কৃষিকার্যে কৃত্রিম উদ্ভিদ হরমোনের ব্যবহারিক প্রয়োগ | Plant Hormones in Agriculture




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Plant Hormones in Agriculture . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে কৃষিকার্যে কৃত্রিম উদ্ভিদ হরমোনের ব্যবহারিক প্রয়োগ | Plant Hormones in Agriculture

Ajjkal



কৃষিকার্যে কৃত্রিম উদ্ভিদ হরমোনের ব্যবহারিক প্রয়োগ | Plant Hormones in Agriculture

■ হরমোনের সংজ্ঞা (Definition of Hormone)

প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড বা স্টেরয়েডধর্মী যে জৈবরাসায়নিক পদার্থ, জীবদেহের কোনও বিশেষ কোষগুচ্ছ অথবা অন্তঃক্ষরা বা অনাল গ্রন্থি থেকে স্বল্পমাত্রায় ক্ষরিত হয়ে সাধারণত রক্ত, লসিকা ইত্যাদির মাধ্যমে উৎপত্তিস্থল থেকে দূরে শরীরের কোনও বিশেষ জায়গায় পরিবাহিত হয় এবং সেখানকার কলা-কোষের বিভিন্ন বিপাকীয় কাজের মধ্যে রাসায়নিক সমন্বয় সাধন করে, এবং কাজের শেষে নষ্ট হয়ে যায়, তাকেই হরমোন বলা হয়ে থাকে।



■ কৃষিকার্যে কৃত্রিম উদ্ভিদ-হরমোনের ব্যবহারিক প্রয়োগ (Practical application of Synthetic Plant Hormones in Agriculture )

উদ্ভিদ-দেহে প্রাকৃতিকভাবে নানান হরমোন উৎপন্ন হলেও বর্তমানে নানারকম কৃত্রিম হরমোন বিভিন্ন কারখানায় তৈরি হচ্ছে : এই সব কৃত্রিম হরমোনের মধ্যে ইণ্ডোল বিউটারিক অ্যাসিড (IBA), ন্যাপথালিন অ্যাসিটিক অ্যাসিড (NAA), ডাই-ক্লোরোফেনক্সি অ্যাসিটিক অ্যাসিড (2, 4 – D) প্রভৃতি প্রধান। কৃত্রিম হরমোনগুলো কম খরচে ও কম পরিমাণে বেশি কার্যকরী হওয়ায় এরা আজকাল কৃষি এবং উদ্যান কার্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সব হরমোনের বিবরণ নীচে আলোচনা করা হল।




  1. বীজবিহীন ফল উৎপাদন : নিষেকের পূর্বেই অর্থাৎ পরাগযোগ ও নিষেক ছাড়া ডিম্বাশয়ে কৃত্রিম তাক্সিন (IBA, IAA) প্রয়োগ করে বীজবিহীন এবং আয়তনে বড় ফল উৎপাদন করা হয়। এই পদ্ধতিকে বলে পার্থেনোকাপি। এই সব ফলের মধ্যে পেঁপে, পেয়ারা, খেজুর, আঙুর, টম্যাটো, কলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
  2. শাখা কলমে মূল সৃষ্টি : শাখা কলমের দ্বারা বংশবিস্তারের সময় নানান কৃত্রিম হরমোন প্রয়োগ করে কলমে তাড়াতাড়ি মূল সৃষ্টি করা হয়। গোলাপ, জবা, বেল ইত্যাদি ফুলগাছ এবং আম, লেবু, পেয়ারা ইত্যাদি ফলের গাছের শাখা কলম (cutting) তৈরি করার সময় IBA ও NAA বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়।
  3. আগাছা নিৰ্মূল : ধান, গম, যব ইত্যাদির ক্ষেতে অবাঞ্ছিত উদ্ভিদ অর্থাৎ আগাছা নির্মূল করার জন্য 2, 4-D, MCAA (মিথাইল ক্লোরোফেনক্সি অ্যাসিটিক অ্যাসিড) প্রভৃতি কৃত্রিম হরমোন প্রয়োগ করা হয়। কারণ কৃষিকার্যে আগাছাগুলি হল বাঞ্ছিত উদ্ভিদের প্রধান শত্রু।
  4. ক্ষতস্থান পূরণ : চা, পাতাবাহার, আপেল, ন্যাসপাতি ইত্যাদি গাছের ডাল ছাঁটার পর বেশি ঘনত্বের কৃত্রিম অক্সিন অর্থাৎ IAA (1%) দ্রবণ ছিটিয়ে উক্ত গাছগুলোর কাটা অংশের ক্ষতস্থান মেরামত করা হয়। এর ফলে ক্ষতস্থান রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুর দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে না।
  5. উদ্ভিদের অপরিণত অঙ্গের মোচন রোধ : কৃত্রিম হরমোনের (2, 4-D, NAA) দ্রবণ ছিটিয়ে উদ্ভিদের নানান অপরিণত অঙ্গের (যেমন : পাতা, মুকুল, ফুল, ফল ইত্যাদি) অকালমোচন রোধ করা হয়।
  6. অঙ্কুরোদগম ত্বরান্বিত করা : কৃত্রিম জিব্বেরেলিন প্রয়োগের দ্বারা বীজের সুপ্ত অবস্থা ভঙ্গ করে দ্রুত অঙ্কুরোদগম ঘটানো হয়।
  7. মুকুলোদগম বিলম্বিত করা : অ্যাসাইসিক অ্যাসিড (Abscisic acid) প্রয়োগ করে আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদির মুকুলোদগম (budding) বিলম্বিত করা হয়।
  8. ফল ধরতে সহায়তা করা : আনারস, লেবু, আপেল ইত্যাদি গাছের কৃত্রিম হরমোন ছিটিয়ে গাছের ফল ধারণ ক্ষমতাকে ত্বরান্বিত করা হয়।
  9. ফলের বৃদ্ধি ও পরিপক্কতা : IBA বা 2, 4-D নামক কৃত্রিম হরমোন প্রয়োগ করে বিভিন্ন রকম ফলের আয়তন বৃদ্ধি ও পরিপক্কতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
  10. পুষ্প পরিস্ফুটনের নিয়ন্ত্রণ : কৃত্রিম হরমোন (প্রধানত NAA) প্রয়োগ করে উদ্ভিদের পুষ্প মুকুলের পরিস্ফুটন ত্বরান্বিত করা হয়। জিব্বেরেলিন প্রয়োগ করে দ্বি-বর্ষজীবী উদ্ভিদের প্রথম বছরে ফুল উৎপন্ন করা হয়।
  11. জরা রোধ : কাইনিন হরমোন প্রয়োগ করে উদ্ভিদের জরা বিলম্বিত করা হয়।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।