Nile Basin

Nile Basin: The longest in the world. The Nile River flows north through the equatorial countries of Tanzania, Uganda, Kenya, Ethiopia, and the Sahara Desert, through Sudan and Egypt, and joins the Mediterranean Sea. Although most of this river basin belongs to the Sahara Desert, its surrounding environment is not conducive to the influence of the Nile.

In this respect, the Nile Basin is a characteristic region of Africa. As a result of this river, extensive agricultural activities are carried out in Egypt and Sudan, as well as a variety of economic activities due to the improvement of industrial and transportation systems. Egypt’s economic development is entirely dependent on the Nile. That is why Egypt is called the gift of the Nile.

Location and size: The basin formed by the Nile River and its various tributaries in the north-east of the African continent is called the Nile River Basin. The basin extends through Egypt, Sudan, Kenya, Ethiopia, Uganda and Tanzania. Most of the basin is located in Egypt and Sudan. The area of ​​the entire Nile river basin is about 35 lakh square kilometers.

নীলনদ অববাহিকা(Nile Basin):

পৃথিবীর মধ্যে দীর্ঘতম । নিরক্ষীয় অঞ্চলের তাঞ্জানিয়া , উগান্ডা , কেনিয়া , ইথিওপিয়া এবং সাহারা মরুভূমি অঞ্চলের মধ্যে সুদান ও মিশর প্রভৃতি দেশের মধ্য দিয়ে নীল নদ উত্তরদিকে প্রবাহিত হয়ে ভূমধ্যসাগরে মিশেছে । এই নদী অববাহিকার অধিকাংশ অঞ্চল সাহারা মরুভূমির অন্তর্গত হলেও নীলনদের প্রভাবে এর পারিপার্শ্বিক পরিবেশ মরু অঞ্চলের মতাে নয় । এই দিক দিয়ে নীলনদ অববাহিকা আফ্রিকার এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অঞ্চল । এই নদের প্রভাবে মিশর ও সুদানে ব্যাপক কৃষিকাজ যেমন করা হয় , তেমনই শিল্প ও পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে নানাবিধ অর্থনৈতিক কাজকর্মও লক্ষ করা যায় । মিশর দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি পুরােপুরি নীলনদের ওপর নির্ভরশীল । তাই মিশরকে নীলনদের দান ‘ বলা হয় ।

অবস্থান ও আয়তন : আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর – পূর্বে নীলনদ ও তার বিভিন্ন উপনদীকে কেন্দ্র করে যে অববাহিকা গড়ে উঠেছে তাকে নীল নদ অববাহিকা বলে । এই অববাহিকা মিশর , সুদান , কেনিয়া , ইথিওপিয়া , উগান্ডা ও তাঞ্জানিয়া — এই দুটি দেশের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে । মিশর ও সুদানেই এই অববাহিকার অধিকাংশ অঞ্চল অবস্থিত । সমগ্র নীল নদ অববাহিকার আয়তন প্রায় 35 লক্ষ বর্গ কিলােমিটার । 7 নীল নদ অববাহিকার প্রাকৃতিক পরিবেশ

ভূপ্রকৃতি : বিভিন্ন দেশের এবং বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় নীলনদ অববাহিকার ভূপ্রকৃতি বেশ বৈচিত্র্যময় । উৎস থেকে মােহনা পর্যন্ত সমগ্র নীলনদ অববাহিকাকে ভূপ্রকৃতির তারতম্য অনুসারে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়— [ i ] উৎসের নিকটবর্তী উঁচু মালভূমি ও হ্রদ অঞল : তাঞ্জানিয়ার বুরুন্ডি পার্বত্য অঞ্চল থেকে ভিক্টোরিয়া হ্রদ পর্যন্ত অঞলটি উঁচু মালভূমি অঞ্চল । এই অঞ্চল গ্রম্ভ উপত্যকার মধ্যে অবস্থিত । এই অঞ্চলের গড় উচ্চতা 500 70 ) মিটার ।

[i i ] অববাহিকার উঁচু জলাভূমি অঞল ভিক্টোরিয়া হ্রদ থেকে সুদানের মালাকল পর্যন্ত এই অঞ্চল বিস্তৃত । এই অঞ্চলের গড় উচ্চতা 350-500 মিটার । প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে এই অঞলে বহু জলাভূমি দেখা যায়। নদীপথে ও জলাভূমিগুলিতে নানারকম ঘাস , তা , কচুরিপানা প্রভৃতির অবস্থানের ফলে জলের প্রবাহ রুদ্ধ হয়ে যায় । এরূপ আবদ্ধ জলাশয়কে সাড় বলা হয় ।

[ iii ] অববাহিকার অসমতল তৃণভূমি অঞ্চল : মালাকল থেকে খার্তুম পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি ঈষৎ ঢেউ খেলানাে ও উঁচু – নীচু । এই অঞ্চলে সাভানা জাতীয় তৃণভূমির প্রাধান্য দেখা যায় । এই অঞ্চলটি জেরিরা সমভূমি নামে পরিচিত । [ iv] মােহনার নিকট সমতলভূমি অঞ্চল : খার্তুম থেকে কায়রাে পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে মরু সমভূমির মধ্য দিয়ে নীল নদ প্রবাহিত হয়েছে । এই অঞ্চলের ভূমি ধাপে ধাপে উত্তরদিকে নেমে গেছে । খার্তুম থেকে আসােয়ান পর্যন্ত অংশে নীল নদের গতিপথে তাই বহু খরস্রোত দেখা যায় ।

[ v ] বদ্বীপ অঞল : কায়রাে থেকে ভূমধ্যসাগরের মােহনা পর্যন্ত অংশ নীল নদের বদ্বীপের অন্তর্গত । ব্যাপক পলি সঞ্চয়ের ফলে এই অঞ্চল অত্যন্ত উর্বর । নদ – নদী : নীল নদ অববাহিকার প্রধান নদী হল নীল । হােয়াইট নীল : টাঙ্গনয়িকা ও ভিক্টোরিয়া হ্রদের মধ্যবর্তী বুরুন্ডির উঁচুভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে কাগেরা নদী ভিক্টোরিয়া হ্রদে মিশেছে । পরে হােয়াইট নীল বা ভিক্টোরিয়া নীল নামে কিয়াগাে ও আলবার্ট হ্রদের মধ্য দিয়ে উত্তরদিকে প্রবাহিত হয়ে বাহর – অ – গজলের নিকট সমভূমিতে প্রবেশ করেছে । হােয়াইট নীল নিরক্ষীয় অঞ্চল ও মালভূমি অঞ্চলের মধ্য দিয়েপ্রবাহিত হওয়ায় এই নদীতে সারা বছর যেমন প্রচুর জল থাকে , তেমনই এই নদীর গতিপথে বহু জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়েছে ।

ভিক্টোরিয়া হ্রদের নিকট জলপ্রপাত এবং আলবার্ট হ্রদের নিকট জলপ্রপাত ওয়েন মার্চিসন বিখ্যাত । আলবার্ট হ্রদ থেকে সুদানের সীমা পর্যন্ত হােয়াইট নীলের নাম আলবার্ট নীল । সােবার্টের নিকট বামদিক থেকে বাহর – অল – গজল এবং ডানদিক থেকে সােবার্ট নদী হােয়াইট নীলের সঙ্গে মিলিত হয়েছে ।

নীল : ইথিওপিয়ার উঁচুভূমি অঞ্চলে অবস্থিত টানা হ্রদ থেকে উৎপন্ন হয়ে ব্লু নীল নদ উত্তর – পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে খার্তুমের নিকট হােয়াইট নীল নদে মিলিত হয়েছে । হােয়াইট নীল ও রু নীলের মিলিত প্রবাহ । খার্তুমের পর থেকে নীলনদ নামে পরিচিত । নীল নদ : খার্তুমের পর থেকে নীলনদ মরুভূমি অঞ্চলের মধ্য দিয়ে উত্তরদিকে প্রবাহিত হয়েছে । এই অংশে ডানদিক থেকে আটাবারা নদী নীল নদের সঙ্গে মিশেছে ।

খার্তুম থেকে আসসায়ান পর্যন্ত নীল নদের ও জলবায়ু : নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে উত্তরে ক্রান্তীয় অঞ্চলের দিকে নীল নদ প্রবাহিত হয়েছে বলে এই অববাহিকার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকার জলবায়ু দেখা যায় । [ i ] উৎস অঞল : উৎস অঞ্চল নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত । এই অঞ্চলে সারাবছর যেমন বেশি উন্নতা থাকে , তেমনই প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় । ফলে এই অঞ্চলে নীল নদে সবচেয়ে বেশি জলের জোগান থাকে । ক্রমশ উত্তরদিকে উয়তার পরিমাণ যেমন বাড়তে থাকে , বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কমতে থাকে ।

[ ii ] মধ্য অববাহিকা : মধ্য অববাহিকার উঁচু অঞ্চলে সারাবছর মাঝারি ধরনের [ 75 100 cm ] বৃষ্টিপাতের জন্য জলাভূমির সৃষ্টি হয়েছে । খার্তুম পর্যন্ত অঞ্চলে সাভানা প্রকৃতির এবং ইথিওপিয়ার উঁচুভূমিতে মৌসুমি জলবায়ু দেখা যায় । এই দুই অঞ্চলে গ্রীষ্মকালেই অধিক বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয় । এই কারণে গ্রীষ্মকালে হােয়াইট নীল ও রু নীলে প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয় ।

[ ii ] নিম্ন অববাহিকা : আরও উত্তরে নিম্ন অববাহিকায় মরুপ্রকৃতির জলবায়ু দেখা যায় । এই অঞ্চলে উন্নতার পরিমাণ বেশ বেশি এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশ কম ( গড় 15 cm ) । [ iv ] বদ্বীপ অঞল : বদ্বীপ অঞ্চলে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায় । এই অঞ্চলে শীতকালে সামান্য বৃষ্টিপাত হয় , গ্রীষ্মকাল প্রায় শুষ্ক ।

স্বাভাবিক উদ্ভিদ : জলবায়ুর তারতম্য অনুসারে নীলনদ অববাহিকায় বিভিন্ন ধরনের স্বাভাবিক উদ্ভিদ জন্মাতে দেখা যায় । নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞলে চিরহরিৎ বনভূমি ; সাভানা জলবায়ু অঞ্চলে পর্ণমােচী উদ্ভিদ ও বড়াে বড়াে ঘাস ; মরু জলবায়ু অঞ্চলে কাঁটাযুক্ত গুল্ম , ঝােপঝাড় ও বাবলা , ফণীমনসা , ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ ; ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে ওক , জলপাই , কমলালেবু , আঙুর , অলিভ প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায় ।

নীল নদ অববাহিকার সাংস্কৃতিক পরিবেশ • জলসেচ : নীলনদ অববাহিকার অধিকাংশ অঞ্চল মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলের অন্তর্গত । তাই সুস্থ কৃষিকাজের প্রসারে নীলনদ অববাহিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জলসেচের প্রসার ঘটানাে হয়েছে ।

প্রধানত অববাহিকা সেচ পদ্ধতি , স্থায়ী সেচ পদ্ধতি ও বহুমুখী নদী উন্নয়ন পরিকল্পনার মাধ্যমে নদীতে বাঁধ বেঁধে সেচখালের সাহায্যে নীল নদ অববাহিকায় জলসেচ করা হয়। বর্তমানে নীলনদের একাধিক স্থানে বাঁধ বেঁধে কৃত্রিম জলাধার তৈরি করে স্থায়ী সেচব্যবস্থা । গড়ে তােলা হয়েছে । সুদানে ব্লু নীলের ওপর সেনার বাঁধ ; আটাবারা নদীর ওপর আটাবারা বাঁধ ও খালাস – এল – গিরনা বাঁধ ; মিশরে নীলনদের ওপর আসােয়ান বাঁধ , নাগ হামাদি বাঁধ , অ্যাসিয়ুত বাঁধ প্রভৃতি বিখ্যাত জলাধারের সৃষ্টি হয়েছে ।

কৃষিকাজ : নীলনদ অববাহিকার উৎস অঞ্চল রুক্ষ ও বন্ধুর এবং মধ্য ও নিম্নাংশ মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলের অন্তর্গত হলেও উন্নত সেচব্যবস্থা এই অঞ্চলের কৃষিকাজে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে । [ i ] উৎস ও মধ্যাঞ্চলে প্রধান কৃষিজ ফসল ভুট্টা , চীনাবাদাম ও কলা । অর্থকরী ফসলের মধ্যে কলা উল্লেখযােগ্য ।

[ ii ] সুদানের বিস্তীর্ণ এলাকায় জলসেচের সাহায্যে তুলা , চীনাবাদাম , গম , মিলেট , তিল প্রভৃতি ফসলের চাষ করা হয় । [ iii ] নীলনদ অববাহিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৃষি অঞ্চল হল মিশরের নীলনদের দুপাশের সংকীর্ণ সেচপ্লাবিত অঞ্চল । জলসেচের সাহায্য ছাড়া এই অঞ্চলে চাষাবাদ করা যায় না । তুলা এই অঞ্চলের প্রধান অর্থকরী গ্রীষ্মকালীন ফসল । অধিকাংশ তুলা নীলনদের বদ্বীপ অঞলে চাষ করা হয় । অন্যান্য ফসলের মধ্যে ধান , গম , যব , ডাল , শন প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য ।

আরও পডুনঃ ভারতের জলবায়ু সম্পর্কে

Leave a comment