60+ Higher Secondary Political Science SAQ Questions | উচ্চমাধ্যমিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান SAQ প্রশ্নোওর

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি 60+ Higher Secondary Political Science SAQ Questions | উচ্চমাধ্যমিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান SAQ প্রশ্নোওর. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই edu.bengaliportal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে 60+ Higher Secondary Political Science SAQ Questions | উচ্চমাধ্যমিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান SAQ প্রশ্নোওর ||. এই 60+ Higher Secondary Political Science SAQ Questions | উচ্চমাধ্যমিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান SAQ প্রশ্নোওর || এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।

🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘



60+ Higher Secondary Political Science SAQ Questions | উচ্চমাধ্যমিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান SAQ প্রশ্নোওর

  1. হবস ও রুশাের মধ্যে পার্থক্য কোথায় ?

উত্তর: (a) হবস চরম রাজতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাসী। কিন্তু রুশাে গণতন্ত্রের পুজারি।

(b) হবস প্রাকৃতিক অবস্থাকে দুর্বিষহ বলেছেন। কিন্তু রুশাে মর্ত্যের স্বর্গ বলেছেন।

(c) হবস রাজতন্ত্রকে স্থায়িত্ব দিতে চেয়েছেন। কিন্তু রুশাে গণতন্ত্রের জয়গান করেছেন।

  1. ঐশ্বরিক মতবাদের কয়েকজন তাত্ত্বিক সমর্থকের নাম লেখাে।

উত্তর: সেন্ট অগাস্টাইন, ধর্মযাজক সেন্টপল, টমাস অ্যাকুইনাস্ত, মার্টিন লুথার, স্যার রবার্ট ফিলমার প্রমুখ তাত্ত্বিকরা ঐশ্বরিক মতবাদের তাত্ত্বিক সমর্থক।

  1. ‘প্যাট্রিয়ার্কা’ (Patriarcha) গ্রন্থটির প্রণেতা কে ?

উত্তর: ‘প্যাট্রিয়ার্কা’ গ্রন্থটির প্রণেতা রবার্ট ফিলমার। এটি ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

  1. হবস প্রণীত গ্রন্থটির নাম কী ? এটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় ?

উত্তর: হবস প্রণীত গ্রন্থটির নাম ‘লেভিয়াথান’। ১৬৫১ খ্রিস্টাব্দে এটি প্রকাশিত হয়।



  1. হবসের মতবাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী ?

উত্তর: (a) দুর্বিষহ প্রাকৃতিক অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ চুক্তি করে রাষ্ট্রের সৃষ্টি করেছে।

(b) চুক্তি হয়েছিল যে, রাজা চুক্তির উর্ধ্বে।

(c) রাজা হলেন সর্বশক্তিমান ও অবাধ ক্ষমতার অধিকারী।

(d) রাজার বিরুদ্ধাচরণ করার অধিকার প্রজাদের নেই।

  1. হবস ও লকের মধ্যে পার্থক্য কোথায় ?

উত্তর: (a) হবস ছিলেন চরম রাজতান্ত্রিক সমর্থক কিন্তু লক নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের সমর্থক।

(b) হবসের মতে চুক্তি হয়েছিল একটি কিন্তু লকের মতে দুটি।

  1. হবস ও রুশাের মধ্যে পার্থক্য কোথায় ?

উত্তর: (a) হবস চরম রাজতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাসী । কিন্তু রুশাে গণতন্ত্রের পুজারি।

(b) হবস প্রাকৃতিক অবস্থাকে দুর্বিষহ বলেছেন। কিন্তু রুশাে মর্ত্যের স্বর্গ বলেছেন।

(c) হবস রাজতন্ত্রকে স্থায়িত্ব দিতে চেয়েছেন। কিন্তু রুশাে গণতন্ত্রের জয়গান করেছেন।

  1. ঐশ্বরিক মতবাদের কয়েকজন। তাত্ত্বিক সমর্থকের নাম লেখাে।

উত্তর: সেন্ট অগাস্টাইন, ধর্মযাজক সেন্টপল, টমাস অ্যাকুইনাস্ত, মার্টিন লুথার, স্যার রবার্ট ফিলমার প্রমুখ তাত্ত্বিকরা ঐশ্বরিক মতবাদের তাত্ত্বিক সমর্থক।

  1. ‘প্যাট্রিয়ার্কা’ (Patriarcha) গ্রন্থটির প্রণেতা কে ?

উত্তর: ‘প্যাট্রিয়ার্কা’ গ্রন্থটির প্রণেতা রবার্ট ফিলমার। এটি ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

  1. ‘City of God’ গ্রন্থটির প্রণেতা কে?

উত্তর: ‘City of God’ গ্রন্থটির প্রণেতা সেন্ট অগাস্টাইন।

  1. ইংল্যান্ডে গৌরবময়বিপ্লব কখন হয় ? এর রাজনৈতিক গুরুত্ব কী ?




উত্তর: ইংল্যান্ডে গৌরবময়বিপ্লব ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দে সম্পন্ন হয়। এই বিপ্লবের রাজনৈতিক তাৎপর্য তথা গুরুত্ব হল এই যে, এর প্রভাবে রাজতন্ত্রের ঐশ্বরিক বৈশিষ্ট্য অবলুপ্ত হয়। অর্থাৎ ধর্ম ও রাজনীতির পৃথকীকরণের সূত্রপাত হয়।

  1. পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে ক্ষুদ্রায়তন রাষ্ট্রের নাম কী ?

উত্তর: পৃথিবীর সর্ববৃহদায়তন রাষ্ট্রটির নাম সাবেক সােভিয়েত ইউনিয়ন (৮৭ লক্ষ বর্গমাইল) এবং সবচেয়ে ক্ষুদ্রায়তন রাষ্ট্রটির নাম স্যানম্যারিনাে (৩৮ বর্গমাইল)।

  1. রাষ্ট্রের প্রধান চারটি বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করাে।

উত্তর: রাষ্ট্রের প্রধান চারটি বৈশিষ্ট্য হল- (a) জনসমষ্টি, (b) নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, (c) সরকার এবং (d) সার্বভৌমিকতা।

  1. ত্রিপুরাকে কেন রাষ্ট্র বলা হয় না, তার দুটি কারণ লেখাে।

উত্তর: ত্রিপুরা একটি রাষ্ট্র নয়। কারণ—
(a) এর সার্বভৌমিকতা নেই। একে কেন্দ্রের অধীনে থেকে কাজ করতে হয়। কেন্দ্রের বিরােধী কোনাে আইন করলে তা বাতিল হয়ে যায়।

(b) ত্রিপুরা বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনাে চুক্তি বা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে না।

  1. মার্কসবাদীরা রাষ্ট্রকে কোন্ দৃষ্টিতে দেখেন ?

উত্তর: মার্কসবাদীরা বলেন, শ্রেণিবিভক্ত সমাজে রাষ্ট্র হল শ্রেণিস্বার্থ সংরক্ষণের একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক হাতিয়ার। লেনিনের মতে, “রাষ্ট্র হল একটি শ্রেণির ওপর অন্য একটি শ্রেণির উৎপীড়নের যন্ত্র, অন্য পদানত শ্রেণিগুলিকে একটি শ্রেণির আয়ত্তে রাখার যন্ত্র। কারণ, যে রাষ্ট্রে জমি ও উৎপাদনের উপায়ের ওপর ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে, সে রাষ্ট্র যতই গণতান্ত্রিক হােক না কেন, তা হল পুঁজিবাদী রাষ্ট্র।

  1. ‘পােলিশ’ ও ‘সিভিটাস’ শব্দ দুটির অর্থ কী ?

উত্তর: ‘পােলিশ’ (Polis) শব্দটি গ্রিক শব্দ। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিকগণ ‘রাষ্ট্র’ অর্থে পােলিশ শব্দটি ব্যবহার করতেন। ‘সিভিটাস’ (Civitas) শব্দটি রােমান শব্দ। রােমান দার্শনিকগণ ‘রাষ্ট্র’ বােঝাতেই সিভিটাস শব্দকে ব্যবহার করতেন। প্রশ্ন

  1. রাষ্ট্র এবং সংঘ কি একে অপরের পরিপূরক ?

উত্তর: রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হল মানুষের কল্যাণসাধন করা। সেই কাজ করতে গেলে সামাজিক সংঘের প্রয়ােজন আছে। কারণ মানুষের বিকাশের জন্যে সামাজিক সংঘগুলি গড়ে ওঠে। ল্যাস্কি বলেন, “রাষ্ট এবং অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সহযােগিতায় সমাজজীবন সর্বাঙ্গসুন্দর হতে পারে। তাই বলা যায়, রাষ্ট্র এবং সংঘ একে অপরের পরিপূরক।

  1. সামাজিক সংঘ বা প্রতিষ্ঠান বলতে কী বােঝায় ?

উত্তর: সমাজতত্ত্ববিদ ম্যাকাইভার ও পেজ তাঁদের ‘সােসাইটি’ (Society) গ্রন্থে সামাজিক সংঘ সম্পর্কে বলেছেন যে, এক বা একাধিক উদ্দেশ্যসাধনের জন্য যখন একটি গােষ্ঠী গড়ে ওঠে তখন তাকে’ সামাজিক সংঘ’ বলে।

  1. রাষ্ট্রের কয়েকটি গৌণ উপাদান বা বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

উত্তর: রাষ্ট্রের গৌণ উপাদানগুলি হল — স্থায়িত্ব, কূটনৈতিক বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং রাষ্ট্রসংঘের সদস্যপদ ইত্যাদি।

  1. ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লবের তাত্ত্বিক প্রবক্তা কাকে বলা হয় ? তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম কী ?

উত্তর: ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লবের (১৬৮৮) তাত্ত্বিক প্রবক্তা বলা হয় জন লককে। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম ‘Two Treaties on Civil Government’

  1. ফরাসি বিপ্লবের তাত্ত্বিক প্রবক্তা কে ? তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম কী ?

উত্তর: ফরাসি বিপ্লবের তাত্ত্বিক প্রবক্তা বা প্রধান অনুপ্রেরণাদাতা ছিলেন রুশাে। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম ‘Social Contract’। এটি ১৭২৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

  1. সামাজিক চুক্তি মতবাদের মুখ্য প্রবক্তা কারা ?

উত্তর: ইংরেজ দার্শনিক হবস, জন লক এবং ফরাসি দার্শনিক রুশাে সামাজিক চুক্তি মতবাদের মুখ্য প্রবক্তা

  1. রাষ্ট্র সম্পর্কে অ্যারিস্টটলের সংজ্ঞাটি লেখাে।

উত্তর: ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক’ অ্যারিস্টটলের মতে, “রাষ্ট্র হল স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে সংগঠিত কয়েকটি পরিবার ও গ্রামের সমষ্টি।”

  1. রাষ্ট্র সম্পর্কে লেনিনের বিখ্যাত উক্তিটি কী ?




উত্তর: লেনিনের মতে, “রাষ্ট্র হল শ্রেণিশাসনের যন্ত্র, রাষ্ট্রের মাধ্যমে এক শ্রেণি অপর শ্রেণিকে শােষণ করে।”

  1. সরকার বলতে কী বােঝ ?

উত্তর: সরকার হল এমন একটি সংগঠন বা যন্ত্র যার মাধ্যমে রাষ্ট্র তার ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দেয়। প্রকৃত অর্থে আইন, শাসন ও বিচার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সমষ্টিকে বলে সরকার।

  1. চুক্তিবাদী হবস লক ও রুশাের মধ্যে সাদৃশ্য কোথায় ?

উত্তর: (১) সকলেই বলেছেন, চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে।

(২) রাষ্ট্রগঠনের পূর্বে মানুষ প্রাকৃতিক অবস্থায় বসবাস করত।

(৩) জীবন,স্বাধীনতা ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য মানুষ প্রাকৃতিক অবস্থা পরিত্যাগ করে রাষ্ট্রগঠনের জন্য উদ্যোগী হয়েছে।

  1. গার্নার প্রদত্ত রাষ্ট্রের সংজ্ঞাটি কী ?

উত্তর: অধ্যাপক গার্নার যে সংজ্ঞাটি দিয়েছেন সেটি হল— “রাষ্ট্র হল বহুসংখ্যক ব্যক্তি নিয়ে গঠিত এমন একটি জনসমাজ যা নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করে, যা বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে সম্পণ বা প্রায় সম্পূর্ণ মুক্ত এবং যার একটি সুগঠিত শাসনব্যবস্থা আছে- যে শাসনব্যবস্থার প্রতি অধিবাসীদের অধিকাংশই স্বাভাবিকভাবে আনুগত্য দেখায়।”

  1. বলপ্রয়ােগ মতবাদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কী ?

উত্তর: (১) বলপ্রয়ােগের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে।
(২) কর্তৃত্ব কায়েম করার জন্যই বলবান ব্যক্তি বা গােষ্ঠী রাষ্ট্রের সৃষ্টি করেছে।
(৩) কেবল রাষ্ট্রের সৃষ্টি নয়, বলপ্রয়ােগ হল রাষ্ট্রপরিচালনা ও সংরক্ষণের মূল শক্তি।

  1. বলপ্রয়ােগ মতবাদের কয়েকজন প্রবক্তার নাম উল্লেখ করাে।

উত্তর: সােফিস্ট দার্শনিক গ্লেসি মেকাস, লিকক, ওপেনহাইমার, জেকস্ ট্রিটস্কে, নিৎসে, বার্নহার্ডি প্রমুখ রাষ্ট্রদার্শনিকরা বলপ্রয়ােগ মতবাদের প্রবক্তা।

  1. বলপ্রয়ােগ মতবাদের গুরুত্ব কী ?

উত্তর: (১) পাশবিক শক্তি রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও বিবর্তনের অন্যতম উপাদান হিসাবে স্বীকৃত।

(২) রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব রক্ষার জন্য বলপ্রয়ােগের প্রয়ােজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না।

(৩) ল্যাস্কির মতে, সামরিক শক্তির মধেই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের মূল নিহিত আছে।

  1. ঐশ্বরিক মতবাদের প্রধান সীমাবদ্ধতা কী ?

উত্তর: (১) ঐশ্বরিক মতবাদ অনৈতিহাসিক, অযৌক্তিক এবং অবিশ্বাস্য।

(২) ঐশ্বরিক মতবাদ রাজনীতিতে চরম স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে।

(৩) লৌকিক বিষয়ে ঈশ্বরের ধারণা ভ্রান্ত।

  1. “সাধারণ ইচ্ছা” কী ?

উত্তর: রুশাের চুক্তিবাদের মূল স্তম্ভ হল ‘সাধারণ ইচ্ছা’। রুশাের মতে, সমষ্টিগত স্বার্থ বা সাধারণের কল্যাণ যে ইচ্ছার মধ্যে বর্তমান তারই সমন্বয়ে সাধারণ ইচ্ছার সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে একই সঙ্গে দুই ধরনের ইচ্ছা থাকে- প্রকৃত ইচ্ছা এবং অপ্রকৃত ইচ্ছা। সাধারণের স্বার্থ বা কল্যাণ সম্পর্কিত ইচ্ছাটি হল প্রকৃত ইচ্ছা। প্রত্যেকের প্রকৃত ইচ্ছার সমন্বয়েই সৃষ্টি হয় সাধারণের ইচ্ছা।

  1. সমাজ কাকে বলে ?

উত্তর: সমাজতাত্ত্বিক ম্যাকাইভার ও পেজের মতে, “সমাজ হল প্রচলিত রীতিনীতি ও প্রক্রিয়া, কর্তৃত্ব ও পারস্পরিক সহযােগিতা, বিভিন্ন গােষ্ঠী ও বিভিন্ন দল, মানব- আচরণ ও স্বাধীনতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গড়ে ওঠা ব্যবস্থা।”

  1. রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে পার্থক্য কী ?

উত্তর: (১) রাষ্ট্রের বহু পূর্বেই সমাজের সৃষ্টি হয়েছে।

(২) রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব আছে , কিন্তু সমাজের নেই।

(৩) রাষ্ট্রের পরিধি সমাজের পরিধির তুলনায় অনেক সীমিত।

  1. ‘State’ বা ‘স্টেট’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি কীভাবে হয়েছে ?

উত্তর: টিউটন যুগে রাষ্ট্র অর্থে ‘স্ট্যাটাস’ শব্দের ব্যবহার করা হত। এই শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ। অর্থাৎ ল্যাটিন শব্দ ‘স্ট্যাটাস’ (Status) থেকেই ইংরেজি শব্দ ‘State’ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে।

  1. লক বর্ণিত ‘প্রাকৃতিক অবস্থা’ কীরূপ ছিল ?

উত্তর: লকের মতে, প্রাকৃতিক অবস্থা ছিল প্রাক- রাষ্টীয়, প্রাক-সামাজিক নয়। এই অবস্থা ছিল শান্তি, শুভেচ্ছা ও পারস্পরিক সহযােগিতার রাজ্য। মানুষ সাধারণভাবে সুখেই ছিল। সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ছিল। ন্যায়, বিবেক ও যুক্তির অনুশাসন ছিল।

  1. রুশাে বর্ণিত ‘প্রাকৃতিক অবস্থা’ কীরূপ ছিল ? উত্তর : রুশাের মতে প্রাকৃতিক অবস্থা ছিল সহজ, সরল ও সুন্দর। মানুষের মধ্যে হানাহানি, হিংসা, দ্বেষ বা দ্বন্দ্ব ছিল না। পরস্পরের মধ্যে ছিল সহযােগিতা ও সৌভ্রাতৃত্ব। মানুষেরা সুখে শান্তিতে বসবাস করত। তার মতে প্রাকৃতিক অবস্থা ছিল স্বর্গরাজ্য।
  2. ভারতে ক্যাবিনেটের মধ্যমনি কাকে বলা হয় ?

উওর: প্রধানমন্ত্রীকে।

  1. ভারতে ক্যাবিনেটের একটি কাজ লেখাে।

উওর: সরকারি নীতি নির্ধারণ করা।

  1. ভারতে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রীসভা কার কাছে যৌথভাবে দায়িত্বশীল থাকে ?

উওর: লােকসভার কাছে।

  1. রাষ্ট্রপতির একটি সামরিক ক্ষমতা লেখাে।

উওর: রাষ্ট্রপতি: যুদ্ধ ঘােষণা ও শান্তি স্থাপন করতে পারা।

  1. রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমতি ছাড়া কোন বিল লােকসভায় উত্থাপন করা যায় না ?

উওর: অর্থবিল।

  1. রাষ্ট্রপতির একটি বিচার সংক্রান্ত কাজ লেখাে।

উওর: রাষ্ট্রপতি ভারতের সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিগণকে নিয়ােগ করেন।

  1. রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য কমপক্ষে কত বছর বয়স হতে হয় ?

উওর: ৩৫ বছর।

  1. ভারতের নিয়মতান্ত্রিক শাসক কাকে বলা হয় ?

উওর: রাষ্ট্রপতিকে ভারতের নিয়মতান্ত্রিক শাসক বলা হয়।

  1. ভারতের রাষ্ট্রপতির কার্যকাল কত বছর ?

উওর: ভারতের রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর।

  1. রাষ্ট্রপতির ভেটো ক্ষমতা কাকে বলে ?

উওর: রাষ্ট্রপতির কোন বিল বাতিল করার ক্ষমতাকে ভেটো ক্ষমতা বলা হয়।

  1. ভারতের উপরাষ্ট্রপতি কোন পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন ?

উওর: একটি নির্বাচন সংস্থা দ্বারা একক হস্তান্তর ভােটের ভিত্তিতে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের নিয়মানুসারে নির্বাচিত হন।

  1. প্রজাতান্ত্রিক সরকার কাকে বলে ?

উওর: যে রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান উত্তরাধিকার সূত্রে ওই পদ লাভ করেন বরং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন সেই সরকারকে প্রজাতান্ত্রিক সরকার বলে অভিহিত করা হয়।

  1. মূখ্যমন্ত্রী কার দ্বারা কিভাবে নিযুক্ত হন ?

উওর: রাজ্যপাল মূখ্যমন্ত্রীকে নিয়ােগ করলেও সাধারণত রাজ্য বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ বা জোটের নেতা বা নেত্রীকে রাজ্যপাল মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়ােগ করতে বাধ্য থাকেন।

  1. আজ পর্যন্ত জরুরী অবস্থা কতবার ঘােষণা হয়েছে ?

উওর: তিনবার।

  1. ভারতে রাষ্ট্রপতির জরুরী অবস্থা সংক্রান্ত ক্ষমতা কত প্রকার ও কি কি ?




উওর: তিন প্রকার। জাতীয় জরুরী অবস্থা (৩৫২ ধারা), রাজ্যে শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা ঘােষনা (৩৫৬ ধারা এবং আর্থিক জরুরী অবস্থা ঘােশনা (৩৬০ ধারা)।

  1. রাজ্যপালের এমন একটি ক্ষমতার উল্লেখ করাে। যা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলিতে দেখা যায় না।

উওর: স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা।

  1. রাজ্যপালের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা বলতে কী বােঝ ?

উওর: রাজ্যপাল তাঁর যেসমস্ত কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের মন্ত্রীপরিষদের সঙ্গে কোনােরূপ আলােচনা করতে বাধ্য নন তাকে বলে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা।

  1. ভারতের রাষ্ট্রপতির বিল বাতিল করার ক্ষমতাকে কী বলে ?

উওর: ভারতের রাষ্ট্রপতির বিল বাতিল করার ক্ষমতাকে ‘ভেটো’ ক্ষমতা বলে।

  1. ভারতের রাষ্ট্রপতির হাতে কত ধরনের ‘ভেটো’ প্রয়ােগের ক্ষমতা আছে ?

উওর: ভারতের রাষ্ট্রপতির হাতে তিন ধরনের ভেটো প্রয়ােগের ক্ষমতা আছে। (ক) চরম ভেটো (খ) স্থগিত ভেটো (গ) পকেট ভেটো।

  1. ভারতের রাষ্ট্রপতি কখন অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন ?

উওর: পার্লমেন্টের অধিবেশন বন্ধ থাকাকালীন সময়ে প্রশাসনের জরুরি প্রয়ােজনে রাষ্ট্রপতি অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন।

  1. ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় কত শ্রেণির মন্ত্রী থাকেন ?

উওর: তিন শ্রেণির – (ক) ক্যাবিনেট মন্ত্রী, (খ) রাষ্ট্রমন্ত্রী, (গ)



Also Read:- Daily Current Affairs in Bengali

Also Read:- Daily Current Affairs in English

🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘

-ঃআরও পড়ুনঃ–

🔵🔴 ভারতের বৃহত্তম, দীর্ঘতম ও উচ্চতম pdf- Click Here

🔵🔴 বিপরীত শব্দ pdf- Click Here

🔵🔴 কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴 পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴 বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ও নামকরণকারী দেশ pdf- Click Here

🔵🔴 সমোচ্চারিত শব্দ বা সমার্থক শব্দ pdf- Click Here

🔵🔴 বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর pdf- Click Here

🔵🔴 বছরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন pdf- Click Here

🔵🔴 100+ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর pdf- click Here

🔵🔴 ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর pdf- click Here

🔵🔴 WBCS preliminary practice set pdf- Click Here

🔵🔴 বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴  ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর – Click Here 

🔵🔴  দৈনিক ১০টি স্পেশাল MCQ – Click Here

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।