ভারতের অর্থ কমিশন | Finance Commission of India
■ উত্তর:- সংবিধানের ২৮০ ধারা অনুসারে ভারতে কেন্দ্র এবং অঙ্গরাজ্যগুলির মধ্যে রাজস্ব বণ্টনের নীতি নির্ধারণের জন্য প্রতি ৫ বছর অন্তর একটি অর্থ কমিশন নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। একজন সভাপতি ও চারজন সদস্য নিয়ে এই কমিশন গঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি এঁদের নিযুক্ত করেন। কমিশনের সদস্যদের নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকা দরকার :
● (ক) হাইকোর্টের বিচারপতি বা বিচারপতি পদের যোগ্যতা;
● (খ) অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারী বিষয় ও হিসাব নিকাশের জ্ঞান;
● (গ) প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা;
● (ঘ) অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ। তা ছাড়া অর্থকমিশনের সভাপতি হওয়ার জন্য জনগণের স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। সংবিধানের ২৮০ (৩) ধারায় অর্থ কমিশনের কার্যাবলী সম্পর্কে উল্লেখ আছে। কমিশনকে কতকগুলি বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পেশ করতে হয়। এই বিষয়গুলি হলঃ
● (ক) কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বণ্টিত হয় বা বণ্টনযোগ্য রাজস্বে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যগুলির প্রাপ্য অংশ;
● (খ) ভারতের সঞ্চিত তহবিল থেকে রাজ্যগুলিকে অনুদান প্রদানের নীতি; এবং
● (গ) অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য সুপারিশ করতে রাষ্ট্রপতি যে সকল বিষয় কমিশনের কাছে পেশ করবেন। অর্থ কমিশন সংবিধান অনুসারে মূলত দুটি দায়িত্ব সম্পাদন করে-
● (১) কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বণ্টিত হয় বা বণ্টনযোগ্য রাজস্বে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির অংশ বা ভাগ নির্ধারণ এবং
● (২) অঙ্গরাজ্যগুলির জন্য কেন্দ্রীয় অনুদানের নীতি নির্ধারণ। রাষ্ট্রপতি অর্থ কমিশনের সুপারিশসমূহ তার ব্যাখ্যাসহ পার্লামেন্টের কাছে পেশ করে (২৮১ ধারা)। কেন্দ্র সুপারিশ সমূহ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সবিবেচনামূলক ক্ষমতা ভোগ করে। বস্তুত সুপারিশ করার মধ্যেই কমিশনের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ।