মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নোত্তর পথের দাবী | Madhamik Bengali Questions Answers Pathera Dabi
- ব্রিটিশ সরকার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের যে উপন্যাস টি বাজেয়াপ্ত করেছিল, সেটির নাম কী?
উত্তর:- পথের দাবী
- তেলের খনির শ্রমিকরা চাকরির জন্য কোথায় গিয়েছিল?
উত্তর:- রেঙ্গুন
- পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে কার সামনে হাজির করা হয়?
উত্তর:- নিমাইবাবুর সামনে
- মুগ্ধ হয়ে গিরীশ মহাপাত্রের দৃষ্টির দিকে কে তাকিয়ে ছিল?
উত্তর:- অপূর্ব।
- “… বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোল আনা বজায় আছে তা স্বীকার করতে হবে।” – এখানে কথাটি কে বলেছে?
উত্তর:- নিমাই বাবু
- “কাকাবাবু, এই লোকটিকে আপনি কোন কথা জিজ্ঞেস না করে ছেড়ে দিন…” – কাকে ‘কাকাবাবু’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে?
উত্তর:- নিমাইবাবুকে
- “আর যাই হোক, যাকে খুঁজছেন তার কালচারের কথাটা একবার ভেবে দেখুন।” – এই উক্তিটির বক্তা কে?
উত্তর:- অপূর্ব
- “পথে কুড়িয়ে পেলাম…” – এখানে বক্তা পথে কি কুড়িয়ে পেয়েছিল?
উত্তর:- গাঁজার কলকে
- “বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো।” – এখানে ‘বুড়ো মানুষ’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- নিমাইবাবুর
- “দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে।” – এখানে উক্তিটির বক্তা কে?
উত্তর:- জগদীশবাবু
- “আচ্ছা, তুমি এখন যেতে পারো মহাপাত্র।” -এখানে কথাটি কে বলেছেন?
উত্তর:- নিমাইবাবু
- “কিন্তু এই জানোয়ারটাকে ওয়াজ করবার দরকার নেই বড়বাবু।” – এখানে কথাটি কে বলেছে?
উত্তর:- জগদীশবাবু
- “কোন এক অদৃশ্য অপরিজ্ঞতা রাজবিদ্রোহী চিন্তাতেই ধ্যানস্থ হয়ে রইল।” – এখানে রাজদ্রোহী বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:- সব্যসাচী মল্লিক
- “তাহার পোশাক-পরিচ্ছদের বাহার মনে পড়িয়া হঠাৎ হাসির ছটায় যেন দম আটকাইবার উপক্রম হল।” – এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- গিরিশ মহাপাত্র
- “বাবাই একদিন এঁর চাকরি করে দিয়েছিলেন।” – এঁর বলতে কার কথা হয়েছে?
উত্তর:- নিমাইবাবুকে
- “বলিতে বলিতে কণ্ঠস্বর তাহার তীক্ষ্ণ এবং চোখের দৃষ্টি প্রখর হইয়া উঠিল” – এখানে চোখের দৃষ্টি প্রখর হয়ে উঠল?
উত্তর:- অপূর্ব
- “কার লাঞ্ছনা এই কালো চামড়ার নিচে কম জ্বলে না” – কোন লাঞ্ছনার কথা এখানে বলেছে?
উত্তর:- ফিরিঙ্গি ছেলে অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বাইরে বের করে দেওয়া
- “আমার অবর্তমানে সমস্ত বাড়ি তো তোমার” – এখানে কথাটি কে বলেছে?
উত্তর:- বড় সাহেব
- “বামুনের ছেলে, বাংলা লেখাপড়া, শাস্তর-টাস্তর সবই কিছু কিছু শিখে ছিলাম” – এখানে উক্তিটির বক্তা কে ছিলেন?
উত্তর:- গিরিশ মহাপাত্র
- “সে হাত বাড়াইয়া বন্ধুর করমর্দন করিলো।” – এখানে কোন বন্ধুর কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- অপূর্ব
- “ইচ্ছা করিলে আমি তোমাকে টানিয়া নিচে নামাইতে পারি” – এখানে কথাটি কে বলেছে?
উত্তর:- বমা সাব-ইন্সপেক্টর
- “পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল”- পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করে কি দেখা গিয়েছিল?
উত্তর:- পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করার পর দেখা গিয়েছিল সামনের হলঘরে কয়েকজন বাঙালি ব্যক্তি বসে আছেন এবং পুলিশ তাদের জিনিসপত্র তল্লাশি করছে।
- “সম্মুখে হাজির করা হইল।” – কাকে, কার সম্মুখে হাজির করা হয়েছিল?
উত্তর:- গিরিশ মহাপাত্র ওরফে সব্যসাচী মল্লিককে পুলিশ অফিসার নিমাইবাবু সম্মুখে হাজির করা হয়েছিল।
- “এইটুকু কাশির পরিশ্রমেই সে হাঁপাইতে লাগিলো।” – এখানে কে হাঁপাইতে লাগল?
উত্তর:- গিরিশ মহাপাত্র ওরফে সব্যসাচী মল্লিক হাঁপাইতে লাগল।
- “মৃত্যু সেখানে প্রবেশ করতে সাহস করে না।” – মৃত্যু কোথায় প্রবেশ করতে পারে না?
উত্তর:- সব্যসাচী মল্লিক ওরফে গিরীশ মহাপাত্রের চোখের অতল তলে মৃত্যু কোথায় প্রবেশ করতে পারে না।
- “নিমাইবাবু চুপ করিয়া রহিলেন,” – নিমাইবাবুর চুপ থাকার কারণে অপূর্ব কি বলেছিল?
উত্তর:- সন্দেহভাজন গিরিশ মহাপাত্র এবং সব্যসাচী মল্লিক এর সংস্কৃতিগত বৈপরীত্যের বিষয়টি তাকে বিবেচনা মূলক ভাবে গ্রহণ করতে অনুরোধ জানায়।
- “তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন?’ এখানে কোন বস্তুটি পকেটে থাকার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- গাঁজার কলকে পকেটে থাকার কথা বলা হয়েছে যেটি গিরিশ মহাপাত্র রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পেয়েছে বলে দাবি করেছিল।
- “ক্ষণকাল মৌন থাকিয়া কহিলেন!” এখানে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিটি মৌন থাকার পর কী বলেছিল?
উত্তর:- কিছুক্ষণ মৌন থেকে নিমাইবাবু গিরিশ মহাপাত্রকে তার গাজা খাওয়ার কথাটি স্বীকার করে নিতে বলেছিল।
- “জগদীশবাবু চটিয়া উঠিয়া কহিলেন” – জগদীশবাবু রেগে রেগে গিয়ে কী বলেছিল?
উত্তর:- গিরিশ মহাপাত্র গাঁজা খান না জগদীশবাবু চটে ওঠে এবং তাকে দয়ার সাগর বলে ব্যঙ্গ করতে থাকে। এছাড়া মিথ্যাবাদী বলেও চিহ্নিত করেছিল।
- “জগদীশবাবু সম্মতি জানাইলে কহিলেন” – জগদীশবাবু সম্মতিতে কে, কি বলেছিল?
উত্তর:- জগদীশবাবু সম্মতি জানালে নিমাইবাবু বললেন এই শহরে আরো কিছুদিন নজর রাখা দরকার। বিশেষ করে নীল ট্রেনটার ওপর একটু বেশি করে দৃষ্টি রাখার প্রয়োজন আছে।
- “বড়বাবু হাসিতে লাগিলেন।” – বড়বাবু কেন হাসতে লাগলেন?
উত্তর:- জগদীশবাবু গিরীশ মহাপাত্রের অদ্ভুত ধরনের পোশাক, আচরণ এবং বোকার মত মিথ্যা বলার প্রবণতা দেখে তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলায় বড়বাবু হাসতে শুরু করেছিলেন।
- “আজ বাড়ি থেকে কোনো চিঠি পেয়েছেন নাকি?” – কে কোনসময় একথাটা বলেছিল?
উত্তর:- অপূর্বকে অন্যমনস্কতা দেখে রামদাস চিন্তিত মুখে এই প্রশ্নটি করেছিল।
- “অপূর্ব রাজি হইয়াছিল।” – অপূর্বর কিসে রাজি হওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- অপূর্বের বাড়ি থেকে মিষ্টান্ন না আসা পর্যন্ত প্রতিদিন রামদাসের স্ত্রীর হাতে তৈরি মিষ্টান্ন খাবার ব্যাপারে রাজি হয়েছিলেন।
- “এই অন্যায়ের প্রতিবাদ যখন করতে গেলাম” – কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যাওয়ের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- বিনা দোষে অপূর্বকে ফিরিঙ্গির ছেলেরা লাথি মেরেছিল এবং প্ল্যাটফর্ম থেকে বাইরে বের করে দিয়েছিল।
- “মনে হল দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশে যায়।” – অপূর্বের এরকম মনে হয়েছিল কেন?
উত্তর:- বিনা দোষে ফিরিঙ্গীর ছেলেরা অপূর্বকে যখন লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বাইরে বের করে দিয়েছিল তখন ভারতীয়রা মুখ বুঝে সবকিছু সহ্য করায় অপূর্বের এরকম মনে হয়েছিল।
- “আমারও তো তাই বিশ্বাস।” – এখানে বক্তার কোন বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর:- ধর্মপ্রাণ মানুষ গিরিশ মহাপাত্র অপূর্বকে বলেছিল এ যে ললাটের লিখন এ কখনোই খন্ডানো যায় না। এটা শুনে অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রকে সমর্থন করে উক্ত কথাটি বলেছিল।