ফারুকশিয়ারের ফরমান ও এর ফলাফল | Farukshiyar’s Decree and Its Results




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Farukshiyar’s Decree and Its Results. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে ফারুকশিয়ারের ফরমান ও এর ফলাফল | Farukshiyar’s Decree and Its Results

Ajjkal



ফারুকশিয়ারের ফরমান ও এর ফলাফল | Farukshiyar’s Decree and Its Results

ফারুকশিয়ারের ফরমান : ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট ফারুকশিয়ার ইংরাজ কোম্পানির পক্ষে‘ রাজকীয় ফরমান’বা মহাসনদ জারী করেন। ফারুকশিয়রের ফরমান অনুসারে কোম্পানি বার্ষিক তিন হাজার টাকার বিনিময়ে আবার বিনাশুল্কে রপ্তানি ও আমদানি বাণিজ্য করার অধিকার পায়। এছাড়া বাণিজ্যের ব্যাপারে কোম্পানি আবার দস্তক বা লাইসেন্স ব্যবহারের অধিকার পায় এবং সুতানুটি, কলকাতা ও গোরিন্দুপর গ্রাম ছাড়াও আরও ৩৮ টি গ্রাম কেনার অধিকার পায়।



ফারুকশিয়রের ফরমান অনুসারে :

(১) ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বার্ষিক তিন হাজার টাকার বিনিময়ে আবার বিনাশুল্কে বাণিজ্যিক অধিকার পায়।

(২) বাণিজ্যিক ব্যাপারে কোম্পানি ‘দস্তক’বা‘ লাইসেন্স’ ব্যবহার করার অনুমতি পায়।

(৩) কলিকাতা, গোবিন্দপুর, সুতানুটি গ্রাম ছাড়াও তারা আরো ৩৮ টি গ্রাম কেনার অনুমতি পায় এবং এই সঙ্গে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানিকে।




(৪) মুর্শিদাবাদের টাঁকশাল থেকে মুদ্রা তৈরির অধিকার দেওয়া হয়। ফারুকশিয়রের ফরমান লাভের মধ্যে দিয়ে কোম্পানি বাংলার বাণিজ্যে অন্যান্য ইউরোপীয় কোম্পানির তুলনায় বেশি সুযোগসুবিধা লাভ করে। এমনকি এই সময় কোম্পানির কর্মচারীরা ব্যক্তিগত ব্যাবসাবাণিজ্যে দস্তক বা ছাড়পত্রের সুযোগ গ্রহণ করে লাভবান হতে থাকে, এর ফলে ইংরেজদের ব্যাবসাবাণিজ্যের দ্রুত প্রসার ঘটতে থাকে। কিন্তু বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ কোম্পানির ফরমান ব্যবহারের ওপর নানারকম বিধিনিষেধ জারি করায় কোম্পানির ব্যাবসাবাণিজ্য যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তা সত্ত্বেও তাদের বাণিজ্য আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছিল সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

ফারুকশিয়রের ফরমানের ফলাফল : সম্রাট ফারুকশিয়রের ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দের ফরমানে ইংরাজ কোম্পানির শুধুমাত্র বহির্বাণিজ্যকে শুল্কমুক্ত করা হলেও ভারতের ভিতরে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সেই সুবিধা দেওয়া হয় নি। ইংরেজ ঐতিহাসিক সি.আর উইলসন -এর মতে, ‘ফারুকশিয়রের ফরমান লাভ করা ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একটি সত্যিকারের কূটনৈতিক সাফল্য, ’— কারণ‘ এই ফরমান লাভের মধ্যে দিয়ে ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির পুরানো অধিকারগুলো নতুন করে স্বীকৃতি লাভ করে এবং কোম্পানি অন্যান্য ইউরোপীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক বেশি ব্যবসায়িক সুবিধার অধিকারী হয়। ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দের ফরমান ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও বাংলার নবাবের মধ্যে নিত্য বাদবিসম্বাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, কারণ :

প্রথমত, এর ফলে আঞ্চলিক সরকারের রাজস্বের যথেষ্ট ক্ষতি হয়।

দ্বিতীয়ত, কোম্পানির সঙ্গে সঙ্গে তার কর্মচারীরাও দস্তকের সাহায্যে বিনাশুল্কে ব্যবসা করে চলে। ফলে রাজস্ব শুল্ক থেকে বাংলায় নবাবের আয় ক্রমাগত কমতে থাকে। নবাব ব্যক্তিগতভাবে এইসব অধিকারের বিরোধী হলেও এগুলিকে সরাসরি অস্বীকার করাও তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। যাইহোক, পরবর্তীকালে বিশেষ একটি ঘটনায় ক্ষুব্ধ নবাব কোম্পানির ‘ভকিল’ নামধারী জনৈক উচ্চপদস্থ কর্মচারীকে বন্দি করেন এবং অন্যান্য ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের ইংরাজ কোম্পানির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছেদ করার নির্দেশ দেন। এর ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্য যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ইংরাজদের সঙ্গে নবাবের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এক কথায় বলা যায়, নবাব মুর্শিদকুলির আমলে ইংরেজরা ফারুকশিয়রের ফরমানের বিশেষ কোনও সুবিধা না পেলেও এই সময়ের মধ্যে তারা যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠেছিল।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।