মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নোত্তর বহুরূপী | Madhamik Bengali Questions Answers Bahurupi
- “শুনেছেন, হরিদা, কি কান্ড হয়েছে?” – এই কাণ্ডটি কোথায় ঘটেছিল?
উত্তর : জগদীশ বাবুর বাড়িতে
- সন্ন্যাসী সারা বছরে শুধু কী খান?
উত্তর : একটি হরিতকী খান
- “আক্ষেপ করেন হরিদা।” – কী আক্ষেপের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিতে না পারার জন্য
- জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর ঝোলাই কত টাকা ফেলেছিল?
উত্তর : একশো টাকা ফেলেছিল
- হরিদা পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : বহুরূপী ছিলেন
- “খুব হয়েছে হরি, এইবার সরে পড়ো। অন্যদিকে যাও।” – উক্তিটি কে করেছেন?
উত্তর : কাশীনাথ
- “সেদিন হরিদার রোজগার বন্ধ হয়নি।” – সেইদিন হরিদা রোজগার করার জন্য কী সেজেছিলেন?
উত্তর : বাইজির ছদ্মবেশ
- বাইজি সেজে হরিদার রোজগার হয়েছিল কত টাকা?
উত্তর : আট টাকা দশ আনা
- নকল পুলিশের সাজে হরিদা কত টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন?
উত্তর : আট আনা
- কার বাড়িতে খেলা দেখাবার জন্য হরিদা হঠাৎ উৎসাহ দেখিয়েছিলেন?
উত্তর : জগদীশ বাবুর বাড়িতে
- ছদ্মবেশে বিরাগী কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর : হরিদা
- হরিদা আবার জগদীশবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন কী কারণে?
উত্তর : বকশিশ নেওয়ার জন্য
- “সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস।” – কোন ভয়ানক দুর্লভ জিনিসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : হিমালয় থেকে আগত সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলোকেই দুর্লভ জিনিস বলা হয়েছে।
- “ওই ধরনের কাজ হরিদার জীবনের পছন্দ নয়।” – কোন, ধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : দোকান বা অফিসে বাঁধাধরা কাজের কথাই বলা হয়েছে।
- “একঘেয়ে কাজ করতে ভয়ানক আপত্তি।” – কেন তার এই আপত্তি ছিল?
উত্তর : হরিদার জীবনে একটা নাটকীয় বৈশিষ্ট লক্ষ্য করা যায়। সে বহুরূপী কাজটাকেই পেশা হিসেবে ধরে রাখতে চায়। তাই একঘেয়ে কাজ করতে তার ভয়ানক আপত্তি।
- “কেউ চিনতে পারে না।” – কাকে চিনতে না পারার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : পেশায় বহুরূপী হরিদা ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকায় তাকে কেউ চিনতে পারে না।
- “এবারের মত মাফ করে দিন ওদের।” – কে, কাকে মাফ করে দেওয়ার কথা বলেছেন?
উত্তর : ছদ্মবেশে থাকা হরিদা লিচু বাগানে চারজন স্কুলছাত্রকে ধরে ছিলো। তাদেরকে বাঁচানোর জন্য এই স্কুলের শিক্ষক হরিদা কে এই কথাগুলি বলেছিল।
- “এবার মারি তো হাতি, লুঠি তো ভান্ডার।” – কে এবং কেন একথা বলেছেন?
উত্তর : বহুরূপী সেজে হরিদা একবারে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন তাই তিনি একথা বলেছেন।
- “চমকে উঠলেন জগদীশবাবু।” – জগদীশবাবুর চমকে ওঠার কারণ কী ছিল?
উত্তর : সন্ধ্যাবেলায় অল্প আলোর মধ্যে ছদ্দবেশ ধারণ করা হরিদাকে দেখে জগদীশবাবু চমকে ওঠেন।
- “ছিল একদিন, সেটা পুনর্জন্মের কথা” – এখানে কে, কি না থাকার কথা বলেছে?
উত্তর : ছদ্দবেশধারী হরিদা বলেছে রাগ নামে কোন রিপু তার মধ্যে নেই।
- পরম সুখ বলতে বৈরাগীর কি বুঝিয়েছে?
উত্তর : সমস্ত সুখের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে, অনন্তের সাধনায় আত্মনিয়োগ করাকেই পরম সুখ বলেছেন।
- “তার হাত দুটো ছটফট করতে শুরু করেছে” – কার হাত দুটি এবং কেন ছটফট করতে শুরু করেছে?
উত্তর : বৈরাগীর ছদ্মবেশে থাকা হরিদার পা ছোয়ার জন্য জগদীশ বাবুর হাত দুটি ছটফট করতে শুরু করেছিল।
- “কি অদ্ভুত কথা বললেন হরিদা!” – অদ্ভুত কথাটি কী ছিল?
উত্তর : একজন বৈরাগী সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করে টাকা স্পর্শ করেননি হরিদা। তাতে নাকি বহুরূপীর ঢং নষ্ট হয়ে যায়।
- “নইলে আমি শান্তি পাবো না।” – একথাটি বলার কারণ কি ছিল?
উত্তর : জগদীশবাবু বিড়ালের ছদ্মবেশ ধারণ করে হরিদার মুখ থেকে কিছু উপদেশ শুনতে চেয়েছিলেন, আর তা না হলে তিনি শান্তি পাবেন না।
- “সেদিকে ভুলেও তাকালেন না” – কে, কোন্ দিকে না তাকানোর কথা বলেছেন?
উত্তর:- জগদীশ বাবুর দেওয়া একশো এক টাকার থলির দিকে ছদ্মবেশ ধারণ করা হরিদা একবারও তাকালেন না।