জাতি সংঘের ব্যর্থতার কারণ | Reasons For the Failure of the United Nations




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Reasons For the Failure of the United Nations. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে জাতি সংঘের ব্যর্থতার কারণ | Reasons For the Failure of the United Nations

Ajjkal



জাতি সংঘের ব্যর্থতার কারণ | Reasons For the Failure of the United Nations

জাতি সংঘের ব্যর্থতার কারণ :

একাধিক কারণে জাতিসংঘের ব্যর্থতা প্রায় অবধারিত ছিল, যেমন :

প্রথমত, জতিসঙ্ঘের মত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম সৃষ্টি হয়েছিল। কোনো অতীত অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে এই প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয় নি। তাই এই সংগঠনের কার্যকলাপ ছিল পরীক্ষামূলক।



দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘের গঠনতন্ত্রের মধ্যেই এর ব্যর্থতার বীজ নিহিত ছিল, কারণ কয়েকটি সাধারণ বিষয় ছাড়া সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য লীগপরিষদের সদস্যদের সর্বসম্মত সমর্থন প্রয়োজন ছিল। ফলে যে-কোনো একটি সদস্য, রাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হতে পারে এমন সম্ভাবনা থাকলেই কোনো বিষয়ের উপর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা কার্যত প্রায় অসম্ভব ছিল। তাই অনেক ক্ষেত্রেই জাতিসংঘ সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি। কিন্তু কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারলেও জাতিসংঘের নিজস্ব কোনও সামরিক বাহিনী না থাকায় জাতিসংঘের পক্ষে সেই সিদ্ধান্তকে রূপায়ণ করা সম্ভব ছিল না। তাই সদস্য রাষ্ট্রদের সহযোগিতা ও মর্জির উপর জাতিসংঘের দায়িত্বপালন নির্ভরশীল ছিল।




তৃতীয়ত, জন্মলগ্ন থেকেই সাংগঠনিক দিক থেকে জাতিসংঘ দুর্বল ছিল, কারণ জাতিসংঘের তরফে পরাজিত জাতিসমূহের সহযোগিতা অর্জন করার এবং সেই সঙ্গে রাশিয়াকে দলে টানার কোনও চেষ্টাও করা হয়নি। উপরন্তু আমেরিকা জাতিসংঘের সদস্যপদ গ্রহণ না করায় এই সংস্থাটি ছিল জন্ম থেকেই দুর্বল। আবার, ত্রিশের দশকে জার্মানি, ইতালি, জাপান প্রভৃতি সদস্য রাষ্ট্র একে একে জাতিসংঘের সদস্যপদ ত্যাগ করে চলে যায়, এতে এই সংস্থাটি আরও দুর্বল হয়ে পড়ে।

চতুর্থত, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলির প্রত্যেকে নিজেদের দেশের স্বার্থের প্রতি বড়ো বেশি আগ্রহী ছিল, তাদের জাতীয় স্বার্থ থেকে সরে আসার মানসিকতা ছিল না। বড়ো রাষ্ট্রগুলির স্বার্থের সংঘাত জাতিসংঘের সংহতি ও কার্যকরিতা ক্ষুণ্ণ করেছিল।

পঞ্চমত, এই সময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থান হয়। এরা প্রত্যেকেই সংশোধনবাদী ও সম্প্রসারণবাদী হওয়ায় প্রচলিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সংশোধন করার জন্য বলপ্রয়োগে কুণ্ঠিত হত না। এই ধরনের দেশগুলির মধ্যে জার্মানি, জাপান ও ইতালির ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। জাপানের মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ, ইতালির আবিসিনিয়া গ্রাস, জার্মানির অস্ট্রিয়া দখল ও চেকোশ্লোভাকিয়ার অঙ্গহানি প্রভৃতি ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করে যৌথ নিরাপত্তা বজায় রাখতে জাতিসংঘ বিফল হয়।

উপরে আলোচিত বিভিন্ন ঘটনায় জতিসংঘের অসারতা প্রমাণিত হওয়ায় তার ওপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আস্থা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলি নির্বিঘ্নে যুদ্ধের আবহাওয়া সৃষ্টি করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে অনিবার্য করে তুলেছিল।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।