সংক্ষিপ্ত টীকা- গৃহদাহ উপন্যাস (Grhadaha Upanyasa), মহেশ গল্প

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ নিয়ে এসেছি গৃহদাহ উপন্যাস (Grhadaha Upanyasa), মহেশ গল্প. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে গৃহদাহ উপন্যাস (Grhadaha Upanyasa), মহেশ গল্প

Ajjkal

গৃহদাহ উপন্যাস (Grhadaha Upanyasa), মহেশ গল্প

■ গৃহদাহ উপন্যাস:-

উত্তর:: ‘গৃহদাহ’ শরৎচন্দ্রের লেখা বিখ্যাত সামাজিক উপন্যাস। এটি ১৯১৭ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। একটি নারীর হৃদয়ের দোলাচলবৃত্তি দুজন পুরুষের জীবনে কিভাবে বিপর্যয় এনে দেয়, আলোচ্য উপন্যাসে তা দেখানো হয়েছে। মহিম, অচলা, সুরেশ, মৃণাল, রামবাবু প্রমুখ এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। শরৎচন্দ্রের ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসটি গড়ে উঠেছে মহিম, সুরেশ ও অচলার ত্রিভুজ প্রেমের বৃত্তে।

মহিম ভালোবেসে অচলাকে বিবাহ করেছিল। অচলার হৃদয়ে সঞ্চিত ছিল মহিম ও সুরেশ দুজনের প্রতি সমান প্রেমাকর্ষণ। মহিমের অসুস্থতার সুযোগে সুরেশ অচলাকে নিয়ে চলে যাবার পর তাদের প্রথম মিলন বর্ণিত হয়েছে এক দুর্যোগের আবহাওয়ায়— “বাহিরে মত্ত রাত্রি তেমনি দাপাদাপি করিতে লাগিল, আকাশের বিদুৎ তেমনি বারংবার অন্ধকার চিরিয়া খণ্ড খণ্ড করিয়া দেখিতে লাগিল, উচ্ছৃঙ্খল ঝড়জল তেমনি ভাবেই সমস্ত পৃথিবী লণ্ড ভণ্ড করিয়া দিতে লাগিল, কিন্তু এই দুটি অভিশপ্ত নরনারীর অন্ধ হৃদয়তলে যে প্রলয় গর্জিয়া ফিরিতে লাগিল, তাহার কাছে এ সমস্ত একেবারে তুচ্ছ অকিঞ্চিৎকর হইয়া বাহিরে পড়িয়া রহিল।”

■ মহেশ গল্প:-

উত্তর:: ‘মহেশ’ গল্পটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত রচনা। এই গল্পে মহেশ নামে একটি বুড়ো ষাঁড়কে অবলম্বন করে লেখা গ্রাম বাংলার জমিদার শাসিত সমাজের রূপটি ফুটিয়ে তুলেছেন। এই গল্পে পফুর নামের একজন গরিব চাষী। সংসারে আছে তার কিশোরী কন্যা আমিনা ও মহেশ নামক বুড়ো ষাঁড়। মহেশ তাকে বহু বছর চাষের কাজে সাহায্য করে এখন বুড়ো হয়েছে। গফুর তাকে ছেলের মতো ভালোবাসে। মহেশকে সে নিজের ঘরের চালের কড় টেনে খাওয়ায়। অভাবের জন্য মহেশকে কসাইদের কাছে বিক্রি করতে গিয়েও সে পিছিয়ে এল। সেই খবর জমিদারের যেতে তিনি গফুরকে শাস্তি দিলেন। গ্রামে এক ফোটা জল মেলেনা। গফুর কদিন কাজে বেরিয়ে কাজ না পেয়ে আমিনার কাছে ভাত চাইল। চাল না থাকায় আমিনা ভাত রাধতে পারেনি । গফুর জল চেয়েও পেল না। আমিনা জল জোগাড় করতে পারেনি। গফুর তাকে চড় মারলে আমিনা কাঁদতে কাঁদতে জল আনতে গেল।

সেই সময় জমিদারের পেয়াদা এসে গফুরকে ধরে নিয়ে গেল। গফুরকে প্রচন্ড প্রহার করা হল। ঘরে ফিরে গফুর বসে ছিল। আমিনা জল নিয়ে ফিরল। সেই সময় মহেশ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল । গফুর রাগে বল্লমের ফলা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করল। মহেশের মৃত্যু হল। গফুর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে গেল।

■ ধাত্রীদেবতা উপন্যাস:-

উত্তর:- ‘ধাত্রীদেবতা’ তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস। এটি ১৯৩৯ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে জমিদারের ছেলে শিবনাথের শৈশব থেকে কৈশোর ও যৌবন পর্যন্ত পরিণতির কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। শিবনাথ, সুশীল, পূর্ণ, পিসীমা, গৌরী প্রমুখ এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। ‘ধাত্রীদেবতা’ উপন্যাসটির মধ্যে গ্রাম্যজীবনের পটভূমিকায় ক্ষয়িষ্ণু জমিদার সমাজের চিত্র আঁকা হয়েছে। এই উপন্যাসে জন্মভূমি ধাত্রীদেবতা নামে আখ্যাত করা হয়েছে। পিসীমা ও শিবনাথ এই উপন্যাসের বিশিষ্ট চরিত্র। শিবনাথ বলেছে – “জীবের ধাত্রী যিনি ধরিত্রী, জাতির মধ্যে তিনি তো দেশ, মানুষের কাছে তিনিই বাস্তু; সেই বাস্তব মূৰ্ত্তিমতী তুমি ….. তুমি তো আমায় বাস্তুকে চিনিয়েছো, তাতেই চিনেছি দেশকে। আশীর্বাদ কর, ধরিত্রীকে চিনে যেন তোমায় চেনা শেষ করতে পারি।”

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।