Nazism in Germany জার্মানিতে নাৎসিবাদের উত্থানের কারণ

Nazism in Germany: The rise of Nazism and the republican revolution in Germany at the end of World War I led to the fall of the Kaiser’s William II government. The Weimar Republic was then established in Germany under Friedrich Ebert. People’s dissatisfaction with this government continues to grow for various reasons. Hitler capitalized on this discontent and led to the rise and spread of Nazism. So Nazism in Germany

জার্মানিতে নাৎসিবাদের উত্থানের কারণ (The reason for the rise of Nazism in Germany):

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে জার্মানিতে প্রজাতান্ত্রিক বিপ্লবের ফলে কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম সরকারের পতন ঘটে। এরপর জার্মানিতে ফ্রেডারিক ইবার্টের নতৃত্বে ভাইমার প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। বিভিন্ন কারণে এই সরকারের ওপর জনগণের অসন্তোষ বাড়তে থাকে। এই অসন্তোষকে মূলধন করে হিটলার নাৎসিবাদের উত্থান ও প্রসার ঘটান।

নাৎসিবাদের উত্থানের কারণগুলি হল-

(১) ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিক্রিয়াঃ ভার্সাই সন্ধিকে মানতে প্রজা তান্ত্রিক সরকার বাধ্য হয়েছিল- এ ছাড়া তার আর কোনাে উপায় ছিল না। এর ফলে এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের এক বিশাল ক্ষোভ দেখা দেয়। হিটলারও এই সুযােগে ভাইমার সরকারের সমালােচনা করার সুযােগ হাতছাড়া করেননি।

(২) অর্থনৈতিক কারণঃ জার্মানির ওপর যে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণের বােঝা চাপিয়ে দে হয়েছিল তা দেবার ক্ষমতা জার্মানির ছিল না। ফলে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির। অঞ্চল দখল করে নেয়। এই ঘটনা জার্মান জনগণকে আরও ক্ষুদ্ধ করেছিল।

(৩) ভাইমার সরকারের দুর্বলতাঃ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলে জার্মানিতে প্রবল খাদ্যাভাব, বেকার অর্থনৈতিক সংকট, মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয় যার ফলে সকল শ্রেণির জনগণ এক চরম দুর্দশার সম্মুখীন হয়। এই পরিস্থিতিতে ১৯১৯ থেকে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জার্মানিতে ১৯ টি মন্ত্রীসভা গঠিত হলেও কেউই এই সকল সমস্যার সমাধান করতে পারেনি।

(৪) হিটলারের ব্যাপক প্রচারঃ এই অবস্থার সুযােগ নিয়ে হিটলার প্রচার করেন তিনি ভার্সাই সন্ধিতে পরিবর্তন করবেন, জার্মান অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করবেন, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। তার তীব্র প্রচারে জার্মানির জনগণ দলে দলে তাঁর অনুগামীতে পরিণত হয়।

(৫) হিটলারের জার্মানির ক্ষমতা দখলঃ নাৎসি দলের শক্তি বৃদ্ধি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে জার্মান অর্থনীতি আরও ভেঙে পড়ে। হিটলারের অনুগামীর সংখ্যাও বৃষ্টি পেতে থাকে। ফলে নাৎসি দলের শক্তি ও জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পেতে থাকে।

(৬) চ্যান্সেলর পদে হিটলারঃ ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের জার্মান সংসদের নির্বাচনে নাৎসি দল একক বৃহত্ত দলে পরিণত হয়। হিটলার বহুদলীয় সরকার গঠন করে জার্মানির চ্যান্সেলার বা প্রধানমন্ত্রী হন (১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি)।

(৭) পুনরায় নির্বাচনঃ কিন্তু বহুদলীয় সরকারের শাসনকার্য পরিচালনায় বিভিন্ন অসুবিধার সৃষ্টি হলে হিটলারের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি পুনরায় নির্বাচনের দিন ঘােষণা করেন। কিন্তু নির্বাচনের কয়েকদিন আগে জার্মান সংসদ ভবনটি পুড়ে গেলে হিটলার এই ঘটনার দায় কমিউনিস্টদের ওপর চাপিয়ে তাদের ওপর অত্যাচার শুরু করেন। এর ফলে বিরােধী দলগুলি ভীত হয়ে পড়ে। এতদসত্ত্বেও নির্বাচনে (৫ ই মার্চ, ১৯৩৩ খ্রি.) নাৎসি দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে ব্যর্থ হয়।

(৮) জার্মানির একচ্ছত্র ক্ষমতা লাভঃ পুনরায় হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলার হলেন। তবে এবার তিনি নিজ ক্ষমতাবলে আইনসভাকে দিয়ে ক্ষমতা প্রদানের আইন’(Enabling Act) নামে এক আইন পাশ করিয়ে নেন। এর ফলে তিনি শাসনকার্যে সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে রাষ্ট্রপতি হিন্ডেনবার্গ-এর মৃত্যু হলে হিটলার রাষ্ট্রপতি পদেও অধিষ্ঠিত হন। এভাবে তিনি নিজেকে ফুয়েরার’ বলে ঘােষণা করেন। এইসঙ্গে নাৎসি দল জার্মানিতে ক্ষমতা দখল করল।

Leave a comment