Hello Students,
Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Newton’s Second law of Motion. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্রের ব্যাখ্যা ও উদাহরণ | Newton’s Second law of Motion।
নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্রের ব্যাখ্যা ও উদাহরণ | Newton’s Second law of Motion
■ নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র:-
■ দ্বিতীয় সূত্র : কোনো বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুর ওপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যেদিকে ক্রিয়া করে ভরবেগের পরিবর্তনও সেই দিকে ঘটে।
■ দ্বিতীয় সূত্রের আলোচনা : নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র থেকে আমরা জানতে পারি— (i) ভরবেগ সম্বন্ধে ধারণা, (ii) বলের পরিমাপ ও বলের দিক এবং (iii) বলের পরম একক।
(i) ভরবেগ (Momentum): ভর ও বেগের সমন্বয়ে কোনো গতিশীল বস্তুতে যে ধর্মের সৃষ্টি হয়, তাকে বস্তুটির ভরবেগ বলে। গণিতের ভাষায় কোনো বস্তুর ভর ও বেগের গুণফল হল বস্তুটির ভরবেগ। বস্তুর ভর m এবং বেগ হলে, বস্তুটির ভরবেগ p = m x v হবে।
■ ব্যাখ্যা : একটি ভারী এবং একটি হালকা বস্তুর ওপর যদি একই সময় ধরে একই বল প্রয়োগ করা হয়, তাহলে হালকা বস্তুটির গতিবেগ ভারী বস্তুটির গতিবেগের চেয়ে বেশি হবে, যদিও বস্তুদুটির ভরবেগ সমান হবে। বস্তুদুটিকে থামাতে হলে উভয়ের ওপর একই পরিমাণ বল প্রয়োগ করতে হবে। সুতরাং, কোনো গতিশীল বস্তুকে থামাতে গেলে কত পরিমাণ বল প্রয়োগ করতে হবে তা সম্মিলিতভাবে বস্তুর ভর ও বেগ নির্ধারণ করে। বস্তুর এই ধর্মের নাম হল ভরবেগ। ভর হল একটি স্কেলার রাশি, কিন্তু বেগ একটি ভেক্টর রাশি। সুতরাং, ভরবেগ হল একটি ভেক্টর রাশি। বেগের দিক যেদিকে ভরবেগের দিকও সেদিকেই হয়।
■ ভরবেগের একক : C.G.S. পদ্ধতিতে ভরবেগের একক গ্রাম সেমি সে -1 (gmcms – 1) এবং SI পদ্ধতিতে কেজি মিটার সে- 1 (kgms – 1)।
(ii) বলের পরিমাপ ও বলের দিক : নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র অনুসারে ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক। যদি প্রযুক্ত বল P হয়, তাহলে P = ভরবেগের পরিবর্তনের হার।
অতএব, P = K × ভরবেগের পরিবর্তনের হার। যেখানে K = সমানুপাতিক ধ্রুবক।
= K × (ভর × বেগ) -এর পরিবর্তনের হার।
= K × ভর × বেগের পরিবর্তনের হার। এখানে ভর অপরিবর্তিত।
= K × ভর × ত্বরণ। যেহেতু ত্বরণ = বেগের পরিবর্তনের হার।
= K × m × f, যেখানে বস্তুর ভর = m এবং ত্বরণ = f ধরা হল।
এখন বলের একক এমনভাবে স্থির করা হয় যে m = 1 একক এবং f = 1 একক হলে P = 1 একক হবে। অর্থাৎ, একক ভরের ওপর ক্রিয়া করে যে বল একক ত্বরণ সৃষ্টি করে তাকে একক বল বলে।
তাহলে, 1 = K × 1 × 1 বা, K = 1 হয়। সেক্ষেত্রে,
[ P = mf ]— এই সমীকরণটি হল নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্রের গাণিতিক রূপ।
অর্থাৎ, প্রযুক্ত বল = বস্তুর ভর × বস্তুর ত্বরণ।
(iii) বলের পরম একক : C.G.S. পদ্ধতিতে বলের পরম একক ডাইন (dyne)। 1 ডাইন এরূপ বল যা 1 গ্রাম ভরের ওপর ক্রিয়া করে 1 সেমি / সে2 ত্বরণ সৃষ্টি করে। SI পদ্ধতিতে বলের পরম একক নিউটন (newton)। 1 নিউটন এরূপ বল যা 1 কেজি ভরের ওপর ক্রিয়া করে 1 মিটার / সে2 ত্বরণ সৃষ্টি করে। 1 নিউটন = 10 5 ডাইন।
■ বলের অভিকর্ষীয় একক : C.G.S. পদ্ধতিতে 1 গ্রাম-ভার = 980 ডাইন এবং SI পদ্ধতিতে 1 কেজি ভার = 9.80 নিউটন।
■ দ্বিতীয় গতিসূত্র থেকে প্রথম গতিসূত্র : নিউনের দ্বিতীয় গতিসূত্র থেকে পাই, m ভরের বস্তুর ওপর P বল প্রযুক্ত হলে যদি বস্তুটির ত্বরণ f হয়, তাহলে P = mf হবে। এখন P = 0 হলে f = 0 হবে, যেহেতু m কখনও শূন্য হয় না। অর্থাৎ, বল প্রযুক্ত না হলে, বস্তুটি ত্বরণহীন হবে। সুতরাং, বলা যায় যে, বাইরে থেকে বল, প্রযুক্ত না হলে বস্তুটি স্থির থাকলে স্থিরই থাকবে কিংবা গতিশীল থাকলে সমবেগে সরলরেখা বরাবর গতিশীল থাকবে, যেহেতু উভয়ক্ষেত্রে ত্বরণ শূন্য। এটাই নিউটনের প্রথম সূত্র।
❏ General Knowledge – Click Here
❏ Job Notification – Click Here
❏ Online Mock Test Quiz – Click Here
Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।