প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় সাহিত্যিক উপাদান গুলি | Literary Elements in Indian Historiography

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ নিয়ে এসেছি Literary Elements in Indian Historiography. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় সাহিত্যিক উপাদান গুলি | Literary Elements in Indian Historiography

Ajjkal

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় সাহিত্যিক উপাদান গুলি | Literary Elements in Indian Historiography

■ প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় সাহিত্যিক উপাদান গুলির বিবরণ : প্রাচীন যুগের ভারতের ইতিহাস রচনার ঐতিহাসিক উপাদানগুলিকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, যথা : (ক) সাহিত্যিক উপাদান ও (খ) প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান।

সাহিত্যিক উপাদান : ঐতিহাসিক গুরুত্বের বিচারে সাহিত্যিক উপাদানগুলি হল দুই ধরনের, যথা : দেশীয় সাহিত্য ও বৈদেশিক বিবরণ।

[১] দেশীয় সাহিত্য : দেশীয় সাহিত্যগুলিকে প্রধানত ৪ টি ভাগে বিভক্ত করা যায়, যথা : (ক) ধর্মীয় গ্রন্থ, (খ) ধর্মনিরপেক্ষ গ্রন্থ, (গ) জীবনচরিত এবং (ঘ) আঞ্চলিক ইতিহাস।

● (ক) ধর্মীয় গ্রন্থ : প্রাচীন ভারতের অধিকাংশ গ্রন্থই ধর্মকে ভিত্তি করে লেখা। প্রাচীন ভারতের হিন্দুধর্মের গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল : বেদ, উপনিষদ্, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত প্রভৃতি। প্রাচীন ভারতের উল্লেখযোগ্য বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ হল : ত্রিপিটক ও জাতক এবং জৈন ধর্মগ্রন্থ হল : কল্পসূত্র, পরিশিষ্ট পর্বন প্রভৃতি। এছাড়া বিভিন্ন স্মৃতিশাস্ত্রগুলো (যেমন : ‘নারদ স্মৃতি’, ‘বৃহস্পতি স্মৃতি’, ‘মনুস্মৃতি’ প্রভৃতি) থেকে প্রাচীন ভারতের নানান আর্থসামাজিক তথ্য পাওয়া যায়।

● (খ) ধর্মনিরপেক্ষ গ্রন্থ : প্রাচীন ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ গ্রন্থগুলো আইন, বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিদ্যা, ব্যাকরণ প্রভৃতি বিষয়কে ভিত্তি করে লেখা হয়েছিল। ধর্মনিরপেক্ষ এইসব গ্রন্থগুলোর মধ্যে কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’, পাণিনির ‘অষ্টাধ্যায়ী’, পতঞ্জলির ‘মহাভাষ্য’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বিশাখদত্তের মুদ্রারাক্ষস, কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলম প্রভৃতি নাটক, সাহিত্যের সঙ্গে ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্যেরও সন্ধান দেয়।

● (গ) জীবন চরিত : প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন রাজাদের জীবনের সমকালীন ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে লেখা জীবনচরিতগুলোর মধ্যে বাণভট্টের হর্ষচরিত, বিহুণের ‘বিক্রমাঙ্কদেব চরিত’, সন্ধাকর নন্দীর ‘রামচরিত’ প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

● (ঘ) আঞ্চলিক ইতিহাস : স্থানীয় বা আঞ্চলিকভাবে রচিত গ্রন্থের মধ্যে কাশ্মীরের ওপর লিখিত কহুনের ‘রাজতরঙ্গিনী’ গ্রন্থটি সবচেয়ে প্রসিদ্ধ। এরই পাশাপাশি সোমেশ্বর রচিত ‘রাসমালা’ এবং রাজশেখর রচিত ‘প্রবন্ধকোষ’ থেকে প্রাচীন গুজরাটের রাজনৈতিক ইতিহাস জানা যায়।

[২] বৈদেশিক বিবরণ : ভারতে আসা বিদেশি লেখক ও সাহিত্যিকদের বিবরণ থেকে ভারতীয় ইতিহাস সম্পর্কে যেসব তথ্য পাওয়া যায়, সেগুলিকে বৈদেশিক বিবরণ বলা যায়। প্রাচীন যুগ থেকে বহু সংখ্যক বিদেশি পর্যটক ও রাজদূত এদেশে এসেছেন এবং তাদের বিবরণে ভারত সম্পর্কে নানান মূল্যবান তথ্য জানা যায়, যেমন : প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বৈদেশিক উপাদানগুলোর মধ্যে গ্রীক দূত মেগাস্থিনিসের ‘ইন্ডিকা’ (মৌর্যযুগ), অজ্ঞাত পরিচয় গ্রীক নাবিকের লেখা ‘পেরিপ্লাস’ প্লিনি, টলেমী, কুইন্টাস, কার্টিয়াস, এ্যারিব্যান, প্লুটার্ক প্রমুখ গ্রীক ও রোমান লেখকদের রচনা ও বিবরণ বিশেষভাবে স্মরণীয়।

ফা-হিয়েন (গুপ্তযুগ), হিউয়েন সাঙ (হর্ষবর্ধনের আমল) প্রমুখ চৈনিক পর্যটকদের বিবরণও এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। মধ্যযুগে ভারতে আসা মুসলিম পর্যটকদের মধ্যে আলবেরুনী ও আল মামুদির নাম বিশেষভাবে অগ্রগণ্য। আলবেরুনী রচিত “তহকিক-ই-হিন্দ” গ্রন্থে একাদশ শতকের ভারতের ধর্ম, সমাজ, শিক্ষা ও বিজ্ঞানচর্চার নির্ভরযোগ্য তথ্য জানা যায়।

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।