টীকা- ভারতীয় সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতিগুলি | Procedures for Amending the Indian Constitution

ভারতীয় সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতিগুলি | Procedures for Amending the Indian Constitution

■ টীকা- ভারতীয় সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতিগুলি (Procedures for Amending the Indian Constitution)

■ উত্তর:- সংবিধানের ৩৬৮ ধারায় ৩ টি সংবিধান সংশোধনের পদ্ধতি উল্লিখিত হয়েছে। যেমন—

● (ক) প্রথম পদ্ধতিটি হল সরকারী বা বেসরকারী বিলের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব সংসদের যে কোন কক্ষে উত্থাপিত হতে হবে। প্রস্তাবটি উভয় কক্ষে পৃথকভাবে মোট সদস্যের অর্ধেক এবং উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যের ২ অংশ দ্বারা অনুমোদিত হওয়া প্রয়োজন। তবে এই অংশকে সংশ্লিষ্ট কক্ষের সদস্যসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠের সমান হতে হবে। উভয় কক্ষে প্রস্তাব পাশ হলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করলেই সংশোধন সম্পূর্ণ হয়।

● (খ) প্রথম পদ্ধতিটির মত উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর প্রস্তাবটি অন্তত অর্ধেক রাজ্য আইনসভার দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। এক্ষেত্রে রাজ্য আইনসভাগুলি বিলের আকারে প্রস্তাবটি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করতে পারে, কিন্তু কোন পরিবর্তন করতে পারে না। অর্ধেক রাজ্য আইনসভা কর্তৃক পাশ হলে তা রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হয়।

● (গ) সংবিধান সংশোধনের তৃতীয় পদ্ধতিটি অত্যন্ত সরল। এক্ষেত্রে সাধারণ আইন পাশের পদ্ধতিতে সংসদের উভয়ক্ষে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে সংবিধান সংশোধন করা যায়। তবে প্রথম পদ্ধতিতে যদি দুই কক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়, তবে সংশ্লিষ্ট বিলটি বাতিল হয়ে যাবে।

■ টীকা- ভারতের সংবিধানের ৩৬৮ ধারা (Article 368 of the Constitution of India)

■ উত্তর:- ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের তিনটি পদ্ধতির মধ্যে ৩৬৮ ধারায় দুটি পদ্ধতির উল্লেখ আছে। সংবিধানের ৩৬৮ ধারায় উল্লিখিত প্রথম পদ্ধতিতে সংবিধান সংশোধনের জন্য যে-কোন প্রস্তাব পার্লামেন্টের যে-কোন কক্ষে উত্থাপন করা যায়। প্রস্তাবটি উভয় কক্ষে পৃথকভাবে মোট সদস্যের অর্ধেক এবং উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের দ্বারা অনুমোদিত হওয়া দরকার। তবে প্রত্যেক কক্ষে উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশকে সংশ্লিষ্ট কক্ষের মোট সদস্যসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠের সমান হতে হবে।

এইভাবে পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে সংশোধনী প্রস্তাবটি পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর পেলে প্রস্তাব অনুসারে সংবিধান সংশোধন হয়। ৩৬৮ ধারায় উল্লিখিত দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুসারে সংশোধনী প্রস্তাবটি প্রথমে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে প্রথম পদ্ধতি অনুসারে পাস হওয়া দরকার। তারপর তা রাজ্য আইনসভার অন্তত অর্ধেক সদস্য দ্বারা অনুমোদিত হওয়া দরকার। এভাবে অনুমোদিত হওয়ার পর সংশোধনী বিলটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়।