উনিশ শতকের সমাজসংস্কারের মূল উদ্দেশ্য | Objective of Social Reform in 19th Century

উনিশ শতকের সমাজসংস্কারের মূল উদ্দেশ্য | Objective of Social Reform in 19th Century

■ প্রশ্ন:- উনিশ শতকের সমাজসংস্কারের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল? ব্রাহ্মসমাজের দুটি সমাজ-সংস্কার বিষয়ক নীতির উল্লেখ করো। বীরসালিঙ্গম কেন বিখ্যাত?

■ উত্তর:- সমাজ-সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য –

❏ উনিশ শতকের সমাজ-সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য ছিল—

● (১) নারী জাতির মুক্তিসাধন করা।

● (২) পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটানো।

● (৩) ধর্মকে কুসংস্কার মুক্ত করা।

● (8) ভারতীয়দের মনে যুক্তিবাদী মানসিকতার বিকাশ ঘটানো।

■ ব্রাহ্মসমাজের সমাজ-সংস্কার নীতি:- ব্রাহ্মসমাজের দুটি সমাজ-সংস্কার বিষয়ক নীতি হল–

● (১) জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতা থেকে সমাজকে মুক্ত করা।

● (২) নারীশিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে সমাজে নারীজাতির মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত করা।

■ বীরসালিঙ্গম :

❏ ভূমিকা:- বীরসালিঙ্গম বা বীরেশ লিঙ্গম ছিলেন দক্ষিণ ভারতের একজন প্রখ্যাত সমাজ-সংস্কারক ও সাহিত্যিক।

❏ তেলেগু সমাজ-সংস্কারের জনক:- তেলেগু সমাজের কুসংস্কার দূর করতে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। এ কারণে তাঁকে ‘তেলেগু সমাজ-সংস্কারের জনক বলা হয়।

❏ সংস্কার আন্দোলন:- তিনি বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এভাবে তিনি সমাজকে সুস্থ-সুন্দর করে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছিলেন।

❏ সাহিত্যিক কীর্তি:- তাঁর রচিত বিখ্যাত নাটক ‘ব্রক্ষ্মাবিবাহস্থ’ এবং সত্যরাজাচার্য পূর্বদেশ যাত্রালু’ হল তাঁর রচিত একটি প্রহসন। এই গ্রন্থদুটিতে তিনি সমাজের কুসংস্কারগুলির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন।

❏ দক্ষিণ ভারতের বিদ্যাসাগর:- তিনি বিধবাবিবাহের একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন এবং এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে ‘বিধবাবিবাহ সমিতি’ নামে একটি সংস্থা গঠন করেছিলেন। এই কারণে তিনি ‘দক্ষিণ ভারতের বিদ্যাসাগর’ নামে পরিচিত ছিলেন।