Fluidity of the Organism Questions Answers || জীবদেহের প্রবাহমানতা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

Hello Students,


Wellcome to www.edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Fluidity of the Organism Questions Answers || জীবদেহের প্রবাহমানতা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই edu.bengaliportal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে Fluidity of the Organism Questions Answers || জীবদেহের প্রবাহমানতা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ||. নিচে  Solved Question Paper practice set টি যত্নসহকারে পড়ুন ও পরীক্ষার জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত হয়ে যান। এই Fluidity of the Organism Questions Answers || জীবদেহের প্রবাহমানতা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর || এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।



🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘

[pdf টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে Click করুন]

Fluidity of the Organism Questions Answers || জীবদেহের প্রবাহমানতা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

  1. কোশ-বিভাজন কাকে বলে?

উত্তরঃ- যে প্রক্রিয়ায় জনিতৃ কোশ থেকে অপত্য কোশ সৃষ্টি হয় তাকে কোশ বিভাজন বলে।

  1. কে, কবে, কোথায় প্রথম কোশ-বিভাজন পর্যবেক্ষণ করেন?

উত্তরঃ- বিজ্ঞানী ফ্লেমিং ১৮৮০ খ্রীষ্টাব্দে স্যালামাণ্ডারের দেহে প্রথম কোশ-বিভাজন পর্যবেক্ষণ করেন।

  1. মাতৃকোশ বা জনিতৃ কোশ বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- কোশ-বিভাজন প্রক্রিয়া যে কোশপ্টি বিভাজিত হয় তাকে মাতৃকোশ বা জনিতৃ কোশ বলে।

  1. অপত্য কোশ বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- কোশ-বিভাজন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন কোশকে অপত্য কোশ বলে।

  1. কোশের প্রধান অংশ কটি ও কী কী?

উত্তরঃ- কোশের প্রধান অংশ দুটি। যথা – সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস।

  1. কোশ-বিভাজন কয়প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ- কোশ-বিভাজন তিন প্রকার। যথা – অ্যামাইটোসিস, মাইটোসিস ও মায়োসিস।

  1. কোশবিভাজনের কোন দশায় ক্রোমোজোমগুলি স্পষ্ট দেখা যায়?

উত্তরঃ- কোশ-বিভাজনের মেটাফেজ দশায় ক্রোমোজোমগুলি স্পষ্ট দেখা যায়।

  1. মাইটোসিস কোশ-বিভাজনের কোন দশায় ক্রোমোজোমগুলির বিভাজন মাকুর নিরক্ষীয়তলে সজ্জিত থাকে?

উত্তরঃ- মেটাফেজ দশায়।

  1. মানুষের দেহকোশের ক্রোমোজোম সংখ্যা কত?

উত্তরঃ- মানুষের দেহকোশের ক্রোমোজোম সংখ্যা ২৩ জোড়া বা ৪৬টি। ৪৪টি অটোজোম ও ২টি সেক্সক্রোমোজোম।

  1. মাইটোসিস কোশ-বিভাজনের কোন দশায় নিউক্লিয়াসের পুনরাবির্ভাবের ঘটনা ঘটে থাকে?

উত্তরঃ- টেলোফেজ দশায়।

  1. মাইটোসিস বিভাজনের কোন দশায় ক্রোমোজোমগুলি দুটি ক্রোমাটিড যুক্ত হয়?

উত্তরঃ- প্রফেজ ও মেটাফেজ দশায়।

  1. মাইটোসিস বিভাজনের কোন দশায় ক্রোমোজোমগুলি একটি ক্রোমাটিড যুক্ত হয়?

উত্তরঃ- অ্যানাফেজ ও টেলোফেজ দশায়।

  1. ক্রোমোজোমের কোন অংশে বেমতন্তু (Spindle fibre) সংযুক্ত থাকে?

উত্তরঃ- সেন্ট্রোমিয়ার অংশে।

  1. একটি প্রাণীকোষে সেন্ট্রোজোম না থাকলে বিভাজনের ক্ষেত্রে কী ঘটবে?

উত্তরঃ- প্রাণীকোশে সেন্ট্রোজোম না থাকলে স্পিন্ডল গঠিত হবে না এবং যার ফলশ্রুতি ক্রোমোজোমের অসম বণ্টন কিংবা একাধিক নিউক্লিয়াসযুক্ত কোশগঠন।

  1. বিভাজিত হতে পারে না এমন তিনটি প্রাণীকোশের নাম লেখ।

উত্তরঃ- (১) নার্ভকোশ (Nerve cell) বা নিউরোন (Neurone), (২) পেশীকোশ (Muscle cell) ও (৩) রক্তকোশ (Blood cell)।

  1. জিন কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ- জিন ক্রোমোজোমে অবস্থিত।

  1. মেটাফেজ দশায় ক্রোমোজোমের অবস্থান উল্লেখ করো?

উত্তরঃ- মেটাফেজ দশায় ক্রোমোজোম স্পিন্ডলের ইকুয়েটোরিয়াল প্লেনে বা নিরক্ষীয় তলে অবস্থান করে।

  1. স্টেমবডি কাকে বলে?

উত্তরঃ- কোশ-বিভাজনের অ্যানাফেজ দশায় বেমের মাঝখানে যে সকল ইন্টারজোনাল তন্তু অবস্থান করে তাদের একত্রে স্টেমবডি বলে।

  1. স্পাইরালাইজেশান বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- ক্রোমোজোমের তন্তুগুলির পেঁচানোর পদ্ধতিকে স্পাইরালাইজেশান বলে।

  1. ডি-স্পাইরালাইজেশান বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- ক্রোমোজোমের তন্তুগুলির পাক খুলে যাওয়ার পদ্ধতিকে বলে ডি-স্পাইরালাইজেশান।

  1. হাইড্রেশান ও ডি-হাইড্রেশান কাকে বলে?

উত্তরঃ- জল সংযোজন পদ্ধতিকে বলে হাইড্রেশান আর জল বিয়োজন প্রক্রিয়াকে বলে ডি-হাইড্রেশান।

  1. DNA–এর সম্পূর্ণ নাম কী? কোশের এর অবস্থান কোথায়?

উঃ DNA–এর সম্পূর্ণ নাম হল ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড। কোশে DNA–এর অবস্থান নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোমে।

  1. বংশগতির ধারক ও বাহক কাকে বলে?

উত্তরঃ- জিনকে বংশগতির ধারক ও বাহক বলা হয়।

  1. উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহ প্রধানত কয় প্রকার কোশ দ্বারা গঠিত? কী কী?

উত্তরঃ- দুই প্রকার কোশ দ্বারা গঠিত। যথা – (১) সোমাটিক কোশ বা দেহ কোশ বা অঙ্গজ কোশ এবং (২) জনন কোশ বা জার্ম কোশ।

  1. কোশ-বিভাজনের প্রয়োজনীয়তা বা তাৎপর্যগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ- কোশ বিভাজনের প্রয়োজনীয়তা বা তাৎপর্যগুলি হল –

(১) কোশ-বিভাজনের মাধ্যমে জীবদেহের আকার ও আয়তনের বৃদ্ধি হয়ে থাকে।

(২) এককোষী ভ্রূণাণু থেকে বহুকোশী জীবের সৃষ্টি কোশ-বিভাজনের মাধ্যমেই সম্ভব।

(৩) অঙ্গজ-জনন কোশ বিভাজনেই হয়ে থাকে।

(৪) অযৌন ও যৌন-জননে অর্থাৎ বংশবিস্তারে কোশ-বিভাজন অপরিহার্য।

(৫) ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গাদি এবং ক্ষত পুনর্গঠনে কোশ-বিভাজন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে।

  1. ক্রোমোজোমের রাসায়নিক গঠন কী?

উত্তরঃ- প্রাথমিকভাবে ক্রোমোজোমে ৯০% DNA ও ক্ষারীয় প্রোটিন এবং ১০% RNA ও অম্লীয় প্রোটিন থাকে। Ca, Mg, Fe ইত্যাদি কয়েকটি ধাতব আয়ন থাকে। ক্রোমোজোম প্রধানত হিস্টোন এবং হিস্টোনবিহীন প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিড (DNA ও RNA) দ্বারা গঠিত।

  1. DNA-র গঠন কে কবে আবিষ্কার করেন?

উত্তরঃ- ১৯৫৩ খ্রীষ্টাব্দে বিখ্যাত দুই রসায়নবিদ জে. ডি. ওয়াটসন এবং এফ. এইচ. সি. ক্রিক DNA-এর গঠন সম্পর্কে প্রথম অবহিত করেন।

  1. DNA–এর কটি উপাদান? কী কী?

উত্তরঃ- DNA-এর প্রধান উপাদান হল পাঁচটি কার্বন পরমাণুযুক্ত শর্করা, ফসফেট এবং একটি ক্ষারক (Base), যথা – অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন, থাইমিন।

  1. নিউক্লিওটাইড বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- একটি ফসফেট, একটি শর্করা এবং একটি Base বা ক্ষারক সহযোগে গঠিত হয় DNA-এর এক একটি ইউনিট বা একক। এই এককগুলি নিউক্লিওটাইড (Nucleotide) নামে পরিচিত।

  1. পলিনিউক্লিওটাইড কী?

উত্তরঃ- DNA-এর বৃহৎ অণু পরস্পরের সঙ্গে পাকানো (helical) দুটি সূক্ষ্ম সূত্রাকারে অবস্থান করে যা প্রকৃতপক্ষে অনেকগুলি নিউক্লিওটাইড-এর সমন্বয়। এই সূক্ষ্ম সূত্রগুলি পলিনিউক্লিওটাইড (Polynucleotide) নামে খ্যাত।

  1. DNA বিহীন একটি কোশের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ- তামাক পাতার রোগসংক্রমণকারী ভাইরাস Tobacco mosaic virus-এ DNA নেই – কেবল RNA থাকে।

  1. RNA–এর পুরো নাম কী?

উত্তরঃ- রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড।

  1. RNA কয় প্রকার, কী কী?

উত্তরঃ- RNA প্রধানত তিন প্রকার। যথা –

(১) পরিবাহক RNA (transfer RNA) বা t-RNA,

(২) বার্তাবহ RNA (messenger RNA) বা m-RNA,

(৩) রাইবোজোমাল RNA (ribosomal RNA) বা r-RNA।

  1. জিন কাকে বলে?

উত্তরঃ- ক্রোমোজোমস্থিত অতি শক্তিশালী, স্ব-বিভাজনশীল, সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখা যায় এরূপ একটি উপাদান, যা বংশগতির ধারক ও বাহক, অর্থাৎ বংশগত গুনাবলী ও বৈশিষ্ট্য পরিবহনযোগ্য জৈব একককে জিন বলে।

  1. জনন কথার অর্থ কী?

উত্তরঃ- বংশবিস্তার।

  1. মিউটেশান (Mutation) কী?

উত্তরঃ- জিনগুলি সাধারণতঃ সুস্থায়ী এবং বংশ-পরম্পরায় নিজস্ব গুণাবলী বজায় রেখে থাকে; তবে অনেক সময় জিনের পরিবর্তন ঘটে, একে মিউটেশান বলে।

  1. মিউট্যান্ট জিন (Mutant gene) কী?

উত্তরঃ- পরিবর্তিত জিনকে বলে মিউট্যান্ট জিন।

  1. লিথ্যাল জিন (Lethal gene) বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- ক্ষতিকারক মিউট্যান্ট জিনকে লিথ্যাল জিন বলে।

  1. জিনের মিউটেশানের সম্ভাব্য কারণগুলি কী?

উত্তরঃ- জিনের মিউটেশান রঞ্জনরশ্মি, গামারশ্মি, আলট্রা-ভায়োলেট রশ্মি দ্বারা ঘটে থাকে।

  1. অ্যামাইটোসিস কাকে বলে?

উত্তরঃ- যে সরলতম প্রক্রিয়ায় কোনো জনিতৃ কোশ নিউক্লিও পর্দার অবলুপ্তি না ঘটিয়ে, ক্রোমোজোম ও বেমতন্তু গঠন ব্যতিরেকে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমে সরাসরি বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য কোশ সৃষ্টি করে, তাকে অ্যামাইটোসিস বলে।

  1. অ্যামাইটোসিস কোথায় দেখা যায়?

উত্তরঃ- ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট, অ্যামিবা ইত্যাদি এককোশী জীবদেহে অ্যামাইটোসিস দেখা যায়।

  1. অ্যামাইটোসিস কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ- অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়াকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন –

(১) কোরকোদ্গম বা মুকুলোদ্গম (Budding),

(২) অবাধ কোশগঠন (Free Cell Formation)।

  1. অ্যামাইটোসিসের তাৎপর্যগুলি উল্লেখ কর।

উত্তরঃ- অ্যামাইটোসিসের তাৎপর্যগুলি হল –

(১) ১৮৯২ খ্রীষ্টাব্দে স্ট্রাসবারজার (Strasburger) বলেন, অ্যামাইটোসিসই উন্নত পর্যায়ের কোশ-বিভাজন অর্থাৎ মাইটোসিস-এর সূত্রপাত।

(২) বহুক্ষেত্রে ক্ষয়িষ্ণু জীবনীশক্তিসম্পন্ন কোশে অ্যামাইটোসিসই একমাত্র বাঁচার মাধ্যম।

(৩) উন্নত শ্রেণির জীবের ক্ষেত্রে অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিটি স্বভাবতই বিরল; কিন্তু তবুও কখনও কখনও অস্তিত্ত্ব বজায় রাখতে অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিটিই অত্যন্ত কার্যকরী হয়ে থাকে।

  1. মাইটোসিস বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- যে জটিল ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় কোনো দেহ মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম একবার মাত্র বিভাজিত হয়ে সমআকৃতি, সমগুণ ও সমসংখ্যক ক্রোমোজোমসহ দুটি অপত্য কোশ সৃষ্টি করে তাকে মাইটোসিস বলে।

  1. কে প্রথম মাইটোসিস কথাটি ব্যবহার করেন?

উত্তরঃ- ১৮৮০ (মতান্তরে ১৮৮২) খ্রীষ্টাব্দে বিখ্যাত জার্মান বৈজ্ঞানিক ওয়াল্টার ফ্লেমিং।

  1. মাইটোসিস কোথায় দেখা যায়?

উত্তরঃ- মাইটোসিস কোশ বিভাজনের প্রধান স্থান হল উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহকোশ। বিশেষ করে –

(১) উদ্ভিদের বর্ধনশীল অঙ্গে, যেমন – কাণ্ড, ও মূলের অগ্রভাগে, বর্ধনশীল পাতায়, ভ্রূণমূল ও ভ্রূণমুকুলে,

(২) দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের গৌণ বৃদ্ধির সময় মাণ্ড ও মূলের বিশেষ ধরণের ভাজক কলায়,

(৩) উচ্চতর প্রাণীদের ভ্রূণের পরিস্ফূটনকালে এবং দেহের বৃদ্ধির সূচনা থেকে বার্ধক্যের পূর্ব পর্যন্ত,

(৪) নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদ ও প্রাণীদের বৃদ্ধির সম এবং অঙ্গজ জনন ও অযৌন জননের সময়।

  1. মাইটোসিসের কয়টি দশা ও কী কী?

উত্তরঃ- চারটি দশা। প্রোফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ ও টেলোফেজ।

  1. প্রফেজ কী?

উত্তরঃ- মাইটোসিসের যে দশায় ক্রোমাটিড কুণ্ডলাকৃতি ধারণ করে, নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয় পর্দার বিলুপ্তি ঘটে এবং স্পিনডল গঠিত হয়, তাকে প্রোফেজ বলে।

  1. মেটাফেজ কী?

উত্তরঃ- মাইটোসিস বিভাজনের যে পর্যায়ে ক্রোমাজোমগুলো নিরক্ষীয় তলে বিন্যস্ত হয়ে থাকে, সেই পর্যায় বা দশাকে মেটাফেজ বলে।

  1. অ্যানাফেজ কাকে বলে?

উত্তরঃ- মাইটোসিস বিভাজনের যে দশায় অপত্য ক্রোমাজোম অর্থাৎ ক্রোমাটিড নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে মেরুতে উপস্থিত হয়, তাকে অ্যানাফেজ বলে।

  1. টেলোফেজ কাকে বলে?

উত্তরঃ- মাইটোসিস বিভাজনের যে দশায় অপত্য নিউক্লিয়াস সংঘটিত হয়ে থাকে, অর্থাৎ একটি মাতৃ-নিউক্লিয়াস থেকে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াস গঠিত হয়, তাকে টেলোফেজ বলে।

  1. বেমতন্তু কী?

উত্তরঃ- সেন্ট্রিওল দুটি যখন পরস্পর থেকে বিপরীত অঞ্চলে স্থানান্তরিত হতে থাকে তখন তাদের মাঝখানে একপ্রকার তন্তুর আবির্ভাব ঘটে, তাদেরকে স্পিনডল ফাইবার বা বেমতন্তু বলে।

  1. অ্যাসট্রাল রশ্মি কী?

উত্তরঃ- সেন্ট্রিওলদ্বয়ের চারপাশে অবস্থিত স্বল্প দৈর্ঘ্যের বিচ্ছুরিত রশ্মিগুলিকে অ্যাসট্রাল রশ্মি বলে।

  1. অ্যাস্‌টার কী?

উত্তরঃ- অ্যাস্‌ট্রাল রশ্মিসহ সেন্ট্রিওলকে বলে অ্যাস্‌টার।

  1. কন্টিনিউয়াস ফাইবার বা অবিচ্ছেদ্য তন্তু কী?

উত্তরঃ- মেটাফেজ দশায় ক্রোমোজোমগুলি স্পিনডল বা বেমযন্ত্রের নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থান করে। স্পিনডল দুই প্রকারের তন্তু সহযোগে গঠিত। এদের মধ্যে একটিকে বলে কন্টিনিউয়াস ফাইবার বা অবিচ্ছেদ্য তন্তু।

  1. ক্রোমোজোমাল ফাইবার বা ক্রোমোজমীয় তন্তু কী?

উত্তরঃ- মেটাফেজ দশায় ক্রোমোজোমগুলি স্পিনডল বা বেমযন্ত্রের নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থান করে। স্পিনডল দুই প্রকারের তন্তু সহযোগে গঠিত। এদের মধ্যে একটিকে বলে কন্টিনিউয়াস ফাইবার বা অবিচ্ছেদ্য তন্তু। অপরটিকে বলে ক্রোমোজোমাল ফাইবার বা ক্রোমোজমীয় তন্তু।

  1. নিরক্ষীয় প্লেট বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- ক্রোমাজোমের সেন্ট্রোমিয়ার ও সেন্ট্রোজোমের বিকর্ষণের ফলশ্রুতিতে ক্রোমাজোমগুলি স্পিনডলে আড়াআড়িভাবে যে মধ্যরেখায় সজ্জিত হয়ে থাকে তাকে ইক্যুয়েটোরিয়াল প্লেট বা নিরক্ষীয় প্লেট বা মেটাফেজ প্লেট বলে।

  1. অপত্য ক্রোমোজোম বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- অ্যানাফেজ দশায় প্রতিটি ক্রোমোজোম থেকে উৎপন্ন ক্রোমাটিড দুটি বেমযন্ত্রের দুই বিপরীত মেরুর দিকে চলতে শুরু করে। উৎপন্ন ক্রোমাটিডগুলিকে অপত্য ক্রোমাজোম বলে।

  1. ইন্টারফেজ দশার বৈশিষ্টগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ- ১। ইন্টারফেজ দশায় কোশের আয়তন সর্বাধিক বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

২। নিউক্লীয় আবরণী যথাযথ অর্থাৎ অক্ষত থাকে।

৩। বিভাজনকালে প্রয়োজনীয় শক্তি ইণ্টারফেজ দশায় সঞ্চিত হয়ে থাকে।

৪। নিউক্লিয়াসটি অপেক্ষাকৃত স্পষ্ট ও বড় হয়ে থাকে।

৫। সংশ্লেষের ফলে ক্রোমাজোমে DNA এর পরিমাণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

৬। অস্পষ্ট লম্বালম্বা ক্রোমাটিন সূত্র নিউক্লিওপ্লাজমে মিশে থাকে।

৭। ক্রোমাসেণ্টার স্পষ্টতর হয়ে থাকে।

৮। প্রাণিকোষের সেন্ট্রোজোমে দুটি সেন্ট্রিওল স্পষ্টতর হয়ে থাকে।

  1. সাইটোকাইনেসিস বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষে এক বিশেষ পদ্ধতিতে সাইটোপ্লাজমের বিভাজনকে সাইটোকাইনেসিস বলে।

  1. সেল-প্লেট (Cell-plate) কী?

উত্তরঃ- টেলোফেজ দশার অন্তিম সময়ে নিরক্ষীয় অঞ্চলে ফ্রাগমোপ্লাস্ট নানা প্রকার কোষ-প্রাকার উপাদান সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিন্দু আকারে জমা থাকার ফলে যে পাতের মত অংশ গঠিত হয় তাকে সেল প্লেট বা কোষভাগপ্রাকার বলে।

  1. মাইটোসিসের বৈশিষ্ট্য বা প্রয়োজনীয়তাগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ- ১। মাইটোসিস একটি সদৃশ বিভাজন, কারণ উৎপন্ন অপত্য নিউক্লিয়াস দুটি মাতৃ নিউক্লিয়াস এর মত হুবহু সমপরিমাণ, সমআকৃতি ও সমগুণসম্পন্ন।

২। উৎপন্ন অপত্য নিউক্লিয়াস এবং ক্রোমোজোমের সংখ্যা এবং উপাদান মাতৃ-নিউক্লিয়াসের সমান।

৩। ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিনগুলিও সমান দুভাগে বিভক্ত হয় ফলে পিতা মাতার দোষ-গুণ বৈশিষ্ট্য সমানভাবে এবং সম্যকরূপে সন্তান-সন্ততির উপর বর্তায়।

৪। মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন উদ্ভিদ এবং প্রাণিদেহে প্রতিটি কোষের নিউক্লিয়াসে সমান গুণসম্পন্ন ও সমান-সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে।

৫। মাইটোসিস বহুকোষী উদ্ভিদ এবং প্রাণীর দৈর্ঘ্য ও আয়তন বৃদ্ধি অর্থাৎ দেহের বৃদ্ধি ও পরিস্ফুটনের জন্য একান্ত অপরিহার্য।

৬। জীবদেহের ক্ষতস্থান পুনর্গঠিত হয় মাইটোসিসের মাধ্যমে।

  1. মাইটোসিসকে সদৃশ বিভাজন বা সমবিভাজন বা Equational Division বলার কারণ কী?

উত্তরঃ- মাইটোসিস কোশ বিভাজনের সময় একটি মাতৃকোশ থেকে সমআকৃতি, সমগুণসম্পন্ন এবং সমসংখ্যক ক্রোমোজোমবিশিষ্ট দুটি অপত্য কোশ সৃষ্টি হয়, তাই মাইটোসিসকে সদৃশ বিভাজন বা সমবিভাজন বা Equational Division বলে।

  1. মায়োসিস (Meiosis) বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- যে বিশেষ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় যৌনজননক্ষম উদ্ভিদ ও প্রাণীর জনন মাতৃকোষে পরপর দুবার নিউক্লিয়াসের বিভক্তির ফলে প্রত্যেকটিতে মাতৃ-কোষের অর্ধসংখ্যক ক্রোমোজোমসহ চারটি পৃথক অপত্য জননকোষ বা গ্যামেটের সৃষ্টি হয়ে থাকে তাকে মায়োসিস বা রিডাকশান ডিভিশান বলে।

  1. কে প্রথম মায়োসিস পর্যবেক্ষণ করেন?

উত্তরঃ- সপুষ্পক উদ্ভিদের জননকোষে ১৮৮৮ খ্রীষ্টাব্দে স্ট্রাসবার্জার মায়োসিস প্রত্যক্ষ করেন।

  1. মায়োসিস কোথায় দেখা যায়?

উত্তরঃ- অনুন্নত জীবের ক্ষেত্রে জাইগোট বা ভ্রূণাণুতে এবং উন্নত প্রাণীর শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয়ের প্রাইমারি স্পার্মাটোসাইট ও প্রাইমারি ঊসাইট কোষে মায়োসিস বিভাজন হয়।

  1. মায়োসিসের বিশেষত্বগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ- ১। মাতৃ-নিউক্লিয়াসের তুলনায় অপত্য নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোমের সংখ্যা অর্ধেক।

২। দুবার নিউক্লিয়াসের বিভাজন মায়োসিস প্রক্রিয়ার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

৩। মায়োসিস প্রক্রিয়ার ফলে পরবর্তী বংশধরের দেহে ক্রোমোজোমের সংখ্যা দ্বিগুণ না হয়ে নির্দিষ্ট থাকে।

৪। এই প্রক্রিয়ায় ক্রসিং–ওভারের সময় বাইভ্যালেণ্ট দুটি ক্রোমোজোমের মধ্যে ক্রোমাটিড খণ্ডের আদান-প্রদান ঘটে থাকে। এর ফলে জিনের বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটে; এবং একে বলে জিনের রিকম্বিনেশান বা জিনের চরিত্রগত গুণের পুনর্বিন্যাস।

  1. জিনের রিকম্বিনেশান বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- মায়োসিস প্রক্রিয়ায় ক্রসিং–ওভারের সময় বাইভ্যালেণ্ট দুটি ক্রোমোজোমের মধ্যে ক্রোমাটিড খণ্ডের আদান-প্রদান ঘটে থাকে। এর ফলে জিনের বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটে; এবং একে বলে জিনের রিকম্বিনেশান বা জিনের চরিত্রগত গুণের পুনর্বিন্যাস।

  1. সাইন্যাপসিস কী?

উত্তরঃ- মায়োসিসের প্রোফেজ দশায় সমআকৃতি-বিশিষ্ট ক্রোমোজোমগুলি পরস্পর কাছাকাছি হয় এবং পাশাপাশি জোড় বাঁধে – এই জোড় বাঁধাকে সাইন্যাপসিস বলে।

  1. বাইভ্যালেণ্ট কী?

উত্তরঃ- মায়োসিসের প্রোফেজ দশায় সমআকৃতি-বিশিষ্ট ক্রোমোজোমগুলি পরস্পর কাছাকাছি হয় এবং পাশাপাশি জোড় বাঁধে। পাশাপাশি বিন্যস্ত জোড়া জোড়া ক্রোমজোমকে বাইভ্যালেণ্ট বলে।

  1. সমসংস্থ ক্রোমোজোম কী?

উত্তরঃ- আকৃতি, জিন সজ্জারীতি, সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে পিতৃ ও মাতৃ ক্রোমোজোমদ্বয়কে সমসংস্থ বা Homologous chromosome বলে।

  1. সিস্টার ক্রোমাটিড কী?

উত্তরঃ- বাইভ্যালেন্টে অবস্থিত সমসংস্থ ক্রোমোজোম জোড়ের প্রতিটি ক্রোমোজোম থেকে সৃষ্ট ক্রোমাটিড দুটিকে সিস্টার ক্রোমাটিড বলে।

  1. নন-সিস্টার ক্রোমাটিড বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- বাইভ্যালেন্টে অবস্থিত দুটি ভিন্ন সমসংস্থ ক্রোমোজোমের ক্রোমাটিডগুলিকে নন-সিস্টার ক্রোমাটিড বলে।

  1. কায়াজমা কী?

উত্তরঃ- যে বিন্দুতে ক্রোমাটিডগুলি X চিহ্ন গঠন করে পরস্পরকে অতিক্রম করে তাকে কায়াজমা বলে।

  1. ক্রসিংওভার কাকে বলে?

উত্তরঃ- সমসংস্থ ক্রোমোজোমের নন-সিস্টার ক্রোমাটিডদ্বয়ের মধ্যে খণ্ডাংশের বিনিময়কে ক্রসিং ওভার বলে।

  1. মায়োসিস কে হ্রাস-বিভাজন বা রিডাকশনাল বিভাজন বলে কেন?

উত্তরঃ- উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয় ক্ষেত্রেই পুং এবং স্ত্রী গ্যামেটের নিউক্লিয়াস মিলিত হলে ক্রোমোজোমের সংখ্যা দ্বিগুণ না হয়ে অপত্য কোষগুলিতে জন্মদাতা কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়ে যায়। ১৮৮৭ খ্রীষ্টাব্দে ভাইজম্যান প্রমাণ করেন উদ্ভিদ এবং প্রাণীর যে জনন-মাতৃকোষ থেকে পুং ও স্ত্রী গ্যামেট উৎপন্ন হয়, সেই জনন-মাতৃকোষেই হ্রাস-বিভাজন সম্পন্ন হয়।

  1. বৃদ্ধি বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- যে প্রক্রিয়ায় কতকগুলি শর্তের উপস্থিতিতে প্রোটোপ্লাজমের নিয়ন্ত্রণে উদ্ভিদ ও প্রাণী, তথা জীবদেহের আকার, আয়তন ও শুষ্ক ওজনের অপরিবর্তনী চিরস্থায়ী পরিবর্তন হ, তাকে বৃদ্ধি বলে।

  1. জীবদেহে ওজন কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ- দুই প্রকার। সরস বৃদ্ধি ও শুষ্ক বৃদ্ধি।

  1. সরস ওজন বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- সদ্যমৃত কিংবা জীবিত জীবদেহের ওজনকে সরস ওজন বলে।

  1. শুষ্ক ওজন বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- সদ্যমৃত কিংবা জীবিত জীবদেহকে ৭৫ ডিগ্রি সেণ্ট্রিগ্রেট উষ্ণতায় ২৪ ঘণ্টা রাখলে এর ৬০-৭০ ভাগ ওজন কমে যায় এবং ঐ অবস্থায় জীবদেহের ওজনকেই শুষ্ক ওজন বলে।

🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘



-ঃআরও পড়ুনঃ–

🔵🔴 ভারতের বৃহত্তম, দীর্ঘতম ও উচ্চতম pdf- Click Here

🔵🔴 বিপরীত শব্দ pdf- Click Here

🔵🔴 কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴 পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴 বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ও নামকরণকারী দেশ pdf- Click Here

🔵🔴 সমোচ্চারিত শব্দ বা সমার্থক শব্দ pdf- Click Here

🔵🔴 বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর pdf- Click Here

🔵🔴 বছরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন pdf- Click Here

🔵🔴 100+ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর pdf- click Here

🔵🔴 ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর pdf- click Here

🔵🔴 WBCS preliminary practice set pdf- Click Here

🔵🔴 বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴  ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর – Click Here 

🔵🔴  দৈনিক ১০টি স্পেশাল MCQ – Click Here

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।