মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নোত্তর প্রলয়োল্লাস | Madhamik Bengali Questions Answers Pralayollasa

মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নোত্তর প্রলয়োল্লাস | Madhamik Bengali Questions Answers Pralayollasa

  1. ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি কোন্‌ কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহিত হয়েছে?

উত্তর:- অগ্নিবীণা

  1. “ওই নূতনের কেতন ওড়ে…” -‘নূতনের কেতন’ কেমন ভাবে ওড়ার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- কালবৈশাখী ঝড়ের মত

  1. “আসছে এবার…” – কার আসার কথা এখানে বলা হয়েছে?

উত্তর:- প্রলয়ংকর শিবের

  1. ভয়ংকর কিসের মশাল জ্বেলে আসার কথা এখানে বলা হয়েছে?

উত্তর:- বজ্রশিখার

  1. “রক্ত তাহার কৃপান ঝোলে” – ‘কৃপান’ শব্দটির অর্থ উল্লেখ করো।

উত্তর:- তরোয়াল

  1. “দিগন্তরের কাঁদন লুটায় পিঙ্গল তার ত্রস্ত জটায়!” – ‘পিঙ্গল’ শব্দটির অর্থ উল্লেখ করো।

উত্তর:- আগুনের মতন রং

  1. “মভৈঃ মাভৈঃ” – ‘মাভৈঃ’ শব্দের অর্থ উল্লেখ করো।

উত্তর:- ভয় করোনা

  1. “এবার মহানিশার শেষে” – এখানে ‘মহানিশা’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর:- দীর্ঘ পরাধীনতা

  1. “দিগম্বরের জটায় হাসে” – ‘দিগম্বর’ কাকে বলা হয়?

উত্তর:- মহেশ্বর

  1. “ভেঙে আবার গড়তে জানে” – এখানে কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- চির সুন্দর

  1. “বধূরা প্রদীপ তুলে ধর।” – বধূদের প্রদীপ তুলে ধরার কারণ লেখো।

উত্তর:- ধ্বংস ও সৃষ্টির দেবতা কে বরণ করার জন্য

  1. “ওই আসে সুন্দর!” – এখানে সুন্দর কিভাবে আসার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- কাল-ভয়ংকরের বেশে।

  1. এখানে ‘নতুনের কেতন’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?

উত্তর: কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘নতুনের কেতন’ বলতে বিশেষ করে নবসৃষ্টির আগমনকেই বুঝিয়েছেন।

  1. কালবৈশাখীর ঝড় কি রূপে আসে বলে কবি বুঝিয়েছেন?

উত্তর: ‘বিদ্রোহী কবি’ কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুযায়ী কালবৈশাখীর ঝড় মহাকালের চন্ডরূপে এবং ধোঁয়াময় ধূপের রূপেও আসার কথা বলা হয়েছে।

  1. “ওরে ও হাসছে ভয়ঙ্কর” – ভয়ংকর হাসার কারণ কী ছিল?

উত্তর: ‘প্রলয়োল্লাস’কবিতা থেকে উদ্ধত এই অংশে ‘ভয়ংকর’ শব্দটি শিবের ধ্বংসসাধনে মত্ত রূদ্র রুপকে বোঝানো হয়েছে। পুরনো, জড়াজীর্ণ যা-কিছু আছে সমস্তকে ধ্বংস করে নতুন সৃষ্টি মত্ততায় ভয়ঙ্কর হাসছে।

  1. অট্টরোলের হট্টগোলে স্তব্ধ চরাচর” – এই কথার অর্থ বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: শোষণ ও বঞ্চনাময়, জরাজীর্ণ সমাজকে ধ্বংস করার জন্য মহাকালের অট্টরোলে ভয়ংকর সৃষ্টি করেছিল। সেই অট্টরোলের হট্টগোল যে আতঙ্কময় পরিবেশ রচনা করেছিল, তাতে চরাচর ভীত ও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।

  1. “আসবে ঊষা অরুণ হেসে” – এখানে ঊষার কখন কিভাবে আসার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় মহানিশা শেষে করুন বেশে সূর্যোদয়ের হাসি সঙ্গে নিয়ে ঊষা আসার কথা বলা হয়েছে।

  1. “দিগম্বরের জটায় হাসে শিশু চাঁদের কর” – এই উক্তিটির তাৎপর্য উল্লেখ করো।

উত্তর: ‘দিগম্বরের জটা’ বলতে মহাদেবের জটায় কথাই এখানে বলা হয়েছে। নবযুগের আগমনি বার্তা পেয়ে, সেই জটায় আশ্রিম শিশু চাঁদ তার স্নিগ্ধ হাসিতে অর্থাৎ, স্নিগ্ধ আলোর দ্বারা সকলের ঘর ভরিয়ে তুলবেন।

  1. “ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর?” – কবির মতে ধ্বংস দেখেও ভয় পাওয়া অনুচিত কেন?

উত্তর : কবি কাজী নজরুল ইসলাম মনে করতেন যে ধ্বংসের মধ্যেই নতুন সৃষ্টির রহস্য লুকিয়ে থাকে তাই তিনি ধ্বংসকে ভয় পেতে বারন করেছেন।

  1. “প্রলয় বয়েও আসছে হেসে” – প্রলয়ের মাঝেও তার হাসি মুখের কারণ উল্লেখ করো?

উত্তর : কবি কাজী নজরুল ইসলাম মনে করতেন ধ্বংসের মধ্যেই নিহিত রয়েছে নতুন সৃষ্টির বীজ তাই মহাকালকে দেখেও তিনি হাসছেন।

  1. “তোরা সব জয়ধ্বনি কর” – কবি কাদের জয়ধ্বনি করার কথা বলছেন?

উত্তর : পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতাকামী মানুষদের দ্বারা মহাপ্রলয়ের জয়ধ্বনি করার কথা বলছেন।

  1. “প্রলয়োল্লাস” কবিতাটি একটি কী ধরনের কবিতা?

উত্তর:- “প্রলয়োল্লাস” কবিতাটি একটি বিদ্রোহ ভাবপ্রকাশের কবিতা।