জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রধান প্রধান নীতি | Main Guiding Principles of the Non-Aligned Movement




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Main Guiding Principles of the Non-Aligned Movement. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রধান প্রধান নীতি | Main Guiding Principles of the Non-Aligned Movement

Ajjkal



জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রধান প্রধান নীতি | Main Guiding Principles of the Non-Aligned Movement

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রধান প্রধান নীতি : জোট নিরপক্ষে আন্দোলনের বিভিন্ন সম্মেলনে যেসর প্রধান প্রধান নীতি গৃহীত হয়েছিল সেগুলি হল :

(১) জোট নিরপেক্ষতা,

(২) বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা,

(৩) বর্ণবৈষম্য ও সাম্রাজ্যবাদী শোষণ প্রতিহত করা,



(৪) বিভিন্ন দেশের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে সমর্থন করা,

(৫) মৌলিক মানব অধিকার এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদে সংযোজিত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন,

(৬) সব রাষ্ট্রের সার্বভৌম অধিকার ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার স্বীকৃতি,

(৭) ছোটো বড়ো সমস্ত বর্ণ ও জাতির সমানাধিকার,

(৮) অন্যদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা,




(৯) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদ অনুসারে একক বা যৌথভাবে সমস্ত জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি,

(১০) যৌথভাবে কোনও বৃহৎ শক্তির প্রতিরক্ষার স্বার্থরক্ষা করা থেকে বিরত থাকা এবং রাষ্ট্র কর্তৃক অন্য রাষ্ট্রের উপর চাপ সৃষ্টি না করা,

(১১) অন্য কোনও দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা অথবা রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আগ্রাসনমূলক কার্যকলাপ অথবা আগ্রাসনের ভয় দেখানো অথবা বলপ্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা,

(১২) শান্তিপূর্ণ উপায়ে পারস্পরিক সমস্যার সমাধান করা।

(১৩) পরস্পরের স্বার্থরক্ষা করা এবং পরস্পরকে সহযোগিতা করা এবং

(১৪) আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা ও ন্যায়-নীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের গুরুত্ব : ত্রুটিবিচ্যুতি ও ব্যর্থতা এবং নানাভাবে সমালোচিত হওয়া সত্ত্বেও জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না, কারণ :

প্রথমত, এই আন্দোলন এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশগুলোকেও সংঘবদ্ধ করে তাদের দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের জোট রাজনীতি ও ঠাণ্ডা যুদ্ধ থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করেছে।

দ্বিতীয়ত, এই আন্দোলন তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিয়ে একটি পৃথক মঞ্জু গঠন করার মাধ্যমে আত্মমর্যাদাবোধে উদ্বুদ্ধ করে , যা তাদেরকে ধনবান ও সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী দেশগুলোর হাতের পুতুল হওয়া থেকে বিরত রাখে।

তৃতীয়ত, এই আন্দোলন মুখোশধারী সাম্রাজ্যবাদ, বর্ণবৈষম্যবাদ এবং শক্তিশালী দেশগুলির আণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গঠন করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছে।

চতুর্থত, জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর সম্মিলিত প্রতিবাদের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় মার্কিন ও রুশ আগ্রাসন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।

সর্বোপরি, বিশ্বরাজনীতিতে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না।

■ ভারতের জোট নিরপেক্ষনীতির মূল্যায়ন :

ভারতের জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতিকে অনেকে অনৈতিক ও সুবিধাবাদী নিরপেক্ষতা নীতি ’বলে সমালোচনা করেছেন, কিন্তু এই বক্তব্য গ্রহণ যোগ্য নয়। ভারতের পররাষ্ট্র নীতিকে নিষ্ক্রিয় নিরপেক্ষতা বলা চলে না।

শান্তির স্বপক্ষে ভারত কখনই নিষ্ক্রিয় নির্লিপ্ত থাকে নি, যেমন :

(১) ১৯৫০ সালে কোরিয়ার যুদ্ধে,

(২) ইন্দোচিন ফরাসি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ,

(৩) ১৯৫৬ ও ১৯৫৮ সালে হাঙ্গেরীতে সোভিয়েট রাশিয়ার অত্যাচারের বিরুদ্ধে,

(৪) ভিয়েতনাম ও নিকারাগুয়ার মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং

(৫) প্যালেস্টাইন অঞ্চলে ইস্রায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারত সক্রিয় ভূমিকা নেয়।




(৬) চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিনের স্থায়ী সদস্য ভুক্তির সময় ভারত সক্রিয় সমর্থন জানাতে দ্বিধা করেনি। ভারতের জোট নিরপেক্ষ নীতির মূল প্রবক্তা জওহরলাল নেহেরুর মতে, ‘জোট নিরপেক্ষতা নীতির মানে নিছক সুবিধাবাদী নিরপেক্ষ নীতি নয়, ভারতের জোট নিরপেক্ষ নীতির প্রকৃত উদ্দেশ্য হল বিশ্বরাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে নিজেদের স্বাধীন বিচার শক্তি দিয়ে বিশ্বশান্তি রক্ষা এবং তাকে আরও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করা। তাই গতিশীল নিরপেক্ষতা হল ভারতের জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা।

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।