এক্স-রশ্মির ধর্ম ও ব্যবহার | Religion and Uses of X-rays




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Religion and Uses of X-rays. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে এক্স-রশ্মির ধর্ম ও ব্যবহার | Religion and Uses of X-rays

Ajjkal



এক্স-রশ্মির ধর্ম ও ব্যবহার | Religion and Uses of X-rays

এক্স-রশ্মির ধর্ম (Properties of X-rays) :

(i) এক্স-রশ্মি এক প্রকার তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ হওয়ায় তড়িৎক্ষেত্র বা চৌম্বকক্ষেত্রের দ্বারা এই রশ্মির গতিপথের কোনো বিচ্যুতি ঘটে না।

(ii) এক্স-রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনেক কম। এই রশ্মি মানুষের চোখে অনুভূতি জন্মায় না। এক্স-রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য দৃশ্য-আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অংশ। কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের রশ্মিকে কঠিন এক্স-রশ্মি (Hard x-rays) এবং বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের রশ্মিকে কোমল এক্স রশ্মি (Soft x-rays) বলে।



(iii) এক্স-রশ্মির ভেদন ক্ষমতা আছে। এক্স-রশ্মি উৎপাদক নলের অ্যানোড ও ক্যাথোডের মধ্যে বিভব-প্রভেদ বাড়লে এই রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য কমে এবং ভেদনক্ষমতা বাড়ে। কঠিন এক্স-রশ্মির ভেদনক্ষমতা কোমল এক্স-রশ্মির ভেদনক্ষমতার চেয়ে বেশি।

(iv) এই রশ্মি সরলরেখায় চলে। শূন্য মাধ্যমে এর গতিবেগ আলোর গতিবেগের সমান।

(v) ফোটোগ্রাফিক প্লেটের ওপর এক্স রশ্মির প্রতিক্রিয়া হয়।

(vi) কোনো গ্যাসের মধ্য দিয়ে এক্স – রশ্মি গেলে গ্যাসের অণুগুলি আয়নিত হয়।

(vii) এক্স-রশ্মি জীবন্ত কোশ নষ্ট করে। মানুষের শরীরে বেশিক্ষণ ধরে এক্স-রশ্মি পড়া খুব ক্ষতিকর — এতে ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং রক্তের শ্বেত কণিকা নষ্ট হয়ে যায়।




(viii) এক্স-রশ্মি ভারী মৌলিক পদার্থ অথবা ওদের যৌগ দ্বারা শোষিত হয়।

■ এক্স-রশ্মির ব্যবহার (Uses of X-rays) :

(1) চিকিৎসা ক্ষেত্রে:- (i) এক্স-রশ্মির সাহায্যে ফোটোগ্রাফিক প্লেটে হাত, পা বা দেহের হাড়ের ছবি পাওয়া যায়। এজন্য শল্য চিকিৎসায় এক্স-রশ্মি অপরিহার্য।

(ii) এক্স-রশ্মির জীবন্ত কোশকে ধ্বংস করার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ক্যানসার, টিউমার প্রভৃতি রোগের চিকিৎসায় এই রশ্মি ব্যবহৃত হয়। একে এক্স-রে থেরাপি বলে।

(2) বিজ্ঞানের গবেষণা কাজে:- (i) পরমাণুর গঠন-বিষয়ক নানা পরীক্ষায় এক্স – রশ্মি ব্যবহৃত হয়।

(ii) এক্স-রশ্মির সাহায্যে কেলাসের গঠন সম্বন্ধে মূল্যবান তথ্য জানা যায়।

(3) শিল্প ক্ষেত্রে:- কড়ি, বরগা প্রভৃতির ঢালাই করা ধাতুর ভিতরের অংশে কোনো ফাঁক বা দুর্বল স্থান আছে কিনা তা ওই বস্তুর এক্স-রশ্মির ফোটোগ্রাফ থেকে জানা যায়।

(4) গোয়েন্দা বিভাগে- পুলিশ ও শুল্ক বিভাগের কর্মীরা সোনা, হিরে ইত্যাদি সামগ্রীর চোরাচালান নিবারণের জন্য এক্স-রশ্মি ব্যবহার করেন।

■ এক্স-রশ্মি এবং সাধারণ আলোক রশ্মির তুলনা :

সাদৃশ্য : (i) এক্স-রশ্মি এবং আলোক-রশ্মি উভয়েই তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ। (ii) শূন্য মাধ্যমে আলোক-রশ্মি এবং এক্স-রশ্মি উভয়ের বেগ একই। (iii) উভয় রশ্মিই সরলরেখায় যায়। বিশেষ ব্যবস্থায় আলোক-রশ্মির মতো এক্স-রশ্মির প্রতিফলন এবং প্রতিসরণ হয়। (iv) উভয় রশ্মিই ফোটোগ্রাফিক প্লেটের ওপর ক্রিয়া করে। (v) উভয় রশ্মিই তড়িৎ বা চৌম্বক ক্ষেত্রে বিক্ষিপ্ত হয় না।

বৈসাদৃশ্য:- (i) এক্স-রশ্মির তরঙ্গ-দৈর্ঘ্য খুব ছোটো কিন্তু আলোক রশ্মির তরঙ্গ-দৈর্ঘ্য অনেক বড়ো, প্রায় 10 6 মি।

(ii) অস্বচ্ছ বস্তুর ভিতর দিয়ে আলোক রশ্মি যেতে পারে না — কিন্তু অনেক অস্বচ্ছ বস্তুর মধ্যে এক্স – রশ্মি চলে যায়।

(iii) বস্তুর ওপর আলোক রশ্মি পড়ে বস্তুকে দৃশ্যমান করে। এক্স-রশ্মি দ্বারা বস্তু দৃশ্যমান হয় না।

(iv) এক্স-রশ্মি গ্যাসকে আয়নিত করে। সাধারণ আলোক রশ্মি গ্যাসকে আয়নিত করে না।

(v) এক্স-রশ্মি জীবকোশ ধ্বংস করে, কিন্তু আলোক-রশ্মি করে না।

(vi) এক্স-রশ্মি কাচ, জিঙ্ক সালফাইড, ক্যালশিয়াম টাংস্টেট প্রভৃতি বস্তুর ওপর পড়লে প্রতিপ্রভার সৃষ্টি করে। সাধারণ আলোক-রশ্মির প্রতিপ্রভা সৃষ্টি করার ক্ষমতা নেই।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।