Hello Students,
Wellcome to www.edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি [My favorite country leader]. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই edu.bengaliportal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে প্রবন্ধ রচনা- আমার প্রিয় দেশনেতা || My favorite country leader ||. এই প্রবন্ধ রচনা- আমার প্রিয় দেশনেতা || My favorite country leader || এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।
🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘
[pdf টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে Click করুন]
প্রবন্ধ রচনা- আমার প্রিয় দেশনেতা || My favorite country leader
ভারতের সুদীর্ঘ স্বদেশি আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে আবির্ভূত হয়েছেন বহু দেশনেতা। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধি, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, স্বদেশ আত্মার বাণীমূর্তি ঋষি অরবিন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শান্তির দূত জওহরলাল নেহরু এমন কত স্মরণীয় নাম, তাঁদের কত গৌরবময় কীর্তিকাহিনি। কিন্তু প্রিয় দেশনেতা নির্বাচনের প্রশ্ন যখন এসে পড়ে, তখন পছন্দ অনুযায়ী যে – কোনো একজনকে প্রিয় বলে চিহ্নিত করতে হয়। সে রকম নির্বাচনের নিরিখে আমার প্রিয় ও আদর্শ দেশনেতা হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি নেতাজি জন্মগ্রহণ করেন কটক শহরে। পিতা জানকীনাথ বসু ছিলেন এখানকার প্রথিতযশা ব্যবহারজীবী। যদিও তিনি ছিলেন চব্বিশ পরগনার কোদালিয়া গ্রামের অধিবাসী। সুভাষচন্দ্রের মাতা ছিলেন প্রভাবতী দেবী। কটক শহরেই নেতাজির পাঠ্যজীবনের সূচনা হয়। কটকের র্যাভেশ কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে শুরু হয় তাঁর কলেজীয় শিক্ষা।
ভারতীয়দের প্রতি অধ্যাপক মি. ওটেন সাহেবের কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান সুভাষচন্দ্র। আর সেই অপরাধে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে হন বহিষ্কৃত। পরে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে প্রথম শ্রেণির অনার্স পেয়ে বি.এ. পরীক্ষায় কতৃকার্য হন। সুভাষ বিলাতে যখন সিভিল সার্ভিস পড়ছেন, তখন কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে ট্রাইপস ডিগ্রি পেয়ে অসামান্য ধীশক্তির পরিচয় রাখেন। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাতেও তিনি রাখেন অসাধারণ কৃতিত্বের স্বাক্ষর। কিন্তু এই সময় তাঁর দেশানুরাগী হৃদয়ে ঘটে দেশাত্মবোধের জাগরণ। ইংল্যান্ডের বুকেই বক্তৃতার মাধ্যমে সমর্থন জানান ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে। এমনকি সিভিল সার্ভিস প্রত্যাখ্যান করে ফিরে আসেন ভারতে।
ভারতে প্রত্যাবর্তনের পরেই শুরু হয় তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ও দেশসেবার দুশ্চর ব্রত। তাঁর তারুণ্য, যৌবনের প্রাণপ্রাচুর্য, কর্মশক্তি, সংগঠনী ক্ষমতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, আসামান্য বাগ্মিতা, অগাধ পাণ্ডিত্য, নেতৃত্বদানের বিস্ময়কর ক্ষমতা সকলকে অভিভূত করে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন তাঁকে টেনে নেন আপন বাহুপাশে। সুভাষচন্দ্র গড়েন এক শক্তিশালী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়রপদে আসীন হন। তাঁর জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বদানের বিস্ময়কর ক্ষমতা দেখে ইংরেজ সরকার ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে তাঁকে নিক্ষেপ করেন কারান্তরালে।
একবার নয়, দুবার নয়, তাঁকে বহুবার বরণ করতে হয় কারাজীবন। দেশবন্ধু ছিলেন স্বরাজ বা পূর্ণ স্বাধীনতার সমর্থক। নেতাজি ছিলেন একই মত ও পথের পথিক। নেতাজির এই আপসহীন চিন্তাধারার সঙ্গে কংগ্রেসের আপসপন্থী ও মধ্যপন্থী দলের মতানৈক্য অনিবার্য হয়ে ওঠে। সুভাষচন্দ্র কংগ্রেস সভাপতির পদ ত্যাগ করেন। তারপর তিনি গড়েন এক নতুন রাজনৈতিক দল যার নাম ফরওয়ার্ড ব্লক। সুভাষচন্দ্রের হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ আন্দোলন, মহাজাতি সদন প্রতিষ্ঠা স্মরণীয় কীর্তি।
শুরু হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। নেতাজি আগেই কারারুদ্ধ হয়েছিলেন, ভগ্ন স্বাস্থ্যের জন্য মুক্তি পেলেও তাঁকে অন্তরীণ রাখা হল স্বগৃহে। তাঁর অন্তরে স্বাধীনতার দীপশিখা ছিল অনির্বাণ। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে কাবুলির ছদ্মবেশে ভারত ছাড়লেন। ইতালি ও জার্মানিতে চলল তাঁর শক্তি সংগ্রহের চেষ্টা। অবশেষে পৌঁছোলেন জাপানে। জাপানপ্রবাসী বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর সক্রিয় সহযোগিতায় প্রবাসী ভারতীয় ও জাপানের হাতে বন্দি ভারতীয়দের নিয়ে গড়ে উঠল আজাদ হিন্দ বাহিনী ও আজাদ হিন্দ সরকার।
সুভাষচন্দ্র হলেন আজাদ হিন্দ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক নেতাজি। ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরল আজাদ হিন্দ বাহিনী। ব্রহ্ম রণাঙ্গন ডিঙিয়ে আসামের কোহিমা- মণিপুরে ভারতের 3 মাটিতে জাতীয় পতাকা তুলল আজাদ হিন্দ বাহিনী। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা, বিশেষ করে পরাভূত জাপানের আত্মসমর্পণের ফলে সব কিছু ব্যর্থ হয়। ব্রিটিশ শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় আজাদ হিন্দ বাহিনী।
সর্বাধিনায়ক নেতাজি আজ কোথায় ? আজও এর যথার্থ জবাব মেলেনি। তবু বাঙালি তথা ভারতবাসীর হৃদয়ে তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী। ভারতের স্বাধীনতা ছিল নেতাজির ধ্যানজ্ঞান, তাঁর সংগ্রামী জীবনের একমাত্র স্বপ্ন। ভারতের সেই স্বাধীনতা এসেছে। তারপর কেটেছে পাঁচ দশকের অধিক কাল। প্রাক্-স্বাধীনতা পর্বের বহু আশা ও স্বপ্নভঙ্গের ব্যথা জমেছে ভারতবাসীর বুকে। অপ্রত্যাশিত কিছু পেয়ে আনন্দে উদ্বেলও হয়েছে। তবু নেতাজির অভাববেদনায় কাতর ভারতবাসীর অন্তর আজও বলে — ‘তোমার আসন শূন্য আজি হে বীর পূর্ণ করো।
🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘
🔵🔴 ভারতের বৃহত্তম, দীর্ঘতম ও উচ্চতম pdf- Click Here
🔵🔴 বিপরীত শব্দ pdf- Click Here
🔵🔴 কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here
🔵🔴 পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here
🔵🔴 বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ও নামকরণকারী দেশ pdf- Click Here
🔵🔴 সমোচ্চারিত শব্দ বা সমার্থক শব্দ pdf- Click Here
🔵🔴 বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর pdf- Click Here
🔵🔴 বছরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন pdf- Click Here
🔵🔴 100+ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর pdf- click Here
🔵🔴 ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর pdf- click Here
🔵🔴 WBCS preliminary practice set pdf- Click Here
🔵🔴 বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here
🔵🔴 ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর – Click Here
🔵🔴 দৈনিক ১০টি স্পেশাল MCQ – Click Here
Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।