রুশ যুক্তরাষ্ট্রে শাসনবিভাগ | Russian Administration in United States

রুশ যুক্তরাষ্ট্রে শাসনবিভাগ | Russian Administration in United States

■ প্রশ্ন:- রুশ যুক্তরাষ্ট্রে শাসনবিভাগ ও ফরাসী প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। (Russian Administration in United States)

■ রুশ যুক্তরাষ্ট্রে শাসনবিভাগ:-

■ উত্তর:- রুশ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানেও দ্বৈত শাসকের কথা বলা হয়েছে। রুশ যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত শাসক হলেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ক্যাবিনেট। রাশিয়ার বর্তমান সংবিধানের ধারায় রুশ রাষ্ট্রপতিকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা ও মর্যাদার অধিকারী করা হয়েছে। রাশিয়ার যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের কাঠামো অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অবস্থান শীর্ষে। প্রধানমন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীসভার অবস্থান রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রণাধীনে। কাঠামোগত বিচারে রাশিয়ার যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারকে সঠিকভাবে। সংসদীয় বা মন্ত্রিসভাশাসিত বলা যায় না; আবার পরিপূর্ণ রাষ্ট্রপতি – শাসিতও বলা যাবে না।

ফ্রান্সের শাসন বিভাগের মতই রাশিয়ার বর্তমান শাসন বিভাগ হল পার্লামেন্টীয় ও রাষ্ট্রপতিশাসিত শাসনব্যবস্থার এক সংমিশ্রিত রূপ বা সংকর রূপ। কারণ রুশ রাষ্ট্রপতি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিপরিষদ এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় সভা (Federal assembly) -র উপর র্তৃত্ব কায়েম করতে পারেন। তবে রুশ প্রশাসনকে সর্বার্থে ফরাসী প্রশাসনের সমার্থক বলা যাবে না। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতিকে তাঁর কৃতকর্ম বা নিষ্ক্রিয়তার জন্য দায়বদ্ধ হতে হয়। এবং এই অভিযোগের ভিত্তিতে রুশ রাষ্ট্রপতি ইমপিচ্‌মেন্ট (impeachment) পদ্ধতির মাধ্যমে পদচ্যুত হতে পারেন। তা ছাড়া পর পর দু’বারের বেশী রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির পদে নির্বাচিত হওয়া যায়।

■ পঞ্চম ফরাসী প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের দুটি বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। (Features of Constitution of the French Republic)

■ উত্তর:- বর্তমানে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যগুলি হল:-

● (১) ফ্রান্সের পঞ্চম সাধারণতন্ত্রের সংবিধানে একটি প্রস্তাবনা (Preamble) এবং ৯২ টি ধারা বা অনুচ্ছেদ (Article) বর্তমান। সংবিধানের ৯২ টি ধারাকে ১৫ টি অধ্যায়ে (Title Chapter) বিন্যস্ত করা হয়েছে।

● (২) পঞ্চম সাধারণতন্ত্রের সংবিধানে বলা হয়েছে যে, ফ্রান্স হবে ‘একটি অবিভাজ্য, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও সামাজিক সাধারণতন্ত্র’। এই সাধারণতন্ত্রের মূলমন্ত্র হল ‘ স্বাধীনতা , সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্ব’।

● (৩) সংবিধানের ৩ ধারায় বলা হয়ছে যে জনগণই হল গতীয় সার্বভৌমিকতার অধিকারী। জনগণ এই সার্বভৌম ক্ষমতাকে প্রয়োগ করবে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ও গণভোটের মাধ্যমে।

● (৪) ১৯৯২ সালের জুন মাসে একটি ডিক্রীর মাধ্যমে ফরাসী সংবিধানের সঙ্গে একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় সংযুক্ত হয়। এই নতুন অধ্যায়টির নামকরণ হল ‘ইউরোপীয়ান কমিউনিটি ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন’।

● (৫) পঞ্চম সাধারণতন্ত্রের সংবিধানে রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব ও ভূমিকাকে স্বীকার করা হয়েছে। যে রাজনৈতিক দলগুলি হল ফ্রান্সের রাষ্ট্রনৈতিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য অঙ্গ। তবে রাজনৈতিক লগুলির কাজকর্মের উপর কিছু বিধিনিষেধের কথাও বলা হয়েছে।