মাছের সন্তরণে পাখনার গুরুত্ব | Importance of Fins in Fish Migration

মাছের সন্তরণে পাখনার গুরুত্ব | Importance of Fins in Fish Migration

■ প্রশ্ন:- মাছের সন্তরণে পাখনার গুরুত্ব নির্ধারণ করো। মানবদেহের হাঁটু ও কাঁধে কোন কোন ধরনের অস্থিসন্ধি দেখা যায়?

❏ মাছের সন্তরনে পাখনার গুরুত্ব:-

মাছ হল অসটিকথিস শ্রেনীভুক্ত জলজ প্রানী। মাছের দেহে সাতটি পাখনা থাকে। পাখনাগুলি রশ্মিবিশিষ্ট হওয়ায় জলের চাপে ছিঁড়ে যায়না। প্রতিটি পাখনার গোড়াগুলি মজবুত পেশী সংলগ্ন থাকে এবং পেশীর সংকোচন প্রসারণের দ্বারা মাছ পাখাগুলিকে সঞ্চালন করে জলে সাঁতার কাটতে থাকে।

● বক্ষ পাখনা ও শ্রেণী পাখনার ভূমিকা:- বক্ষপাখনা মাছকে জলে ওঠানামা করতে ও স্থিরভাবে ভেসে থাকতে সাহায্য করে থাকে।

● পৃষ্ঠ পাখনার ভূমিকা:- পৃষ্ঠ পাখনা মাছের গমনের সময় মাছকে জল কেটে সামনে এগিয়ে যেতে এবং দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে।

● পুচ্ছ পাখনার ভূমিকা:- পুচ্ছ পাখনা গমনের সময় মাছকে দিক পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।

● মাছের গমনে পায়ূ পাখনার বিশেষ কোনো ভূমিকা থাকেনা।

■ মানবদেহের হাঁটুতে কব্জা সন্ধি এবং কাঁধে বল সকেট অস্থিসন্ধি থাকে।

জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিসের ভূমিকা উল্লেখ করো। মাইটোসিস কোশ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশার তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর:- ■ মিয়োসিসের ভূমিকা:-

❏ ক্রমোজোম সংখ্যা দ্রুবক রাখা:- মিয়সিস বিভাজনের ফলে ডিপ্লয়েড (2n) মাতৃকোশের সংখ্যা হ্রাস পায় এবং হ্যাপ্লয়েড (n) কোশের সৃষ্টি হয় এর ফলে দুটি হ্যাপ্লয়েড জনন কোশ মিলিত হয়ে পুনরায় ডিপ্লয়েড কোশ সৃষ্টি করার ফলে প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যা দ্রুবক থাকে।

❏ গ্যামেট উৎপাদন:- জনন মাতৃকোশে মিয়োসিস বিভাজন ঘটায় গ্যামেট উৎপাদিত হয়।

❏ জীবের মধ্যে প্রকরণের উৎপত্তি:- মিয়োসিস বিভাজনের সময় ক্রসিং ওভার ঘটার ফলে জিনের বিনিময় হয় এর ফলে প্রজাতির জিনগত ভেদ বা জিনের প্রকরণ ঘটতে থাকে।

■ মাইটসিস কোশ বিভাজনে অ্যানাফেজ দশার তিনটি বৈশিষ্ট্য:-

(i) অ্যানাফেজ দশায় ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারগুলি সমান দুভাগে বিভক্ত হয়। 

(ii) এই দশায় অপত্য ক্রোমজোম গঠিত হয়ে থাকে।

(iii) অ্যানাফেজ দশায় ক্রোমোজোমগুলি ইংরেজী অক্ষর “V” (মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম), “L” (সাবমেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম, “J” (অ্যাক্রোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম), “I” (টেলসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম)- এর মতো দেখতে হয়।

■ অক্সিন হরমনের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ- অক্সিন হরমন অগ্রথ প্রকটতা নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে থাকে।

■ অক্সিন হরমনের তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো-

● ফলের বৃদ্ধি:- অক্সিন হরমন বীজবিহীন ফল উৎপাদনে সাহায্য করে।

● কোশ বিভাজন ও কোশের আকার-আয়তন বৃদ্ধি:- অক্সিন হরমন উদ্ভিদ কোশের প্রাচীরকে নমনীয় করে তোলে এর ফলে উদ্ভিদ কোশের বিভাজন হয়ে আকার ও আয়তন বৃদ্ধি পায়।

● ফটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রন:- অক্সিন হরমোন উদ্ভিদের ফটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে।

■ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন হরমোনের ভূমিকা উল্লেখ করো।

● কার্বহাইড্রেট বিপাক নিয়ন্ত্রনে ইনসুলিনের ভূমিকা:- ইনসুলিন কোশপর্দার ভেদ্যতা বৃদ্ধি করে ও পেশিকোশে গ্লুকোজ বিশোশনের হার বাড়িয়ে গ্লুকোজকে পাইরুভিক অ্যাসিডে পরিনত করে।

● প্রোটিন বিপাক নিয়ন্ত্রনে ইনসুলিনের ভূমিকা:- যকৃতে নিউগ্লূকোজেনেসিস প্রক্রিয়ার দ্বারা প্রটিন ও ফ্যাট থেকে গ্লুকোজ উৎপন্ন হয়। যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমান বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়।

●  ফ্যাট বিপাক নিয়ন্ত্রনে ইনসুলিনের ভূমিকা:- ইনসুলিন্মেদকলা গ্লুকোজ থেকে ফ্যাট উৎপন্ন করতে সাহায্য করে

এছাড়া গ্লাইকোজেন থেকে গ্লুকোজ উৎপন্ন হতে অর্থাৎ গ্লাইকোজেনেসিস পদ্ধতিকে ইনসুলিন বাধা দিতে থাকে।