Hello Students,
Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Economic Life of the Maurya and Post-Maurya Periods. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে মৌর্য ও মৌর্যোত্তর যুগের অর্থনৈতিক জীবন | Economic Life of the Maurya and Post-Maurya Periods।

মৌর্য ও মৌর্যোত্তর যুগের অর্থনৈতিক জীবন | Economic Life of the Maurya and Post-Maurya Periods
(১) কৃষি : এই যুগে কৃষি ও পশুপালন জনসাধারণের প্রধান উপজীবিকা ছিল। রাজার নিজের জমি ছিল বটে কিন্তু সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত মালিকানায়ও জমি চাষ করা হত। অশোকের শিলালিপিতে মজুর দিয়ে চাষ করার কথা আছে। জমির পরিমাণ ও গুণাগুণ বিচার করেই জমির খাজনা ধার্য করা হত।
বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের কর ধার্য ছিল এবং তা ছিল ফসলের এক-ষষ্ঠাংশ থেকে এক-চতুর্থাংশ। গাঙ্গেয়-উপত্যকায় জমি ছিল উর্বর, এইজন্য এই অঞ্চলে খাজনার পরিমাণও ছিল বেশি। মৌর্য রাজারা নতুন নতুন অঞ্চলে চাষ-আবাদের সম্প্রসারণের ব্যাপারে খুবই উদ্যোগী ছিলেন। জমির উর্বরতার দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হত। কৃষিজমিতে জলসেচের সুবন্দোবস্তের জন্য একটি স্বতন্ত্র জলসেচ বিভাগ ছিল। ‘অর্থশাস্ত্রে’ জলসেচের জন্য জলকরের উল্লেখ আছে।
মৌর্যযুগে খাল ও কূপ খনন করে জলসেচের ব্যবস্থা করা হত। বর্তমান যুগের মতো সে – যুগেও জমিতে সার দেওয়া হত, লাঙল দিয়ে জমি চাষ করা হত ও কুলোর হাওয়া দিয়ে ফসল ঝাড়াই করা হত। গম, যব, তৈলবীজ, আখ প্রভৃতি ছিল এযুগের উল্লেখযোগ্য ফসল। দক্ষিণ ভারতে নানা ধরনের মশলা, আদা, লংকা ইত্যাদি চাষ হত এবং তা ইউরোপে রপ্তানি করা হত। মৌর্যযুগে কৃষিকাজের জন্য গো-প্রজননের ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল কৃষি ছাড়াও পশুপালন ও এই যুগের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি ছিল। মৌর্য পরবর্তী সময়ে বিদেশি আক্রমণের যুগেও কৃষির ক্রমোন্নতির এই ধারা বজায় থাকে।
(২) শিল্প : মৌর্য শাসনকালে শান্তি ও রাষ্ট্রীয় ঐক্য বিরাজ করায় ভারতবর্ষে শিল্পক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি ঘটে। বস্ত্রশিল্প, কাঠের আসবাবপত্র, চমশিল্প, ধাতুশিল্প, হাতির দাঁতের শিল্পকর্ম, ঘোড়ায় টানা রথও বলদের টানা গাড়ি এবং নির্মাণ শিল্প, নৌকা ও সমুদ্রগামী নৌ-যান; লোহা, তামা, টিন, রূপো ও সোনার তৈরি বিভিন্ন দ্রব্য ও অলংকার নির্মাণ শিল্পে মৌর্যযুগের শিল্পীরা যথেষ্ট দক্ষ ছিল।
‘মিলিন্দো পঞ্চহো এবং বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্ম গ্রন্থে ৭৫ -টি বৃত্তি বা পেশার কথা বলা হয়েছে, এদের মধ্যে ৬০ টি বৃত্তিই ছিল শিল্পসংক্রান্ত।
মৌর্য যুগে শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছিল। এযুগের শিল্পী ও কারিগররা সমাজে সম্মান পেত বটে কিন্তু তারা শূদ্র বলেই পরিগণিত হত। গ্রীক লেখকরা ভারতীয় শিল্পীদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। কাঠ, হাতির দাঁত, চামড়া, যন্ত্র, বস্ত্র, ধাতু, স্থাপত্য, ভাস্কর্য প্রভৃতি শিল্পগুলি ছিল প্রধানত বৃত্তিমূলক। জন মার্শাল শিল্পী নিগমের এক বিরাট অট্টালিকা আবিষ্কার করেন, যাকে তিনি শিল্পীদের প্রধান কার্যালয় বলে চিহ্নিত করেছেন।
মৌর্যযুগে দেশে-বিদেশে উন্নতমানের ভারতীয় বস্ত্রের খুব চাহিদা ছিল। সে-যুগে কাশী, কোংকন, বঙ্গ ও মহীশূর প্রধান বস্ত্রশিল্পকেন্দ্র ছিল। সুতিবস্ত্রের সঙ্গে এযুগে-ভারতীয় রেশম ও পশম বস্ত্রেরও খুব খ্যাতি ছিল। গান্ধার ছিল পশম বস্ত্রের জন্য প্রসিদ্ধ। খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে ভারতীয় মসলিন বস্ত্র রোমে রপ্তানি হত। বস্ত্রশিল্প সে-যুগে বহু মানুষের গ্রাসাচ্ছাদন যোগাত। মৌর্যযুগে সুতাকলে স্ত্রী-শ্রমিক নিয়োগ করার উল্লেখ পাওয়া যায়।
এছাড়া নৌ-যান, শকট, রথ প্রভৃতি তৈরির ক্ষেত্রেও সে-যুগের শিল্পীরা অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করেছিল। মৌর্য যুগে ধাতুশিল্পও যথেষ্ট উন্নত ছিল। ‘অর্থশাস্ত্রে’ নানা ধরনের ধাতুশিল্পের উল্লেখ আছে। মগধের লোহার খনি থেকে প্রচুর পরিমাণে লোহা বিভিন্ন কারখানায় চালান দেওয়া হত। রাজস্থান ও দাক্ষিণাত্যে উন্নতমানের তামার খনি ছিল। মৌর্য যুগে স্ত্রী-পুরুষ সকলেই অলংকার ব্যবহার করত। যেখানে শিল্পের জন্য কাঁচামাল ও দক্ষ কারিগর পাওয়া যেত সেইসব স্থানেই শিল্প গড়ে উঠত।
(৩) অন্তর্দেশীয় বাণিজ্য : মৌর্যযুগে অন্তর্দেশীয় বাণিজ্য উন্নত ও সুনিয়ন্ত্রিত ছিল। প্রধানত নদীপথ ধরেই অন্তর্দেশীয় বাণিজ্যের চলাচল হত। স্থলপথে গোরুর গাড়ি ও উটের পিঠে পণ্যসামগ্রীর আদানপ্রদান চলত। গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী ও সিন্ধু নদী ছিল প্রধান জলপথ। স্থলপথে বণিকদের পথ দেখাবার জন্য ‘স্থল-নিয়ামক’ নামে এক শ্রেণির কর্মচারী নিযুক্ত থাকত। বাংলাদেশ ও মগধ থেকে সুদূর কাশ্মীর ও গান্ধার পর্যন্ত বণিকদের চলাচল ছিল।
❏ General Knowledge – Click Here
❏ Job Notification – Click Here
❏ Online Mock Test Quiz – Click Here
Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।