সংক্ষিপ্ত টীকা- সারদামঙ্গল কাব্য | Saradamangal Kavya

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Short Note – Saradamangal Kavya. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে সারদামঙ্গল কাব্য | Saradamangal Kavya

Ajjkal

সংক্ষিপ্ত টীকা- সারদামঙ্গল কাব্য | Saradamangal Kavya

■ সারদামঙ্গল কাব্য:-

উত্তর:: ‘সারদামঙ্গল’ কাব্য (১৮৭৯খ্রীস্টাব্দে) কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর লেখা। এর মধ্যে তিনি দেবী সারদা বা সরস্বতীর অপূর্ব রোমান্টিক সৌন্দর্য মূর্তি নির্মাণ করেছেন। বাল্মীকি ক্রৌঞ্চ বধের শোকের মুহূর্তে সরস্বতীর কৃপা লাভ করেছিলেন, কবিও তেমনি দেবী সরস্বতীর প্রসাদ প্রার্থনা করেছেন। দেবী সরস্বতীর সঙ্গে কবির বিরহ মিলনের অশ্রুভারাতুর ও আনন্দ বেদনার বিভিন্ন মুহূর্তগুলি এই কাব্যে রোমান্সের রঙে ও অতীন্দ্রিয় ভাব-ব্যঞ্জনায় প্রকাশিত হয়েছে। কবি সরস্বতীকে কখনও জায়া জননীরূপে, কখনও অতীন্দ্রিয় উপলব্ধির মধ্যে অনুভব করতে চেয়েছেন। এই কাব্যখানি ঊনবিংশ শতাব্দীর কবিকুলের উপর গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যে কবি দেবী সরস্বতীর প্রেম, করুণা ও সৌন্দর্য্যের আদর্শ প্রতিমা নির্মাণ করেছেন।

■ পলাশীর যুদ্ধ কাব্য :-

উত্তর:: কবি নবীনচন্দ্র সেন পলাশীর যুদ্ধ অবলম্বন করে ‘পলাশীর যুদ্ধ’ (১৮৭৫) নামে একটি ইতিহাস আশ্রিত স্বাদেশিক আখ্যানকাব্য রচনা করেন। এর মধ্যে সিরাজের বিরুদ্ধে ক্লাইভ, মীরজাফর, জগৎশেঠ প্রমুখর ষড়যন্ত্র, পলাশীর মাঠে সিরাজের পরাজয়, পলায়ন, মীরণ কর্তৃক শোচনীয়ভাবে হত্যা প্রভৃতি কাহিনী বর্ণিত। এর মধ্যে ক্লাইভ, সিরাজ প্রমুখের চরিত্রচিত্রণ প্রশংসনীয়। কাব্যটি তৎকালে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। এটি ঐতিহাসিক কাব্য হলেও এর মধ্যে কবি ইতিহাসকে সার্থকভাবে কাজে লাগাতে পারেননি।

ইতিহাসের মধ্যে কল্পনা বেশি মেশাবার ফলে কাব্যের মধ্যে বেশ ত্রুটি রয়ে গেছে। ‘পলাশীর যুদ্ধ’ কাব্য স্বাদেশিকতা উন্মেষের সেই যুগে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল। এটি পলাশীর যুদ্ধের ঐতিহাসিক কাহিনী অবলম্বনে রচিত। নবাব সিরাজের বিরুদ্ধে জগৎশেঠ, মীরজাফর প্রমুখর ষড়যন্ত্র, সেই সুযোগ গ্রহণ করে সিরাজ বাহিনীর সঙ্গে ক্লাইভের পলাশীর মাঠে যুদ্ধ, সিরাজের পলায়ন, ধৃত হয়ে মুর্শিদাবাদে আসার পর নির্মম হত্যাকাণ্ড প্রভৃতি এই কাব্যের বিষয়। কিংবা “যেইখানে মোগলের মুকুট রতন খসিয়া পড়িল আহা। পলাশির রণে। যেইখানে চির রুচি স্বাধীনতা ধন হারাইল অবহেলে পাপাত্মা যবনে।” সিরাজের হত্যা প্রসঙ্গে কবির খোদোক্তি “নিবিল তখন, হইল স্বপন।” ভারতের শেষ আশা, এর মধ্যে চরিত্রগুলি কবিকল্পনায় বিকশিত হতে পারেনি। কাব্যিক উৎকর্ষও যথেষ্ট নয় বলে প্রথম শ্রেণীর কাব্য হতে পারেনি।

তবে এর মধ্যে দিয়ে কবি সাধারণ মানুষের দেশপ্রেমের বাণীকে মূর্ত করে তুলেছিলেন বলে কাব্যটি তৎকালে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে এর মধ্যে যে কিছু অসঙ্গতি আছে, তা মোহনলালের উক্তিতে প্রকাশিত। ইংরাজ রাজা হলে দেশের যে সুদিন হবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন— “ভারতেরো নহে আজি অসুখের দিন। আজি হতে যবনেরা হ’ল হতবল, কিবা ধনী মধ্যবিত্ত কিবা দীনহীন, আজি হতে নিদ্রা যাবে নির্ভয়ে সকল।”

■ ফুলমণি ও করুণার বিবরণ পুস্তক:-

উত্তর:: ১৮৫২ খ্রীস্টাব্দে কলকাতাবাসী হানা ক্যাথেরীন মুলেন্স নামক এক ইংরেজ মহিলা ‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ’ নামে একটি পুস্তক লেখেন। এই বইটিকে অনেকে বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস বলেন। প্যারীচাঁদ মিত্রের’ আলালের ঘরের দুলালে’র কয়েক বছর আগে এটি প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে সুন্দর বাংলাভাষা ব্যবহৃত হয়েছে। এর মধ্যে এক খ্রীষ্টান পরিবারের দীর্ঘ কাহিনী বর্ণিত। উপন্যাসের বিশেষ কোনও গুণ বা বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে দেখা যায় না। ফুলমণি ও করুণা নামে দুই গ্রাম্য মহিলার কথোপকথনের ভিতর দিয়ে তৎকালীন সমাজচিত্রটি সুন্দরভাবে প্রকাশিত। মুলেন্স খুব কাছ থেকে গ্রাম্য নারীদের দেখে তাদের কথাবার্তা অবিকল প্রকাশ করেছেন। বস্তুত ‘আলালের ঘরের দুলাল’ – এর চেয়েও এই গ্রন্থের কথ্যভাষা বিশেষ প্রশংসনীয়।

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।