( অনাঞলিক মাটি ) :

[ i ] অবস্থান : ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপকূলীয় অংশে উপকূলের পলি মাটি দেখা যায় ।

[ ii ] বৈশিষ্ট্য : ( a ) সমুদ্রের লবণাক্ত জলের প্রভাবে এই মাটিতে লবণতার পরিমাণ বেশি থাকে । ( b ) এই মাটিতে বালি ও জৈব পদার্থের পরিমাণও বেশি থাকে ।

( ঞ ) বদ্বীপ অঞ্চলের মাটি ( অনালিক মাটি ) :

[ i ] অবস্থান : ভারতের পূর্ব উপকূলের গঙ্গা , মহানদী , গােদাবরী , কৃয়া , কাবেরী প্রভৃতি নদীর বদ্বীপ অঞলে এবং পশ্চিম উপকূলের কাথিয়াবাড় উপদ্বীপ ও কচ্ছের রন অঞ্চলে এরূপ মাটি দেখা যায় ।

[ i ] বৈশিষ্ট্য : ( a ) জোয়ারের সময় এই অঞ্চলের মাটি প্রায়শই জলে ডুবে যায় বলে কর্দমাক্ত ও লবণাক্ত থাকে । (b) এই মাটি লবণাক্ত বলে খুব উর্বর নয় ।

( ট ) তরাই মাটি ( অনালিক মাটি ) :

[ i ] অবস্থান : হিমালয়ের পাদদেশে এক সঙ্কীর্ণ অঞ্চলে নদীবাহিত নুড়ি , কাকর ও বালির মিশ্রণে তরাই মাটির সৃষ্টি হয় ।

বৈশিষ্ট্য : ( a ) এই মাটি উর্বর । ( b ) এরূপ মাটিকে ভাবর বলা হয় ।