রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও রাষ্ট্রসংঘের সংগঠন | Purpose and Organization of United Nations




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Purpose and Organization of United Nations . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও রাষ্ট্রসংঘের সংগঠন | Purpose and Organization of United Nations

Ajjkal



রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও রাষ্ট্রসংঘের সংগঠন | Purpose and Organization of United Nations

■ রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য : সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের উদ্দেশ্য ছিল :

(১) বিশ্বে শান্তিরক্ষা করা এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা;

(২) আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাদবিসম্বাদের অবসান ঘটানো;

(৩) বিভিন্ন জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার মেনে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপনের পথ পরিষ্কার করা;



( ৪ ) বিস্তারের উদ্দেশ্যে কোনো রাষ্ট্রের সীমা লঙ্ঘন না করা এবং তার ওপর বলপ্রয়োগ না করা;

(৫) ছোটো বড়ো যে-কোনও ধর্মালম্বী, যে কোনো ভাষাভাষী জাতিকেই সমান মর্যাদা দান করা;

(৬) পৃথিবীর প্রতেককে প্রকৃত মানুষের অধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা দান করবার যথাসাধ্য ব্যবস্থা করা;

(৭) খাদ্য সমস্যা, বেকারত্ব, স্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রভৃতি সমস্যা সমাধানের জন্য পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা করা এবং

(৮) অনুন্নত ও পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর উন্নতির জন্য সাহায্যের ব্যবস্থা করা।

■ রাষ্ট্রসংঘের সংগঠন : রাষ্ট্রসংঘ কয়েকটি শাখাপ্রশাখায় বিভক্ত যেমন :




(ক) সাধারণ সভা : জাতিপুঞ্জের সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রের (বর্তমানে ১৯১) প্রতিনিধি দ্বারা সাধারণ সভা গঠিত। প্রতিটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সমান ভোটাধিকার (মাত্র একটি করে ভোট) আছে। এই সভা যে-কোনও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে এবং নিরাপত্তা পরিষদে সুপারিশ করতে পারে।

(খ) নিরাপত্তা পরিষদ : জাতিপুঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন নিরাপত্তা পরিষদ মোট ১১ টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত। এই প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রধান পাঁচটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা (যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও চিন) হলেন স্থায়ী সদস্য। এছাড়া বাকি ছয়জন অস্থায়ী সদস্যকে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ দু’বছরের জন্য নির্বাচিত করে। নিরাপত্তা পরিষদে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হলে স্থায়ী পাঁচজন সদস্যের একমত হওয়া দরকার। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের কোনও প্রস্তাব অসম্মতি জানাবার বা প্রস্তাবটিকে নাকচ করার ক্ষমতাকে ‘ভিটো’ (Veto) বলা হয়।




সাধারণ সভা ও নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা : (১) জাতিপুঞ্জের সমস্ত সদস্য দেশ সাধারণ সভার সদস্য হওয়ায় সাধারণ সভার সদস্য সংখ্যা অনেক বেশি, কিন্তু পক্ষান্তরে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা অনেক কম; (২) সাধারণ সভা আলোচনামূলক সভা, কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদ হল বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রধান সংগঠন; (৩) সাধারণ সভা প্রস্তাব সুপারিশ করে, কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদ তাকে বলবৎ করে; (৪) সাধারণ সভার অধিবেশনের প্রকৃতি অনেকটা আইন সভার মত। কিন্তু নিরাপত্তাপরিষদের সম্মেলনের প্রকৃতি অনেকটা কূটনৈতিক বৈঠকের মতো; (৫) নিরাপত্তা পরিষদের তুলনায় সাধারণ সভার গুরুত্ব কম হলেও একে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের উৎস বলে মনে করা হয়।

সদর দপ্তর : জাতিপুঞ্জের দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করার জন্য মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত জাতিপুঞ্জের সদর দপ্তরটিতে জাতিপুঞ্জের প্রধান কর্মসচিব বা সেক্রেটারি জেনারেল প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেন।

আন্তর্জাতিক আদালত : আন্তর্জাতিক আইনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিরোধের মীমাংসা করা এই আদালতের প্রধান কাজ । আন্তর্জাতিক আদালত ১৫ জন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত।

জাতিপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিকপরিষদ : বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীনে অনেকগুলো উপসংস্থা রয়েছে, এরা হল : (১) বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, (২) ইউনেস্কো, (৩) আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার, (৪) বিশ্বব্যাঙ্ক, (৫) বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রভৃতি।

রাষ্ট্রসংঘের বাধ্যতামূলক মীমাংসা পদ্ধতি : কোনও দেশ বা জাতি অপর কোনও দেশ বা জাতির বিরুদ্ধে শান্তিভঙ্গ ও আক্রমণাত্মক কাজে লিপ্ত হলে প্রাথমিক পর্যায়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আক্রমণকারী দেশ বা জাতির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক বাধা সৃষ্টি, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা, কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা প্রভৃতি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে । দ্বিতীয় পর্যায়ে সামরিক শক্তি প্রদর্শন এবং অবরোধ সৃষ্টি করে অপরাধী দেশকে সংযত হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিও ব্যর্থ হলে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সহায়তায় গঠিত রাষ্ট্রসংঘের সেনাবাহিনীর সাহায্যে যুদ্ধের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে যে, নানান বাধ্যবাধকতার জন্য বৃহৎশক্তিগুলোর সক্রিয় সাহায্য ছাড়া বিশ্বশান্তি রক্ষায় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তার প্রকৃত দায়িত্ব পালন করতে পারে না।

রাষ্ট্রসংঘের সাফল্য ও ব্যর্থতা : প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সীমিত সামর্থের মধ্যেও রাষ্ট্রসংঘের সাফল্যকে উপেক্ষা করা যায় না।

কিন্তু, বৃহৎশক্তিগুলোর স্বার্থসিদ্ধির প্রচেষ্টা শান্তিস্থাপন ও নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যকে বারংবার ব্যর্থ করেছে। বিগত পাঁচ দশকে বহুবার যুদ্ধের আশঙ্কাকে রাষ্ট্রসংঘ সঠিকভাবে প্রতিরোধ করতে পারে নি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০০৩ সালে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শক্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রসংঘের নিষেধকে গ্রাহ্যের মধ্যে না এনে ইরাক আক্রমণ করে বহু প্রাণ ও সম্পদ বিনষ্টের কারণ হয়েছে এবং এই দেশকে তার নিজের দখলে রাখলেও রাষ্ট্রসংঘ কিছুই করতে পারেনি। কিন্তু এইসব সমালোচনা সত্ত্বেও যতদিন কোনও বিকল্প পথের সন্ধান না পাওয়া যাবে ততদিন পর্যন্ত সভ্যতার সংকট মোচনের জন্য রাষ্ট্রসংঘই হয়ে থাকবে বিশ্বমানবের একমাত্র ভরসা।

আটলান্টিক সনদ :

আটলান্টিক সনদ (আগস্ট ১৯৪১) : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময়েই ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল আটলান্টিক মহাসাগরে সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে (১৯৪৫) রাষ্ট্রসংঘের প্রতিষ্ঠা প্রিন্স অফ ওয়েলস নামে একটি যুদ্ধ জাহাজে মিলিত হয়ে একটি ঘোষণাপত্র প্রচার করেন। এরপর ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে আরও কয়েকটি রাষ্ট্র এই ঘোষণাপত্রে সম্মতি জানায়। যুদ্ধ পরবর্তী যুগে শান্তিস্থাপন ও বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর অধিকার-সম্বলিত এই ঘোষণাপত্রই ইতিহাসে ‘আটলান্টিক চার্টার’ নামে খ্যাত।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।