বংশগতি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা | Heredity Important Information




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Heredity Important Information. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে বংশগতি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা | Heredity Important Information

Ajjkal



বংশগতি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা | Heredity Important Information

■ বংশগতি কাকে বলে ? (What is Heredity ?) :

বংশগতির সংজ্ঞা : যে প্রক্রিয়ায় পিতা-মাতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সন্তান-সন্ততির দেহে বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয়, তাকে বংশগতি বলে। বংশগতির ফলে পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্যাবলী সন্তান-সন্ততিতে সঞ্চারিত হয়। বংশের বংশগত বৈশিষ্ট্যগুলি পুরুষানুক্রমে এক জনু থেকে পরবর্তী জনুগুলিতে সঞ্চারিত হতে থাকে। জীবের এরকম বংশগত বৈশিষ্ট্যের সঞ্চারণকেই বংশগতি বা হেরিডিটি বলে।



■ বংশগতি সম্পর্কিত কয়েকটি প্রয়োজনীয় সংজ্ঞা (Some useful terms related of Heredity) :

1. অ্যালিল বা অ্যালিলোমর্ফ (Allele or Allelomorph) : সমসংস্থ ক্রোমোজোমের নির্দিষ্ট আলিলোমফ বলে। যেমন লম্বা-বেঁটে, সাদা-কালো ইত্যাদি জোড়া জোড়া বিপরীত বৈশিষ্ট্য নির্ধারণকারী জীন-যুগলের প্রত্যেকটিকে অ্যালিল বলে।

2. প্রকট ও প্রচ্ছন্ন (Dominant and Recessive) : প্লুটো বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীবের মধ্যে পরনিষেক (cross) ঘটালে প্রথম অপত্য বংশে অর্থাৎ Ei জনুতে যে বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশ পায় তাকে প্রকট (dominant) বৈশিষ্ট্য এবং যে বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশ পায় না অর্থাৎ সুপ্ত অবস্থায় থাকে তাকে প্রচ্ছন্ন (recessive) বৈশিষ্ট্য বলে।

3. খাঁটি অর্থাৎ বিশুদ্ধ এবং সংকর (Pure and Hybrid) : যদি কোনও জীব বংশানুক্রমে তার বৈশিষ্ট্যগুলিকে হুবহু একই রকম বজায় রাখে তখন সেই বৈশিষ্ট্যগুলিকে খাঁটি অর্থাৎ বিশুদ্ধ (pure) বলা হয়; অপরপক্ষে দুটি বিশুদ্ধ বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীবের মধ্যে পরনিষেক ঘটানোর ফলে উৎপন্ন উভয়-বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীবকে (যদিও কেবলমাত্র প্রকট বৈশিষ্ট্যই প্রকাশিত হয়) সংকর (hybrid) বলে।




4. সংকরায়ণ (Hybridization) : একই গণের অন্তর্ভুক্ত বিপরীত প্রলক্ষণযুক্ত দুটো জীবের মিলন ঘটিয়ে সংকর জীব সৃষ্টির পদ্ধতিকে সংকরায়ণ বলে। যেমন : একটি বিশুদ্ধ কালো ও বিশুদ্ধ সাদা গিনিপিগের মিলন ঘটালে প্রথম অপত্য জনুতে সব সংকর কালো গিনিপিগের সৃষ্টি হবে।

5. সমসংকর বা হোমোজাইগাস ও বিষমসংকর বা হেটেরোজাইগাস (Homozygous and Heterozy gous) : দুটো একই রকম বৈশিষ্ট্য সমন্বিত গ্যামেটের মিলনের ফলে যে বিশুদ্ধ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জাইগোট উৎপন্ন হয় তাকে হোমোজাইগোট বলে এবং হোমোজাইগোট থেকে সৃষ্ট জীবকে সমসংকর বা হোমোজাইগাস বলা হয়; আবার বিপরীত অর্থাৎ পৃথক বৈশিষ্ট্য সমন্বিত দুটো গ্যামেটের মিলনে যে সংকর জাইগোট উৎপন্ন হয় তাকে হেটেরোজাইগোট এবং হেটেরোজাইগোট থেকে সৃষ্ট জীবকে বিষমসংকর বা হেটেরোজাইগাস বলে।

6. ফেনোটাইপ ও জেনোটাইপ (Phenotype and Genotype) : কোনো জীবের বৈশিষ্ট্যগুলির বাহ্যিক প্রকাশকে ঐ জীবের ফেনোটাইপ (phenotype) বলে। আবার জীবের জিনের গঠন বা জিন – সংযুতির দ্বারা নির্ধারিত বৈশিষ্ট্যকে ঐ জীবের জেনোটাইপ (genotype) বলে।

7. জনু (Generation) : সংকরায়ণ অর্থাৎ পরনিষেককালে নির্বাচিত বিশুদ্ধ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীব দুটোকে জনিতৃ জনু (parental generation) বা সংক্ষেপে ‘P’ জনু বলে। সংকরায়ণের ফলে উৎপন্ন (জনিতৃ জনু থেকে) জীবকে প্রথম অপত্য জনু (First fillial generation) বা সংক্ষেপে ‘F’ জনু বলে। প্রথম অপত্য জনু থেকে উৎপন্ন দুটো জীবের মধ্যে সংকরায়ণ ঘটালে যে অপত্যের সৃষ্টি হবে তাদের দ্বিতীয় অপত্য জনু (Second fillial generation) বা সংক্ষেপে F2 জনু বলা হয়।

8. একসংকর বা দ্বিসংকর জনন (Monohybrid and Dihybrid cross) : একজোড়া বিপরীত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সংকরায়ণ ঘটানোকে একসংকর জনন বলে। অপরপক্ষে, দু’জোড়া বিপরীত ধর্মী বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সংকরায়ণ ঘটানোকে দ্বিসংকর জনন বলে।

9. একসংকর জননের সংজ্ঞা : একই প্রজাতিভুক্ত বিপরীতধর্মী এক-চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুটি জীবের মধ্যে যে যৌন জনন সম্পন্ন হয়, তাকে একসংকর জনন বা মনোহাইব্রিড ক্রস বলে।

■ কী কারণে মেন্ডেল মটর গাছকে তাঁর পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করেছিলেন ? (Why Mendel selected pea plant for his experiment ?) :

বাগানের মিষ্টি মটর গাছে নিম্নলিখিত নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলি থাকায় মেন্ডেল তাঁর পরীক্ষার জন্য মটর গাছকে নমুনা হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন :




  1. মটর গাছ দ্রুত বংশবিস্তারে সক্ষম, তাই অল্প সময়ের মধ্যে বংশানুক্রম কয়েকপুরুষ ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হয়।
  2. মটর ফুল উভলিঙ্গ হওয়ায় মটর গাছে স্ব-পরাগযোগ ঘটানো সম্ভব হয়।
  3. মটর গাছ স্ব-পরাগী হওয়ায় বাইরে থেকে আসা অন্য কোন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
  4. মটর গাছের মধ্যে অনেক রকমের বিপরীত বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় ঘটতে দেখা যায়, অর্থাৎ মটর গাছের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার (varieties) দেখা যায়।
  5. মটর গাছ বংশপরম্পরায় নির্দিষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন খাঁটি অপত্য গাছ উৎপাদন করতে পারে।
  6. সংকর গাছগুলি জননক্ষম হওয়ায় নিয়মিতভাবে বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।