India’s resources

India’s resources :The concept of wealth and what is called the wealth of India: The natural resources that meet the needs of the people are called resources. No object or substance is called wealth. The ability to meet the needs of that object or substance is called wealth. According to Professor Zimmermann, “Wealth does not mean an object or a substance, but a function which can cause that object or substance to occur.” Concepts about resources: Nature-given elements are usually made up of natural, biological and unearthly objects. Natural elements include rocks, minerals, soil, water, etc. Biological elements are normal plants, animals, fish and humans.

One of the supernatural elements is sunlight, solar radiation, various elements of space, atmosphere etc. These elements together make up the earth’s resources. Man has been using these natural elements for his own purposes since time immemorial by applying his knowledge and intellect. As a result of the advancement of civilization and science, the worldly needs of the people are increasing.

ভারতের সম্পদ (India’s resources)

যে সব প্রকৃতিদত্ত উপাদান মানুষের চাহিদা পূরণ করে তাদের সম্পদ বলা হয় । কোনাে বস্তু বা পদার্থকে সম্পদ বলা হয় না । ওই বস্তু বা পদার্থের চাহিদা পূরণের ক্ষমতাকে সম্পদ বলা হয় । অধ্যাপক জিমারম্যান – এর মতে ‘ সম্পদ বলতে কোনাে বস্তু বা কোনাে পদার্থকে বােঝায় না , বােঝায় কোনাে কার্যকারিতা যা ওই বস্তু বা পদার্থ সংঘটিত করতে পারে । সম্পদ সম্পর্কে ধারণা : প্রকৃতিদত্ত উপাদানগুলি সাধারণত প্রাকৃতিক , জৈবিক ও অপার্থিব বস্তুসমূহ দ্বারা গঠিত হয় । প্রাকৃতিক উপাদান বলতে বােঝায় শিলা , খনিজ , মাটি , জল প্রভৃতিকে । জৈবিক উপাদান হল স্বাভাবিক উদ্ভিদ , প্রাণী , মাছ ও মানুষ ।

অপার্থিব উপাদানগুলির অন্যতম হল সূর্যালােক , সৌরবিকিরণ , মহাকাশের বিভিন্ন উপাদান , বায়ুমণ্ডল প্রভৃতি । এইসব উপাদান মিলিতভাবে পৃথিবীর সম্পদ গঠন করে । মানুষ তার জ্ঞান ও বুদ্ধির প্রয়ােগ করে আদিমকাল থেকেই এইসব প্রকৃতিদত্ত উপাদানগুলিকে নিজের প্রয়ােজনে ব্যবহার করে আসছে । সভ্যতা ও বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে মানুষের পার্থিব প্রয়ােজন বৃদ্ধি পাচ্ছে । ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারের পরিমাণ ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে । সূম্পদের প্রকৃতি অনুযায়ী সম্পদকে তিনভাগে ভাগ করা হয় প্রাকৃতিক সম্পদ , মানবিক সম্পদ ও সাংস্কৃতিক সম্পদ ।

প্রাকৃতিক সম্পদ : যেসব বস্তু বা দ্রব্য প্রকৃতিজাত তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ বলে । সমস্ত প্রাকৃতিক , জৈবিক ও অপার্থিব উপাদান প্রাকৃতিক সম্পদের অন্তর্গত । এইসব উপাদান প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে মানুষের অভাব পূরণ করে থাকে।

মানবিক সম্পদ : মানুষ তার নিজের চাহিদা পূরণের জন্য সম্পদ সৃষ্টি করে । তাই সম্পদ উৎপাদন ও ভােগকর্তা হিসাবে মানুষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ । সাংস্কৃতিক সম্পদ : জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রগতি , মানুষের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও প্রয়ােগ কৌশল প্রভৃতিকে সাংস্কৃতিক সম্পদ বলা হয় । প্রাকৃতিক , মানবিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদের ক্রিয়া – প্রতিক্রিয়ায় সম্পদের উৎকর্ষতা বাড়ে , নতুন সম্পদের সৃষ্টি হয় । ভারতের সম্পদ : ভারতের প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ । এই বিশাল দেশের ভূপ্রকৃতি , শিলার গঠন , জলবায়ু , জলসংস্থান , মাটি , স্বাভাবিক উদ্ভিদ , প্রাণী প্রভৃতির বৈচিত্র্যে নানা ধরনের সম্পদের সৃষ্টি হয়েছে । ভারত জনবহুল দেশ হওয়ায় এইসব সম্পদের সার্বিক ব্যবহার করা সম্ভব হয় । তৃবে সম্পদ উৎপাদনের পরিমাণ ও প্রকৃতি ভারতের সর্বত্র একরকম নয় । উল্লেখযােগ্য বিভিন্ন সম্পদ হল

মাটি সম্পদ : ভারতে নানা ধরনের মাটি দেখা যায় । মাটির বুনন , ভৌত ও রাসায়নিক গঠন , জলধারণ ক্ষমতা প্রভৃতির তারতম্যে মাটির উর্বরতার তারতম্য ঘটে । এর ফলে মাটির কৃষিযােগ্যতারও তারতম্য লক্ষ করা যায় । পলি মাটি , তরাই অঞ্চলের মাটি , উপকূলের মাটিতে ভারতের অধিকাংশ খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয় । কালাে মাটিতে তুলার চাষ বেশি হয় ।

বনজ সম্পদ : ভারতের মতাে জনবহুল ও উন্নয়নশীল দেশে বনভূমিকে বিভিন্নভাবেব্যাপক বনভূমির ব্যবহারের ফলে বনভূমির দ্রুত হাস ঘটলেও ( মােটি আয়তনের 20.55 % ) এই দেশে বনজ সম্পদকে কেন্দ্র করে বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে । প্রধানত জ্বালানি কাঠ ও শিল্পে ব্যবহৃত কাঠ হিসাবে বনজ সম্পদকে ব্যবহার করা হয় । কাঠের মণ্ড , প্লাউইড , দিয়াশলাই , গৃহনির্মাণ , আসবাবপত্র , প্যাকিং বাক্স প্রভৃতি তৈরিতে চেরাই কাঠ ব্যবহার করা হয় । বিভিন্ন চিরহরিৎ ও পর্ণমােচী বৃক্ষের শক্ত কাঠ এবং সরলবর্গীয় বৃক্ষের নরম কাঠ শিল্পের প্রয়ােজনীয় বিভিন্ন উপকরণ তৈরিতে যেমন ব্যবহৃত হয় , তেমনই গৃহস্থালির নানান প্রয়ােজনে ব্যবহার করা হয় । এছাড়া বাঁশ , বেত , মধু , বিভিন্ন ভেষজ দ্রব্য , লাক্ষা , তারপিন তেল , গঁদ , রজন দ্রব্য,মােম , চন্দন তেল , তসর , নানাবিধ ফল প্রভৃতি অসংখ্য গৌণ বনজ সম্পদ বনভূমি থেকে সংগ্রহ করা হয় ।

জলসম্পদ : ভারত জলসম্পদে অত্যন্ত সমৃদ্ধ । নদী – নালা , হ্রদ , জলাশয় অধ্যুষিত এই দেশে জাতীয় জল নীতি অনুসারে ভূপৃষ্ঠের জল ও ভৌম জলের সুষ্ঠু ব্যবহার ও বণ্টনের ওপর অধিক গুরুত্ব আরােপ করা হয়েছে । এর ফলে নবম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার শেষে দেশে প্রায় 85.41 মিলিয়ন হেক্টর জমিতে জলসেচের প্রসার ঘটানাে সম্ভব হয়েছে । ভৌম জলের সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য অধিক ব্যবহৃত অঞ্চল ’ ও ‘ স্বল্প ব্যবহৃত অঞ্চল ‘ চিহ্নিত করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে জলের ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে । যথেচ্ছ ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে জল যাতে দূষিত না হয় সেদিকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে , তেমনই খরা পরিস্থিতির মােকাবিলার জন্য জল সংরক্ষণের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ।

প্রাণীসম্পদ : ভারতের জীববৈচিত্র্য খুব বেশি । প্রায় 89,541 ধরনের প্রাণী প্রজাতি ভারতে দেখা যায় । বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষায় এদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কৃষিকাজ ও বসতির বিকাশ , ব্যাপক বনভূমি হ্রাস , প্রাণীহত্যা , পরিবেশ দূষণ এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বহু প্রজাতি নানাভাবে অবলুপ্ত হয়েছে বা অবলুপ্তির সম্মুখীন হয়েছে । এই কারণে অভয়ারণ্য গড়ে তুলে বন্য প্রাণী সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । পশুপালন ব্যবস্থা দেশের অর্থনীতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত । গবাদি ও মহিষ পশুপালনে ভারত পৃথিবীতে প্রথম স্থান , মেষপালনে চতুর্থ স্থান , ছাগল পালনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।

কৃষিকাজে শক্তির উৎস হিসাবে , পরিবহণ কাজে , দুধ ও বিভিন্ন দুধজাত দ্রব্য উৎপাদনে , চামড়া ও বিভিন্ন চামড়াজাত দ্রব্য উৎপাদনে গবাদি পশু ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় । মাখন ও ঘি উৎপাদনে ভারত পৃথিবীতে প্রথম স্থান অধিকার করে । দুধ উৎপাদনে এই দেশের স্থান পঞম । পশুমাংস , ডিম উৎপাদনেও ভারত যথেষ্ট , খ্যাতিলাভ করেছে । তবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেশি বলে পশুজাত দ্রব্যের তেমন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হয় না । রেশম , লাক্ষা ও মধু সংগ্রহের জন্য রেশম ও লাক্ষাকীট এবং মৌমাছি প্রতিপালন করা হয় । দেশের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ জলাশয় এবং উপকূল ও গভীর সমুদ্র অঞ্চল থেকে মাছ আহরণ করা হয় ( মােট মাছ উৎপাদনে পৃথিবীতে ষষ্ঠ এবং অন্তদেশীয় মাছ উৎপাদনে পৃথিবীতে দ্বিতীয় ) ।

কৃষিজ সম্পদ : ভারত বিভিন্ন কৃষিজ সম্পদে বেশ সমৃদ্ধ । যদিও মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর কৃষিজ উৎপাদন নির্ভরশীল , তবুও কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ( জলসেচ , রাসায়নিক সার , উচ্চফলনশীল বীজ , কীটনাশক , আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রভৃতি ) এবং অনুকূল সরকারি নীতির কারণে এই দেশে কৃষিতে নিযুক্ত জমির পরিমাণ ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে । চাষের জমির পরিমাণ অনুসারে পৃথিবীতে ভারতের স্থান তৃতীয় হলেও কৃষি শিক্ষা প্রসারের অভাব , কৃষির ব্যাপক আধুনিকীকরণের অভাব , মৌসুমি বৃষ্টিপাতের অনিশ্চয়তা প্রভৃতি নানা কারণে ভারতীয় কৃষি আশানুরূপ উন্নতি লাভ করতে পারেনি । তবুও চা , পাট , চীনাবাদাম , সরিষা ও তিল উৎপাদনে এই দেশ পৃথিবীতে প্রথম ; ধান , গম , আখ ও নারকেল উৎপাদনে দ্বিতীয় ; তামাক , রবার উৎপাদনে তৃতীয় । তুলা উৎপাদনে চতুর্থ স্থান ; কফি উৎপাদনে পঞ্চম স্থান অধিকার করে ।

খনিজ সম্পদ : ভারতীয় অর্থনীতিতে খনিজ সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে । প্রায় সমস্ত প্রকার খনিজ সম্পদ ভারতে পাওয়া গেলেও কয়েকটি বিশেষ ধরনের খনিজ সম্পদ উত্তোলনে ভারত পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে । এই দেশ অভ্র উৎপাদনে পৃথিবীতে প্রথম , কয়লা উৎপাদনে তৃতীয় , আকরিক লােহা ( চতুর্থ ) ও ম্যাঙ্গানিজ উৎপাদনে সপ্তম স্থান অধিকার করে । কয়লা , ফেল্ডসপার , চুনাপাথর , অভ্র , ডলােমাইট প্রভৃতি উৎপাদনে ভারত মােটামুটি স্বাবলম্বী।আবার খনিজ তেল ,তামা , দম্ভা, সিসা,টিন প্রভৃতির উৎপাদন খুব বেশি নয় ।

শক্তি সম্পদ : ভারতে তাপবিদ্যুৎ , জলবিদ্যুৎ , আণবিক বিদ্যুৎ এবং বিভিন্ন অপ্রচলিত উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় । ভারতে তাপবিদ্যুতের উৎপাদন ও ব্যবহার সবচেয়ে বেশি । তবে জলবিদ্যুৎ এবং বিভিন্ন অচিরাচরিত শক্তির উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমশই বাড়ছে ।

শিল্প সম্পদ : কৃষিভিত্তিক দেশ ভারতের শিল্প গঠনের সবরকম পরিবেশই রয়েছে । প্রভূত কৃষিজ , বনজ , প্রাণীজ ও খনিজ কাঁচামাল , শক্তি সম্পদ , শ্রমজীবী প্রভৃতির সমন্বয়ে ভারতে শিল্পের যথাযথ বিকাশ গড়ে তােলা যায় । স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারতের শিল্প বিকাশের হার ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে । বর্তমানে ভারত পৃথিবীর অষ্টম শিল্পোন্নত দেশ এবং এশিয়ার অন্যতম প্রধান শিল্পোন্নত দেশ। বিভিন্ন ভারী ও বৃহদায়তন শিল্প , মাঝারি ও ক্ষুদ্রায়তন শিল্প , বিভিন্ন রাসায়নিক ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প , কুটির শিল্প প্রভৃতিতে ভারত ক্রমশই উন্নতি লাভ করছে ।

মানবিক সম্পদ : ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ । 2001 সালের আদমশুমার অনুযায়ী এই দেশের মােট জনসংখ্যা 102,70.15,247 জন । এই দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার পরিমাণ প্রায় 52 % । এই বিপুল পরিমাণ কর্মক্ষম জনসংখ্যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতিতে অংশগ্রহণ করে । শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিকাশ , শিশুমৃত্যুর হারের হ্রাস , মােট আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি , নারী শিক্ষার প্রসার প্রভৃতির ফলে মানবিক সম্পদের বিকাশ ক্রমশই ঘটছে । বিভিন্ন সম্পদের প্রেক্ষাপটে বলা যায় ভারত পৃথিবীর অন্যতম সম্পদপুষ্ট দেশ । যদিও এই দেশের বিভিন্ন সম্পদের উন্নয়নের হার একরকম নয় , সম্পদের সম্ভাবনা অনুযায়ী বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার তেমন হয় না , অপচয় ও যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে পরিবেশ অবনমনের সম্ভাবনা যথেষ্ট বেশি ; তবুও সম্পদ উত্তোলন এবং সম্পদের কার্যকারিতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রসঙ্গে আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে ।

আরও পডুনঃ ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ

Leave a comment