ইন্টারনেট ও আধুনিক জীবন (Internet and modern life)

Internet and modern life : Education – Civilization and Knowledge – With the progress of science, the new invention of science has brought unimaginable revolution in the media. As a result we got. After newspapers, wireless, telescope, the latest media is the latest media. The mysterious of the Internet spreading on the spider’s net, through our world’s handovers.

ইন্টারনেট ও আধুনিক জীবন (Internet and modern life) :

শিক্ষা – সভ্যতা ও জ্ঞান – বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে পা ফেলে বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার গণমাধ্যমে এনেছে অকল্পনীয় বিপ্লব। ফলে আমরা পেয়েছি। খবরের কাগজ , বেতার , দূরদর্শনের পরে ইন্টারনেটের মতাে সর্বাধুনিক গণমাধ্যম। মাকড়সার জালের মতাে ছড়িয়ে দেওয়া ইন্টারনেটের রহস্যময় যােগসূত্র আমাদের পৃথিবীর মুঠোর মধ্যে। ইন্টারনেট এমনই এক রহস্যময় জাদু। ইন্টারনেট হল এমন এক নেটওয়ার্ক, পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে থাকা কম্পিউটারগুলির মধ্যে সংযােগ রক্ষা করে তথ্যের আদানপ্রদানে সাহায্য করে। পৃথিবীব্যাপী মাকড়সার জালের মতাে কম্পিউটার সংযােগের জন্য বলা হয় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা ডরু ড ডকু। সেজন্য ঠিকানা লেখার জন্য কম্পিউটারের পদায় তিন ডব্রু টাইপ করতে হয়। ইন্টারনেটের ঠিকানার পারিভাষিক নাম ওয়েব অ্যাড্রেস। ঠিকানা লিখলে যে সাইট খুলে যায়, পরিভাষায় তার নাম ওয়েব সাইট।

১৯৬২ সালে গ্যালাকটিক নেটওয়াক কনসেপ্টের ধারণা প্রথম আসে অধ্যাপক জে. সি . আর . লিকলাইডারের মাথায়। তাঁর চিন্তার ফসল বাস্তবে ফলবতী হতে সময় লাগে প্রায় দশ বছর। ১৯৭২ সালে তাঁর মস্তিক – প্রসূত ইন্টারনেটের সূচনা হয়। আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সংযােগ স্থাপনের মাধ্যমে। জনসাধারণের মধ্যে ইন্টারনেটের প্রসার ঘটতে সময় লাগে আর বছর আষ্টেক। তখন ইরাকের বিরুদ্ধে উপসাগরীয় যুদ্ধ চলছে, যুদ্ধের খবরাখবর ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইন্টারনেট আস্তে আস্তে ঢুকে পড়ে গৃহস্থের অন্তঃপুরে।

পৃথিবীর এক প্রান্তের কম্পিউটার থেকে আর – এক প্রান্তের কম্পিউটারে তথ্য হােক, ছবি হােক, ভিডিও হােক বা মাল্টিমিডিয়া তােক পৌছিয়ে দেবার মাধ্যম হিসেবে যে কাজ করে, সে হল স্যাটেলাইট। হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রােটোকলের কাজ হল স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় করা। তথ্য পাঠানাের প্রথম কাজ হল কম্পিউটার সফটওয়্যারে কম্পােজ করা, যে সফটওয়্যারের নাম ওয়েব ব্রাউজার। কম্পােজ করার পরে যে ঠিকানায় পাঠানাে হবে, তা টাইপ করতে হয় কম্পিউটারের পর্দায়। মনে রাখতে হবে প্রত্যেক ওয়েব সাইটের নিজস্ব ঠিকানা বা আই পি অ্যাড্রেস আছে। কাজেই যে ঠিকানায় পাঠানাের জন্য কম্পােজ করা হয়েছে , তা মােডেমের মাধ্যমে প্রথমে যায়। ইন্টারনেট সংযােগকারী মাস্টার কম্পিউটারের কাছে। মাস্টার কম্পিউটার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয় যেখানে পাঠানাে হচ্ছে, সেখানকার সার্ভারের কাছে সে গ্রহণ করে। আই পি অ্যাড্রেস যাচাই করে সঠিক গন্তব্যে পাঠিয়ে দেয়।

আওতায় এসেছে এমন মানুষের সংখ্যা মেরেকেটে পনেরাে থেকে বিশ কোটি মাত্র। তবু অত্যাধুনিক ইন্টারনেট যুগকে অস্বীকার করে দূরে ঠেলে রাখার অর্থ মূখের স্বর্গে বাস করা। জীবনের সঙ্গে ওতপ্রােতভাবে জড়িত বিজ্ঞান ও তথ্য – প্রযুক্তির অন্যতম অঙ্গ। হিসেবে ইন্টারনেট অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পৃক্ত। গােটা দুনিয়া এখন, মাকড়সার জালের বাঁধনে বাঁধা এবং ছােট্ট ইউনিটের মুঠোয়, তা থেকে নির্বাসিত হয়ে থাকা রবিনসন ক্রুশাের মতাে সমাজ – সংসার থেকে ছিটকে পড়া দুর্ভাগ্যের বলি হওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।

আধুনিক জীবনে ইন্টারনেটের বহু ব্যাপ্ত অবদান অকল্পনীয় । ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে আর – এক কম্পিউটারে চিঠিপত্রের আদানপ্রদান হল ই – মেল। কোনাে পােস্টাল বা কুরিয়ার সার্ভিস অত দ্রুত চিঠিপত্রের লেনদেন করতে পারে না। ইন্টারনেটের প্রয়ােজনীয়তা ও কদর বেশি ছাত্রছাত্রী, সাংবাদিক, ডাক্তার ও বিজ্ঞানীদের কাছে। এঁদের জ্ঞাতব্য প্রতিটা বিষয়ের জন্য ইন্টারনেটে পৃথক পৃথক সাইট আছে, বিভিন্ন সংস্থা সাইটগুলি খােলে, রক্ষণাবেক্ষণ করে, সর্বাধুনিক নতুন নতুন তথ্য সংযােজন করে। চাইলেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে – কোনাে সময়ে তথ্য পাওয়া যায়। সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের অশেষ অবদান। প্রতিটি সংবাদসংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে। খুললেই তাজা খবর হাতে আসে। চাকরির খবরাখবর দেয় এমন ওয়েবসাইট খুলে চাকুরিপ্রার্থী তার মনােমত চাকরির খোঁজ নিতে পারে এবং ই – মেলের সাহায্যে বায়ােডাটা জানিয়ে চাকরি সংগ্রহ করতেও পারে। ই – কর্মাসের সাহায্যে ঘরে বসে বিশ্বের বাজারে মাল কেনাবেচা সম্ভব।

বিনােদন ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের অবদান আর – একটি উল্লেখ্য দিক। ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের পছন্দসই অনুষ্ঠান দেখা ও শােনা, উপভােগ করা, এমনকি তারকাদের সঙ্গে সরাসরি যােগাযােগ করা সম্ভব। তবে আমাদের দেশে ইন্টারনেটের চলন বাড়লেও আশানুরূপ প্রসার অচিরে সম্ভব নয়। কারণ ইন্টারনেট এখনও যথেষ্ট ব্যয়বহুল, যা সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ইন্টারনেট যােগাযােগের জন্য কম্পিউটার, মােডেম ও টেলিফোন লাইন সংযােগ এবং আনুষঙ্গিক খরচাদি মিলে ব্যয়ের অঙ্ক বেশ বড়ােসড়াে।

Leave a comment