স্বরাজ্যদলের উৎপত্তির কারণ | Origin of Swarajya Dal




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Origin of Swarajya Dal. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে স্বরাজ্যদলের উৎপত্তির কারণ | Origin of Swarajya Dal

Ajjkal



স্বরাজ্যদলের উৎপত্তির কারণ | Origin of Swarajya Dal

স্বরাজ্যদলের উৎপত্তির কারণ : গান্ধিজির অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহারের পর আইনসভা নির্বাচনে কংগ্রেস দলের অংশ গ্রহণকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের মধ্যে মতবিরোধের ফলে দেশবন্ধু ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের ১ লা জানুয়ারি কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই ‘কংগ্রেস খিলাফৎ স্বরাজ্য দল’ নামে একটি অন্যদলের প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীকালে স্বরাজ্য দল নামে পরিচিত হয়। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ এই নবগঠিত দলের সভাপতি এবং মতিলাল নেহরু সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন । বাংলার বিপ্লবীরা, বিশেষ করে ‘যুগান্তর গোষ্ঠী’ এই দলকে সমর্থন জানান।



উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি : স্বরাজ্য দলের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত থেকে স্বায়ত্ত শাসনের অধিকার লাভ করা। এই উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় : (১) আইনসভায় প্রবেশ করে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ সরকারের কাজকর্মের বিরোধিতা করা; (২) সরকারি বাজেট বা আয়ব্যয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা; (৩) নানারকম বিল ও প্রস্তাব উত্থাপন করে জাতীয়তাবাদের অগ্রগতিতে সহায়তা করা এবং (৪) সুনির্দিষ্ট অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করে বিদেশি শোষণ বন্ধ করা।




সাফল্য : ওপরের বিভিন্ন কর্মসূচিকে সামনে রেখে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের সাধারণ নির্বাচনে স্বরাজ্য দল আশাতীত সাফল্য লাভ করে। বাংলা ও মধ্যপ্রদেশে এই দলের সাফল্য ছিল সবচেয়ে বেশি। এছাড়া উত্তরপ্রদেশ ও বোম্বাই -এর আইনসভায় এই দলের সাফল্য ছিল উল্লেখযোগ্য । এছাড়া কলকাতা কর্পোরেশনে স্বরাজ্য দল জয়লাভ করে এবং চিত্তরঞ্জন দাশ কলকাতা কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন।

ব্যর্থতার কারণ : স্বরাজ্য দলের আপাত সাফল্য সত্বেও এই দলের পক্ষে স্থায়িত্বলাভ সম্ভব হয় নি। স্বরাজ্যদলের ব্যর্থতার বিভিন্ন কারণ ছিল, যেমন :

প্রথমত, মূল কারণ হল, দলের প্রধান স্তম্ভ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের আকস্মিক প্রয়াণ। তাঁর মৃত্যুর (১৯২৫ খ্রিঃ ১৬ ই জুন) পর স্বরাজ্য দলের নেতৃত্ব গ্রহণের উপযুক্ত বিচক্ষণ নেতা ছিলেন না।

দ্বিতীয়ত, স্বরাজ্য দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকট হয়ে ওঠে। বাংলায় সুভাষ চন্দ্র বসু ও যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্তের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ গ্রহণ করে। কেন্দ্রীয় স্তরেও ভাঙন দেখা দেয়।

তৃতীয়ত, স্বরাজ্য দলের কর্মসূচির মধ্যেও ত্রুটি ছিল। শুধুমাত্র বিত্তবান শ্রেণির লোকেরা এর নেতৃত্বে ছিলেন এবং গণমুখী কর্মসূচির অভাবে স্বরাজ্য দলের গণসমর্থন ছিল না।

চতুর্থত , স্বরাজ্যদল ক্রমশ আপসমুখী হয়ে পড়ে এবং ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করে।

পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রিটিশ সরকারের কঠোর দমন নীতি স্বরাজ্য দলের ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে ওঠে। কিন্তু নানান ব্যর্থতা সত্ত্বেও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বরাজ্য দলের অবদানকে অস্বীকার করা যায় না, কারণ স্বরাজ্য দলের ধারাবাহিক আক্রমণ ও দাবিদাওয়ার ফল হিসেবে ব্রিটিশ সরকার সাইমন কমিশন গঠন করতে বাধ্য হয়।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।