Natural plant of India: Plants that grow naturally in the bosom of nature are called natural plants. In different parts of India, natural plants of different natures are found to grow in varying topography, climate and soil. The forest cover in India is quite small compared to the area, only 20.55%. Classification and Characteristics of Natural Plants Natural plants of India can be divided into 6 main categories according to the variation of rainfall, development, air humidity, topography, soil etc. These are: Tropical evergreen forest Location Tropical evergreen forest is found in the western part of the Western Ghats, Purbachal, Terai region, Andaman and Nicobar Islands, Lakshadweep etc.
ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (Natural plant of India)
প্রকৃতির বুকে স্বাভাবিকভাবে যে সব উদ্ভিদ জন্মায় তাদের স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলে । ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূপ্রকৃতি , জলবায়ু ও মাটির তারতম্যে বিভিন্ন প্রকৃতির স্বাভাবিক উদ্ভিদ জন্মাতে দেখা যায় । আয়তনের তুলনায় ভারতে বনভূমির পরিমাণ বেশ কম , মাত্র 20.55 % ।স্বাভাবিক উদ্ভিদের শ্রেণিবিভাগ ও বৈশিষ্ট্য বৃষ্টিপাত , উন্নতা , বায়ুর আর্দ্রতা , ভূপ্রকৃতি , মাটি প্রভৃতির তারতম্য অনুসারে ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদকে প্রধানত 6 টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । এগুলি হল—
( ক ) ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনভূমি : অবস্থান : পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম অংশ , পূর্বাচল , তরাই অঞ্চল , আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ , লক্ষদ্বীপ প্রভৃতি অঞ্চলে ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনভূমি দেখা যায় ।
জলবায়ু : [ i ] এই অঞ্চলে অধিক তাপমাত্রা ( 25 ° C – 27 ° C), অধিক বৃষ্টিপাত ( 200-300cm ) ও অধিক আর্দ্রতার জন্য বৃক্ষগুলি সব সময় চিরসবুজ থাকে । । প্রধান উদ্ভিদ : গর্জন , চাপলাস , জারুল , আবলুস , লােহাকাঠ , তুন , পুন , শিশু , চাপ , রােজউড , বাঁশ প্রভৃতি এই বনভূমির প্রধান উদ্ভিদ।
(খ)আর্দ্র পর্ণমােচী মৌসুমি বনভূমি : অবস্থান : হিমালয়ের পাদদেশে তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল , ছােটোনাগপুর মালভূমি অঞ্চল , অসম সমভূমি , মধ্য ও নিম্ন গঙ্গ সমভূমি , ওড়িশার মালভূমি ও উপকূল অঞ্চল , দাক্ষিণাত্য মালভূমির বিভিন্ন অংশে এই বনভূমি দেখা যায়।
জলবায়ু : এই অঞ্চলে মাঝারি বৃষ্টিপাত ( 100-150 cm ) , অধিক তাপমাত্রা ( 26 ° C – 27 ° C ) ও মাঝারি আদ্রর্তার ( 50 % -70 % ) জন্য শীতকালে গাছের পাতাগুলি ঝরে পড়ে । এইজন্য এই বনভূমিকে পর্ণমােচী মৌসুমি বনভূমি বলা হয় । প্রধান উদ্ভিদ : শাল , সেগুন , শিরীষ , পলাশ , মহুয়া , চন্দন , অর্জুন , উঁত , জারুল , শিমূল প্রভৃতি এই বনভূমির প্রধান উদ্ভিদ।
( গ ) শুষ্ক পর্ণমােচী বনভূমি : । অবস্থান : পশ্চিমঘাট পর্বতের বৃষ্টিছায়া অঞ্চল , মধ্য ভারতের উঁচুভূমি , আরাবল্লী পর্বতের পূর্বাংশ , উচ্চ গঙ্গা ও শতদ্রু সমভূমি অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে এই বনভূমি দেখা যায় ।
জলবায়ু : এই অঞ্চলে স্বল্প বৃষ্টিপাত ( 50-100cm ) , অধিক তাপমাত্রা ( 28 ° C – 30 ° C ) ও স্বল্প আদ্রর্তার ( 40 % -50 % ) জন্য কাটাযুক্ত গুল্ম , ঝােপ ও তৃণভূমি জন্মায় ।
ঘাসের প্রাধান্যের জন্য এই অঞ্চলকে সাভানা তৃণভূমি অঞ্চল বলা হয় । প্রধান উদ্ভিদ : সাবাই বা ঘাস , হাতি ঘাস , পলাশ , কুল , শিরীষ , আম , জাম প্রভৃতি এই বনভূমির উল্লেখযােগ্য উদ্ভিদ।
( ঘ ) কাঁটাযুক্ত বৃক্ষ , ঝােপ ও গুল্ম : অকস্থান : রাজস্থান , কচ্ছ ও কাথিয়াবাড় উপদ্বীপ , এর দাক্ষিণাত্য মালভূমির বৃষ্টিছায়া অঞ্চলে শুষ্ক কাটাযুক্ত ঝােপ ও গুল্ম জন্মাতে দেখা যায় । কি । জলবায়ু : এই অঞ্চলে অতি স্বল্প বৃষ্টিপাত ( 50 cm- র কম ) , অধিক তাপমাত্রা ( 35 ° C স 45 ° C ) এবং অতি স্বল্প আর্দ্রতার ( 20 % -40 % ) জন্য উদ্ভিদের কাণ্ড ও কাঁটা মােমযুক্ত পদার্থ দ্বারা আবৃত থাকে । মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলে এরূপ উদ্ভিদকে জেরােফাইট বলে । প্রধান উদ্ভিদ : বাবলা , খেজুর , ফণিমনসা , ক্যানক্রম সিলিয়রিস , স্পাইসিজোরা , জুলিফ্লোরা প্রভৃতি কাটাযুক্ত বৃক্ষ , গুল্ম ও ঘাস এই অঞ্চলের প্রধান উদ্ভিদ ।
( ঙ ) পার্বত্য অঞ্চলের বনভূমি : পার্বত্য অঞ্চলের বনভূমি প্রধানত উচ্চতা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্যে গড়ে ওঠে । ভারতের পার্বত্য বনভূমিকে দুভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে—
[ 1 ] দক্ষিণ ও মধ্য ভারতের পার্বত্য বনভূমি : দক্ষিণ ও মধ্য ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বত , নীলগিরি ও পালনি পাহাড় , বিন্ধ্য , সাতপুরা , মহাদেব , মহাকাল প্রভৃতি পর্বতের 1000 1500 মিটার উচ্চতায় চিরহরিৎ বনভূমি ; 1500 মিটারের অধিক উচ্চতায় আর্দ্র নাতিশীতাে বনভূমি দেখা যায় । এই বনভূমিকে শােলা বনভূমি বলা হয় । ম্যাগনােলিয়া , লরেন্স , রডােডেনড্রন , এম , সিঙ্কোনা , ওয়াটেল প্রভৃতি এই বনভূমির প্রধান উদ্ভিদ।
[ 2 ] হিমালয় পার্ল্ড অঞ্চলের বনভূমি : হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রা , বৃষ্টিপাত ও উচ্চতার তারতম্যে নানাধরনের উদ্ভিদ জন্মায় । পূর্ব হিমালয় ও পশ্চিম হিমালয়ে এই কারণে বনভূমির বেশ পার্থক্য দেখা যায়। পাদদেশ থেকে 1000 মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় পূর্ব হিমালয়ে ( 150-200 cm বৃষ্টিপাত ) শাল , সেগুন , গর্জন , বাঁশ , প্রভৃতি পর্ণমােচী ও চিরহরিৎ বৃক্ষের মিশ্র বনভূমি এবং পশ্চিম হিমালয়ে ( 50-75 cm বৃষ্টিপাত ) ঘাস ও পর্ণমােচী বৃক্ষের গুল্ম ও শুষ্ক বনভূমি দেখা যায় ।
পূর্ব হিমালয়ে 1000-3000 মিটার উচ্চতায় ( 200 300 cm বৃষ্টিপাত ) ওক , চেস্টনাট , অ্যাশ , বিচ প্রভৃতি চিরহরিৎ বনভূমি এবং পশ্চিম হিমালয়ের 1000-2000 মিটার উচ্চতায় ( 50-100 cm বৃষ্টিপাত , শীতে তুষারপাত ) চির পাইনের পর্ণমােচী বনভূমি দেখা যায় । পূর্ব হিমালয়ের 3000-4000 মিটার উচ্চতায় ( 50 100 cm বৃষ্টিপাত , শীতে তুষারপাত ) এবং পশ্চিম হিমালয়ের 2000-3000 মিটার উচ্চতায় ( 50 cm বৃষ্টিপাত , শীতে তুষারপাত ) প্রুস , ফার , সিডার , রূপালি ফার , পাইন প্রভৃতি সরলবর্গীয় বৃক্ষের বনভূমি দেখা যায় । এ পূর্ব হিমালয়ের 4000-5000 মিটার উচ্চতায় এবং পশ্চিম হিমালয়ের 3000-5000 মিটার উচ্চতায় ( 50 cm- এর কম বৃষ্টিপাত , শীতে তুষারপাত ) রডােডেনড্রন , জুনিপার , বার্চ , সূচিমুখ পাইন , ভুর্জ প্রভৃতি আল্পীয় উদ্ভিদ ও তৃণভূমি জন্মায় ।
( চ ) ম্যানগ্রোভুবনভূমি : অকথন : গঙ্গ , গােদাবরী , কৃয়া , কাবেরী প্রভৃতি নদীর বদ্বীপ অঞ্চলে , আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপকূলভাগে জোয়ার – ভাটা অধ্যুষিত লবণাক্ত মাটিতে এই ধরনের উদ্ভিদ জন্মায় । জলবায়ু : অধিক উন্নতা ও বৃষ্টিপাতের প্রভাবে এই বনভূমির বিকাশ ঘটে । প্রধান উদ্ভিদ : সুন্দরী , গরান , গেওয়া , কেওড়া , গােলপাতা , পশুর , আগর , ভারা , হােগলা প্রভৃতি এই বনভূমির প্রধান উদ্ভিদ । সমুদ্র ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে জোয়ারের জলের ওঠা – নামা এবং কর্দমাক্ত লবণাক্ত মাটিতে উদ্ভিদগুলি টিকে থাকার জন্য অনেক উদ্ভিদের শ্বাসমূল ও ঠেসমূল দেখা যায় ।
আরও পডুনঃ ভারতের মৃত্তিকা