প্রবন্ধ রচনা-বিজ্ঞান অভিশাপ না আশীর্বাদ || Science is neither a curse nor a blessing ||

Hello Students,


Wellcome to www.edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি Science is neither a curse nor a blessing. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই edu.bengaliportal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে প্রবন্ধ রচনা-বিজ্ঞান অভিশাপ না আশীর্বাদ || Science is neither a curse nor a blessing ||. নিচে  Science is neither a curse nor a blessing set টি যত্নসহকারে পড়ুন ও পরীক্ষার জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত হয়ে যান। এই প্রবন্ধ রচনা-বিজ্ঞান অভিশাপ না আশীর্বাদ || Science is neither a curse nor a blessing || টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।

🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘

[pdf টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে Click করুন]

প্রবন্ধ রচনা-বিজ্ঞান অভিশাপ না আশীর্বাদ || Science is neither a curse nor a blessing

বিজ্ঞান আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কৃষি, শিল্প, চিকিৎসা, যানবাহন, শিক্ষা-সংস্কৃতি — জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর অবদান অতুলনীয়। কল্যাণদাত্রী বিজ্ঞানের এই বিপুল দান সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পারমাণবিক বোমার বীভৎস ধ্বংসলীলার দিকে তাকিয়ে কল্যাণকামী মানুষের সন্ত্রস্ত ও সন্দিগ্ধ চিত্তে একটি প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে বার বার – ‘বিজ্ঞান অভিশাপ, না আশীর্বাদ (Science is neither a curse nor a blessing) ? ’

মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য-সমৃদ্ধি সাধনে, তার বৃহত্তর কল্যাণকর্মে অতন্দ্র ও নিরলস সেবায় তুলনাহীন নজির রেখেছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞান-বলে বলীয়ান মানুষ দুরন্ত নদীকে বশীভূত করে তার অমৃত প্রবাহে ঊষর মরুকে করেছে শস্যপ্রসবিনী। দুস্তর সমুদ্র পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর দূরতম ঘাটে নামিয়ে দিয়েছে পণ্যসম্ভার। তার চিন্তাভাবনা, কামনাবাসনা, প্রয়াসপ্রচেষ্টা আজ মর্তসীমাতে কেবল বাঁধা নয়, মহাকাশের নীল যবনিকার ওপারে গ্রহ-গ্রহান্তরে প্রসারিত। চন্দ্রাভিযান তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানসৃষ্ট যন্ত্রের কৃপায় সফল হয়েছে সবুজ বিপ্লব। শিল্পক্ষেত্রে যন্ত্রদানবের আসুরিক শক্তিতে গড়ে উঠেছে অতুল বিভব। সংক্রামক ব্যাধির হয়েছে নিরাময়। শিক্ষাক্ষেত্রে গ্রন্থকেন্দ্রিক নীরস কৃত্রিম শিক্ষা পদ্ধতির অবসান হয়ে বিজ্ঞানসম্মত বাস্তবমুখী শিক্ষার দ্বার হয়েছে উদ্ঘাটিত। বৈদ্যুতিক শক্তি বা পারমাণবিক শক্তি চালিত যানবাহন ও যোগাযোগব্যবস্থা জীবনকে করেছে গতিময়। বেতার ও দূরদর্শন দূরকে করেছে নিকট, অদৃশ্যকে করেছে পরিদৃশ্যমান। বিজ্ঞানের এরকম কল্যাণকর কার্যকারিতা দেখলে, স্বাভাবিকভাবে মনে হয়, এত বড়ো আশীর্বাদ মানবজীবনে আর নেই।

যুদ্ধোন্মত্ত পৃথিবীর দিকে চোখ ফেরালে উপরের মনোভাবের বিন্দুমাত্র অবশিষ্ট থাকে না। পরমাণুবিজ্ঞান মানুষের হাতে দিয়েছে অসীম শক্তি। বিধ্বংসী ক্ষমতাসম্পন্ন পরমাণু বোমা তার পরিচয়। কথিত আছে, বিগত দুই বিশ্বযুদ্ধে যে পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহৃত হয়েছে, তার সমষ্টিগত শক্তি একটি সর্বাধুনিক পরমাণু বোমার শক্তির তুলনায় নগণ্য। পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী রাষ্ট্রের সংখ্যা পৃথিবীতে এখন আধ ডজন। তাদের অস্ত্র-ভাণ্ডারে সংগৃহীত আছে শত সহস্র পরমাণু অস্ত্র। কোনো দুর্বল মুহূর্তে তার প্রয়োগ হলে বিশাল মানবগোষ্ঠীর জীবন্ত কবর রচিত হবে। তাদের দীর্ঘদিনের শ্রম ও সাধনালব্ধ সভ্যতা-সংস্কৃতির ঘটবে অবলুপ্তি। বিজ্ঞান-বলে বলদর্পী মানুষ অস্ত্রের প্রতিয়োগিতায় কেবল মাতেনি, তার মনোবৃত্তিও হয়েছে অধোগামী। শত্রুপক্ষের ক্ষতি করতে জলে বিষ প্রয়োগ করতে দুরারোগ্য রোগের জীবাণু ছড়াতে সে কুণ্ঠিত নয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে হিরোসিমা- নাগাসাকিতে নিক্ষিপ্ত পরমাণু বোমার বিস্ফোরণের কঠিন অভিজ্ঞতা আজও মানুষকে করে সন্ত্রস্ত ও ভয়চকিত। হিরোসিমায় নিক্ষিপ্ত পরমাণু বোমার ক্ষমতা ছিল কুড়ি হাজার টন টি.এন.টি. – এর সমান। তার বিস্ফোরণে মারা যায় ৭৮ হাজার নারী-পুরুষ। আহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৪ হাজার। কয়েক হাজার নরনারী হয় নিখোঁজ।

নাগাসাকিতে নিক্ষিপ্ত বোমায় মৃত ও আহতের সংখ্যা দাঁড়ায় যথাক্রমে ২৭ হাজার ও ৪১ হাজার। তাতেও নিখোজ হয় বহু নারী-পুরুষ। ওই সব বোমার ওজন ছিল কিলোটনের ওজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বর্তমানে মেগাটন ওজনের সীমায় হয়েছে উন্নীত। এক মেগাটন সমান দশ লক্ষ টন টি .এন . টি . – র সমান। এখন পঞ্চাশ ও একশো মেগাটনের বোমাও তৈরি হচ্ছে। তাদের বীভৎস ধ্বংসকারী ক্ষমতা শুধু বিস্ময়কর নয়, অকল্পনীয়। বিস্ফোরণের সীমার বাইরে যারা পরিত্রাণ পাবে, প্রকৃতপক্ষে তাদেরও নিষ্কৃতি নেই, বায়ুবাহিত ভস্মরাশির বিষক্রিয়ায় তারাও বংশপরম্পরায় শিকার হবে নানা দুরারোগ্য ব্যাধির।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেও মানুষের যুদ্ধের বাসনা নিবৃত হয়নি। বিগত ছ-সাত দশকের মধ্যে ছোটো- বড়ো বেশ কয়েকটি যুদ্ধই সংঘটিত হয়েছে। পরমাণু বোমার মতো বিধ্বংসী মারণাস্ত্র প্রয়োগ না হলেও আধুনিক অস্ত্রাদির ব্যবহার মানুষকে কম সম্ভ্রস্ত করেনি। কোরিয়া, ভিয়েতনাম, পারস্য উপসাগরীয় ও সম্প্রতি ইরাক যুদ্ধে বীভৎস ধ্বংসের দুঃস্বপ্ন মানুষকে নিত্য পীড়িত করে। তা ছাড়া যুদ্ধ শেষ হলেও যুদ্ধাস্ত্র প্রয়োগ ও তার আনুষঙ্গিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী হয়। সে প্রভাব কেবল রণস্থলের সীমায় আবদ্ধ থাকে না, পারিপার্শ্বিক অঞ্চলসহ সুদূর বিস্তৃত জনপদের উদ্ভিদ, জীবজন্তু ও মনুষ্যজগতের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে।

বিজ্ঞান মানুষের হাতিয়ার। হাতিয়ার দিয়ে সৎ বা অসৎ যে-কোনো কাজই করা যায়। আসলে প্রয়োগকর্তার মনোভাবের উপর নির্ভর করে। ধ্বংসের কাজে না লাগিয়ে পরমাণুশক্তি মানবকল্যাণে নিয়োজিত হতে পারে। বিজ্ঞানের উপর অহেতুক দোষ চাপিয়ে লোভ নেই। সবার আগে দরকার মানুষের মনোভাবের পরিবর্তন। তার লোভ, হিংসা, জিঘাংসা-বৃত্তি সংযত হলে, তার শুভবুদ্ধির উদয় হলে, পারস্পরিক সৌহার্দ্যবোধ জাগলে বিজ্ঞানের অপপ্রয়োগের অবসান হবে। বিজ্ঞান তার অমৃতভাণ্ড উজাড় করে অকৃপণ হাতে যা দেবে, তা দিয়ে মানবসভ্যতা হবে চিরস্থায়িত্বের মহিমায় ধন্য, মানুষ হবে অমরত্বের অধিকারী — পৃথিবীর বুকে রচিত হবে মনুষ্যসৃষ্ট সাধের স্বর্গ।

🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘

-ঃআরও পড়ুনঃ–

🔵🔴 ভারতের বৃহত্তম, দীর্ঘতম ও উচ্চতম pdf- Click Here

🔵🔴 বিপরীত শব্দ pdf- Click Here

🔵🔴 কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴 পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴 বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ও নামকরণকারী দেশ pdf- Click Here

🔵🔴 সমোচ্চারিত শব্দ বা সমার্থক শব্দ pdf- Click Here

🔵🔴 বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর pdf- Click Here

🔵🔴 বছরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন pdf- Click Here

🔵🔴 100+ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর pdf- click Here

🔵🔴 ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর pdf- click Here

🔵🔴 WBCS preliminary practice set pdf- Click Here

🔵🔴 বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴  ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর – Click Here 

🔵🔴  দৈনিক ১০টি স্পেশাল MCQ – Click Here

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।