সংক্ষিপ্ত টীকা:- প্রফুল্ল নাটক, জনা নাটক | Prafulla Natak and Jana Natak

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ নিয়ে এসেছি Prafulla Natak and Jana Natak. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে প্রফুল্ল নাটক, জনা নাটক | Prafulla Natak and Jana Natak

Ajjkal

প্রফুল্ল নাটক, জনা নাটক | Prafulla Natak and Jana Natak

■ প্রফুল্ল নাটক:-

উত্তর:: গিরিশচন্দ্র ঘোষ বর্ণিত সামাজিক নাটকগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘প্রফুল্ল’ নাটক। ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে রচিত এই নাটকে অত্যধিক মদ্যাসক্তির জন্য একটি সচ্ছল সম্পন্ন পরিবারের বিপর্যয়ের কাহিনী বিবৃত হয়েছে। এই নাটকে যোগেশ একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের কর্তা। স্ত্রী, মা, শিশুপুত্র, সেজভাই রমেশ, ছোটভাই, সেজভাই -এর স্ত্রী প্রফুল্লকে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার।

এই সুখের সংসারে একটিমাত্র কাঁটা সেজভাই রমেশ। সে দুর্নীতিপরায়ণ ও কুচক্রী। তার স্ত্রী প্রফুল্ল সরল শান্ত ও গুণবতী। এই অবস্থায় হঠাৎ একদিন ব্যাঙ্ক ফেল পড়ায় যোগেশের গচ্ছিত টাকা নষ্ট হয়ে গেল। তিনি অত্যন্ত বেশি পরিমাণে মদ খেতে লাগলেন। রমেশ ভজহরি নামক একজন কুচক্রীর সহায়তায় যোগেশের বাড়ি বেনামী করে নিল। যোগেশ স্ত্রীপুত্র নিয়ে পথে এসে দাঁড়ালেন। তিনি হয়ে পড়লেন মানুষের করুণার পাত্র। তাই তাঁর মুখে শোনা যায়— “আমার আর কিছু শুনিওনা, আমার কাছে কেউ এস না, আমি কিছু শুনবো না বলে মদ খাচ্ছি, প্রাণ বেরুবে বলে মদ খাচ্ছি। আমার মহাজন শুড়ী, কারবার মদ খরিদ, লাভ জ্ঞানবিসর্জন, এইতে যদ্দিন যায়। ”রমেশের স্ত্রী সতী সাব্বী। কিন্তু স্বামীর হীন কার্য্যের বিরুদ্ধতা করায় রমেশ তাকে হত্যা করল। যোগেশের সমস্ত পরিবার বিপর্যস্ত হল। তাই যোগেশ হাহাকার করে বলেন— “আমার সাজানো বাগান শুকিয়ে গেল।”

■ জনা নাটক:-

উত্তর:: পৌরাণিক নাটকের মধ্যে ‘জনা নাটক’ (১৮৯৪ খ্রীস্টাব্দে) নাটককেই শ্রেষ্ঠ নাটকের স্থান দেওয়া যায়। কৃষ্ণভক্ত রাজা নীলধ্বজের সঙ্গে তার পত্নী জনার দ্বন্দ্ব সংঘাত এই নাটকের মূল বিষয়। নীলধ্বজ, বিদূষক, অগ্নি, বৃষকেতু প্রভৃতি চরিত্রের মাধ্যমে ভক্তিরস প্রবাহিত। তাই বিদূষক বলেছেন— “এক নামে মুক্তি পায় নরে, এ বিশ্বাস হৃদে যেই ধরে, এ ভবসাগর গোস্পদ সমান তার।” জনার পুত্রস্নেহ, স্বদেশপ্রীতি, কৃষ্ণভক্তদের বিরোধিতা, বহ্নিময় প্রতিহিংসা নাট্যগতিকে বাস্তবমুখী করে রেখেছে। পুত্র প্রবীরের মৃত্যুর পর শোকে উন্মাদিনী জনার সংলাপ মর্মস্পর্শী— “দূরে-দূরে-ভীষণ প্রান্তরে মরু ভূমে-দূরন্ত শ্মশানে হেথা তোর নাহি স্থান। দুর্গম কান্ডারে, তুষার মাঝারে পর্বত শিখরে চল্। চল পাপ রাজ্য ত্যাজি, পতি তোর পুত্রঘাতী অরাত্রির সখা। চল্‌ পুত্র শোকাতুরা— চল্‌ বালুময় বেলায় বসিয়া দেখিবি বাড়বানল।

■ সধবার একাদশী প্রহসন:-

উত্তর:: ‘সধবার-একাদশী’ নামক প্রহসনে দীনবন্ধু মধুসূদন দত্তের আদর্শে বাংলার তৎকালীন নব্যবঙ্গ সম্প্রদায়ের উচ্ছৃঙ্খলতা, ব্যভিচার ও দুষ্কৃতিকে তীব্র-ব্যঙ্গবিদ্রুপে কষাঘাত করেছেন। এই নাটকে সে যুগের কলকাতার উচ্চশিক্ষিত এবং অর্ধশিক্ষিত যুবক সমাজের উৎকট মদ্যপানাসক্তি, লাম্পট্য, পরস্ত্রীহরণ প্রভৃতি চরিত্র ভ্রষ্টতার চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। প্রহসন রচনায় দীনবন্ধু মিত্রের দক্ষতার পরিচয় এই নাটকে ফুটে উঠেছে। এই নাটকের নিমচাঁদ দত্তের সুখদুঃখ ও মাতলামির ঝোঁকে হাস্যকর উক্তি ও আচার আচরণ নাট্যকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে চিত্রিত করেছেন।

নিমচাঁদ সে যুগের প্রতিনিধিস্থানীয় চরিত্র। উচ্চ শিক্ষিত ও আদর্শবাদী হয়েও সে অত্যধিক মদ্যাসক্তিতে সব কিছু নষ্ট করেছে। তার উক্তি নিমচাঁদ — অটল, তোমার মাগ তুমি নিয়ে এলে বাবা, এখন আমার ঘাড়ে ফেলে দিচ্চো ? রামবাবু –আমি কিছুই জানিনে মহাশয়। আমি কি এমন কাজ কত্তে পারি ? রামবাবু – তবে কে করেছে ? নিমচাদ —সময়। সভ্যতার সঙ্গে বিদ্যাভাবের উদ্বাহ হলেই বিড়ম্বনার জন্ম হয়। রামবাবু চেপে যাও বাবা, Let bygones be bygones …….. রামবাবু – আমি অবাক হইচি, ব্যাটাদ্দের অসাধ্যের ক্রিয়া নাই। নিমচাঁদ রামবাবু, বড় ব্যথিত হলেন বাবা। রামবাবু নিমচাঁদ লাগবে না।” – তুমি বসো, আমি তোমার শ্রাদ্ধের আয়োজন করে আসছি। ব্রাহ্মমতে কত্তে হবে, অনেক বৃষ পার করিচি, এখন আর বৃষ উৎসর্গ ভালো

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।