মোগল সাম্রাজ্যের প্রসারে শিবাজির ভূমিকা | Shivaji’s Role in Expansion of Mughal Empire




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Shivaji’s Role in Expansion of Mughal Empire. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে মোগল সাম্রাজ্যের প্রসারে শিবাজির ভূমিকা | Shivaji’s Role in Expansion of Mughal Empire

Ajjkal



মোগল সাম্রাজ্যের প্রসারে শিবাজির ভূমিকা | Shivaji’s Role in Expansion of Mughal Empire

শিবাজি : ১৬২৭ খ্রিস্টাব্দে শিবনের পার্বত্যদুর্গে শিবাজির জন্ম হয়। তাঁর পিতা ছিলেন বিজাপুরের সুলতানের জনৈক কর্মচারী শাহজী ভোঁসলে ও মাতা জীজাবাঈ। তরুণ বয়সে সর্বপ্রথম শিবাজি মহারাষ্ট্রের পার্বত্য অঞ্চলের রণনিপুণ মাওয়ালি যোদ্ধাদের নিয়ে গেরিলা যুদ্ধে পারদর্শী একটি বিশ্বস্ত সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন।



এরপর বিজাপুর রাজ্যের বিশৃঙ্খলতার সুযোগ নিয়ে তিনি একে একে রায়গড়, পুরন্দর, জাওলি, কোলাপুর, দক্ষিণ কোঙ্কণ প্রভৃতি অঞ্চল দখল করে নেন এবং দাক্ষিণাত্যে মারাঠা রাজ্য গড়ে তোলেন। তাঁর একটি নৌবাহিনীও ছিল। ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে মারাঠা বীর শিবাজিকে দমন করার জন্য নিজের মামা শায়েস্তা খাঁকে মহারাষ্ট্রে পাঠানো হয়। কিন্তু শিবাজির অতর্কিত আক্রমণে দিশাহারা হয়ে তিনি পালিয়ে শিবাজি আসেন। পরবর্তী সময়ে শিবাজির বিরুদ্ধে তাঁর দুই সুযোগ্য সেনাপতি জয়সিংহ ও দিলির খাঁকে পাঠানো হয়। তাঁরা শিবাজিকে পুরন্দরের সন্ধি স্থাপন করতে বাধ্য (১৬৬৫ খ্রিঃ) করেন।




পুরন্দরের সন্ধির পর কিছুদিন চুপচাপ বসে থাকলেও ১৬৭০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে শিবাজি আবার যুদ্ধ শুরু করেন। তিনি মোগলদের ছেড়ে দেওয়া দুর্গগুলি একে একে দখল করে নেন। শিবাজির মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র শম্ভুজি মোগলদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান। দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৬৮৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি মোগল বাহিনীর হাতে বন্দি হন এবং তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়। শম্ভুজির মৃত্যুর পর তাঁর ভাই রাজারাম মোগলদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান এবং বহু দুর্গ পুনরুদ্ধার করেন। রাজারামের মৃত্যুর পর তাঁর বিধবা পত্নী তারাবাঈ শিশুপুত্র তৃতীয় শিবাজিকে নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকেন। বহু চেষ্টা করেও ঔরঙ্গজেব মারাঠা শক্তিকে বিধ্বস্ত করতে ব্যর্থ হন, অথচ দীর্ঘ ২৫ বছর দাক্ষিণাত্যে যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত থাকার ফলে মোগল সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে এবং মোগল রাজকোষ শূন্য হয়ে যায়।

বিদ্রোহের সূচনা : সম্রাটের দীর্ঘ অনুপস্থিতির সুযোগে উত্তর ভারতে বিদ্রোহ দেখা যায়। ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে জাঠ, সত্নামি, শিখ, বুন্দেলা রাজপুত প্রভৃতি সম্প্রদায় বিদ্রোহ ঘোষণা করে। বস্তুত ঔরঙ্গজেবের ধর্মান্ধতা ও অদূরদর্শী সাম্রাজ্য-লিপ্সার ফলে রাজপুতরা তাঁর শত্রুতে পরিণত হয়। মারওয়াড় ও মেবারসহ সমগ্র রাজপুতানা ঔরঙ্গজেবের বিরোধিতা শুরু করে। দীর্ঘ ৩০ বছর যুদ্ধ চালিয়েও তিনি রাজপুতদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নি।

এছাড়া ঔরঙ্গজেবের আমলে শিখ সম্প্রদায়ও বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। তাঁর আদেশে বহু শিখ গুরুদ্বোয়ারা ধ্বংস করা হয় এবং নবম শিখ গুরু তেগবাহাদুরকে বন্দি করে দিল্লিতে এনে হত্যা করা হয়। প্রতিবাদে তেগবাহাদুরের পুত্র গুরুগোবিন্দ সিংহের নেতৃত্বে শিখরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। অবশেষে নব্বই বছর বয়সে ভগ্ন হৃদয়ে ঔরঙ্গজেবের (১৭০৭ খ্রিঃ) মৃত্যু হয়।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।