মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর – পথের দাবী – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | Madhamik Bengali Question Answer Pathera Dabi
1. “পথে কুড়িয়ে পেলাম…” – এখানে বক্তা পথে কি কুড়িয়ে ছিল?
উত্তর:- গাঁজার কলকে
2. “বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো।” – এখানে ‘বুড়ো মানুষ’ টি কে ছিল?
উত্তর:- নিমাইবাবুর
3. “দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে।” – এই উক্তিটির বক্তা কে?
উত্তর:- জগদীশবাবু
4. “আচ্ছা, তুমি এখন যেতে পারো মহাপাত্র।” -এই কথাটি কে বলেছে?
উত্তর:- নিমাইবাবু
5. “কিন্তু এই জানোয়ারটাকে ওয়াজ করবার দরকার নেই বড়বাবু।” – এই কথাটি কে বলেছে?
উত্তর:- জগদীশবাবু
6. “কোন এক অদৃশ্য অপরিজ্ঞতা রাজবিদ্রোহী চিন্তাতেই ধ্যানস্থ হয়ে রইল।” – এখানে রাজদ্রোহী বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- সব্যসাচী মল্লিক
7. “ইচ্ছা করিলে আমি তোমাকে টানিয়া নিচে নামাইতে পারি” – এই কথাটি কে বলেছে?
উত্তর:- বমা সাব-ইন্সপেক্টর
8. “পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল”- পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করে কি দেখাতে পেয়েছিল?
উত্তর:- পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করার পর দেখা গিয়েছিল সামনের হলঘরে কয়েকজন বাঙালি ব্যক্তি বসে আছেন এবং পুলিশ তাদের জিনিসপত্র তল্লাশি করছে।
9. “সম্মুখে হাজির করা হইল।” – কাকে, কার সম্মুখে হাজির করা হলো?
উত্তর:- গিরিশ মহাপাত্র ওরফে সব্যসাচী মল্লিককে পুলিশ অফিসার নিমাইবাবুর সম্মুখে হাজির করা হলো।
10. “এইটুকু কাশির পরিশ্রমেই সে হাঁপাইতে লাগিলো।” – এখানে কে হাঁপাইতে লাগল?
উত্তর:- গিরিশ মহাপাত্র ওরফে সব্যসাচী মল্লিক হাঁপাইতে লাগল।
11. “মৃত্যু সেখানে প্রবেশ করতে সাহস করে না।” – কোন স্থানের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- সব্যসাচী মল্লিক ওরফে গিরীশ মহাপাত্রের চোখের অতল তলে মৃত্যু কোথায় প্রবেশ করতে পারে না।
12. “নিমাইবাবু চুপ করিয়া রহিলেন,” – নিমাইবাবুর চুপ থাকার কারণে অপূর্ব কি বলেছিল?
উত্তর:- সন্দেহভাজন গিরিশ মহাপাত্র এবং সব্যসাচী মল্লিক এর সংস্কৃতিগত বৈপরীত্যের বিষয়টি তাকে বিবেচনা মূলক ভাবে গ্রহণ করতে অনুরোধ জানায়।
13. “তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন?’ এখানে কোন বস্তুটি পকেটে থাকার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- গাঁজার কলকে পকেটে থাকার কথা বলা হয়েছে যেটি গিরিশ মহাপাত্র রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পেয়েছে বলে দাবি করেছিল।
14. “ক্ষণকাল মৌন থাকিয়া কহিলেন!” এখানে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিটি মৌন থাকার পর কী বলেছিল?
উত্তর:- কিছুক্ষণ মৌন থেকে নিমাইবাবু গিরিশ মহাপাত্রকে তার গাজা খাওয়ার কথাটি স্বীকার করে নিতে বলেছিল।
15. “জগদীশবাবু চটিয়া উঠিয়া কহিলেন” – জগদীশবাবু রেগে রেগে গিয়ে কী বলেছিল?
উত্তর:- গিরিশ মহাপাত্র গাঁজা খান না জগদীশবাবু চটে ওঠে এবং তাকে দয়ার সাগর বলে ব্যঙ্গ করতে থাকে। এছাড়া মিথ্যাবাদী বলেও চিহ্নিত করেছিল।
16. “জগদীশবাবু সম্মতি জানাইলে কহিলেন” – জগদীশবাবু সম্মতিতে কে, কি বলেছিল?
উত্তর:- জগদীশবাবু সম্মতি জানালে নিমাইবাবু বললেন এই শহরে আরো কিছুদিন নজর রাখা দরকার। বিশেষ করে নীল ট্রেনটার ওপর একটু বেশি করে দৃষ্টি রাখার প্রয়োজন আছে।
17. “বড়বাবু হাসিতে লাগিলেন।” – বড়বাবু কেন হাসতে লাগলেন?
উত্তর:- জগদীশবাবু গিরীশ মহাপাত্রের অদ্ভুত ধরনের পোশাক, আচরণ এবং বোকার মত মিথ্যা বলার প্রবণতা দেখে তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলায় বড়বাবু হাসতে শুরু করেছিলেন।
18. “আজ বাড়ি থেকে কোনো চিঠি পেয়েছেন নাকি?” – কে কোনসময় একথাটা বলেছিল?
উত্তর:- অপূর্বকে অন্যমনস্কতা দেখে রামদাস চিন্তিত মুখে এই প্রশ্নটি করেছিল।
19. “অপূর্ব রাজি হইয়াছিল।” – অপূর্বর কিসে রাজি হওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- অপূর্বের বাড়ি থেকে মিষ্টান্ন না আসা পর্যন্ত প্রতিদিন রামদাসের স্ত্রীর হাতে তৈরি মিষ্টান্ন খাবার ব্যাপারে রাজি হয়েছিলেন।
20. “এই অন্যায়ের প্রতিবাদ যখন করতে গেলাম” – কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যাওয়ের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- বিনা দোষে অপূর্বকে ফিরিঙ্গির ছেলেরা লাথি মেরেছিল এবং প্ল্যাটফর্ম থেকে বাইরে বের করে দিয়েছিল।
21. “মনে হল দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশে যায়।” – অপূর্বের এরকম মনে হয়েছিল কেন?
উত্তর:- বিনা দোষে ফিরিঙ্গীর ছেলেরা অপূর্বকে যখন লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বাইরে বের করে দিয়েছিল তখন ভারতীয়রা মুখ বুঝে সবকিছু সহ্য করায় অপূর্বের এরকম মনে হয়েছিল।
22. “আমারও তো তাই বিশ্বাস।” – এখানে বক্তার কোন বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর:- ধর্মপ্রাণ মানুষ গিরিশ মহাপাত্র অপূর্বকে বলেছিল এ যে ললাটের লিখন এ কখনোই খন্ডানো যায় না। এটা শুনে অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রকে সমর্থন করে উক্ত কথাটি বলেছিল।
23. ব্রিটিশ সরকার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের যে উপন্যাস টি বাজেয়াপ্ত করেছিল, সেটির নাম কী?
উত্তর:- পথের দাবী
24. তেলের খনির শ্রমিকরা চাকরির জন্য কোথায় গিয়েছিল?
উত্তর:- রেঙ্গুন
25. পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে কার সামনে হাজির করা হয়?
উত্তর:- নিমাইবাবুর সামনে
26. মুগ্ধ হয়ে গিরীশ মহাপাত্রের দৃষ্টির দিকে কে তাকিয়ে ছিল?
উত্তর:- অপূর্ব।
27. “… বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোল আনা বজায় আছে তা স্বীকার করতে হবে।” – এখানে কথাটি কে বলেছে?
উত্তর:- নিমাই বাবু
28. “কাকাবাবু, এই লোকটিকে আপনি কোন কথা জিজ্ঞেস না করে ছেড়ে দিন…” – কাকে ‘কাকাবাবু’ বলা হয়েছে?
উত্তর:- নিমাইবাবুকে
29. “আর যাই হোক, যাকে খুঁজছেন তার কালচারের কথাটা একবার ভেবে দেখুন।” – এই উক্তিটি কার?
উত্তর:- অপূর্ব
30. “তাহার পোশাক-পরিচ্ছদের বাহার মনে পড়িয়া হঠাৎ হাসির ছটায় যেন দম আটকাইবার উপক্রম হল।” – এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- গিরিশ মহাপাত্র
31. “বাবাই একদিন এঁর চাকরি করে দিয়েছিলেন।” – এঁর বলতে কার কথা হয়েছে?
উত্তর:- নিমাইবাবুকে
32. “বলিতে বলিতে কণ্ঠস্বর তাহার তীক্ষ্ণ এবং চোখের দৃষ্টি প্রখর হইয়া উঠিল” – এখানে চোখের দৃষ্টি প্রখর হয়ে উঠল?
উত্তর:- অপূর্ব
33. “কার লাঞ্ছনা এই কালো চামড়ার নিচে কম জ্বলে না” – কোন লাঞ্ছনার কথা এখানে বলেছে?
উত্তর:- ফিরিঙ্গি ছেলে অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বাইরে বের করে দেওয়া
34. “আমার অবর্তমানে সমস্ত বাড়ি তো তোমার” – এই কথাটি কে বলেছে?
উত্তর:- বড় সাহেব
35. “বামুনের ছেলে, বাংলা লেখাপড়া, শাস্তর-টাস্তর সবই কিছু কিছু শিখে ছিলাম” – এই উক্তিটির বক্তা কে?
উত্তর:- গিরিশ মহাপাত্র
36. “সে হাত বাড়াইয়া বন্ধুর করমর্দন করিলো।” – এখানে কোন বন্ধুর কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- অপূর্ব।