অসহযোগ আন্দোলনের উদ্দেশ্য | Objectives of Non-Cooperation Movement




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Objectives of Non-Cooperation Movement. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে অসহযোগ আন্দোলনের উদ্দেশ্য | Objectives of Non-Cooperation Movement

Ajjkal



অসহযোগ আন্দোলনের উদ্দেশ্য | Objectives of Non-Cooperation Movement

অসহযোগ আন্দোলনের উদ্দেশ্য :

অসহযোগ আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল-

(ক) দমনমূলক আইনগুলি, বিশেষভাবে কুখ্যাত রাওলাট আইনের বিরোধিতা করা।

(খ) জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো।



(গ) খিলাফৎ সমস্যার যথাযথ সমাধানের দাবি জানানো।

(ঘ) এক বছরের মধ্যে স্বরাজ অর্জন করা।

অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি : এই সকল উদ্দেশ্যগুলি পুরণ করার জন্য গান্ধিজি ইতিবাচক ও নেতিবাচক এই দুই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

● অসহযোগ আন্দোলনের ইতিবাচক দিকগুলো ছিল :

(১) চরকা ও তাঁত ব্যবহার করে দেশীয় সুতায় কাপড় বোনা।




(২) অস্পৃশ্যতা দূর করা।

(৩) পঞ্চায়েতরাজ প্রতিষ্ঠা।

(৪) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা।

(৫) এক কোটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা।

(৬) তিলক স্মৃতি তহবিলে এক কোটি টাকার তহবিল গঠন, প্রভৃতি।

● অসহযোগ আন্দোলনের নেতিবাচক কর্মসূচির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল :

(১) ব্রিটিশ সরকারের অফিস, আদালত প্রভৃতি বর্জন।

(২) সমস্ত সরকারি উপাধি, খেতাব ও অনুষ্ঠান বর্জন করা।

(৩) সরকারি স্কুল ও কলেজ বর্জন।

(৪) কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভা বর্জন।

(৫) বিদেশি বস্ত্র বর্জন।

(৬) মদ্যপান বর্জন।

সংক্ষেপে বলা যায় সম্পূর্ণ অহিংস পদ্ধতিতে সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করে তাদের শাসন ব্যর্থ করে দেওয়াই ছিল এই আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য ।

অসহযোগ আন্দোলনের ব্যর্থতা : আন্দোলন যখন প্রকৃত গণ-আন্দোলনে পরিণত হতে চলেছে ঠিক সেই মুহূর্তে, উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার চৌরিচৌরা থানায় উত্তেজিত জনতা থানা আক্রমণ করে। এই ঘটনায় ২২ জন পুলিশ নিহত হন। এই হিংসাত্মক ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গান্ধিজি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। গান্ধিজির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুভাষচন্দ্র বসু, জওহরলাল নেহরু প্রমুখ নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই প্রসঙ্গে সুভাষচন্দ্র বলেছিলেন যে, অসহযোগ আন্দোলনের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ছিল “এক জাতীয় বিপর্যয়ের সমান”।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।