থার্মোমিটারের সংজ্ঞা, গঠন, বৈশিষ্ট্য | Definition Structure and Properties of Thermometer




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Definition Structure and Properties of Thermometer. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে থার্মোমিটারের সংজ্ঞা, গঠন, বৈশিষ্ট্য | Definition Structure and Properties of Thermometer

Ajjkal



থার্মোমিটারের সংজ্ঞা, গঠন, বৈশিষ্ট্য | Definition Structure and Properties of Thermometer

■ পারদ থার্মোমিটারের সংজ্ঞ:-

যে যন্ত্রের সাহায্যে কোনো বস্তুর উষ্মতা সূক্ষ্ম ও নির্ভুলভাবে মাপা যায় তাকে তাপমান যন্ত্র বা থার্মোমিটার (Thermometer) বলে।

● ষে থার্মোমিটারে উষ্মতামাপক পদার্থ হিসাবে পারদ ব্যবহৃত হয় তাকে পারদ থার্মোমিটার বলে । এই থার্মোমিটারে পারদের আয়তন প্রসারণ দ্বারা উন্মতা মাপা হয়।



পারদ থার্মোমিটারের গঠন : পারদ থার্মোমিটার একটি সর্বত্র সমান ব্যাসের সূক্ষ্ম ছিদ্রবিশিষ্ট শক্ত কাচের নল। ছিদ্রের একপ্রান্তে চোঙাকৃতি একটি বাল্ব আছে এবং অপর প্রান্ত বন্ধ। বাল্ব এবং ছিদ্রের কিছু অংশ পারদপূর্ণ। উষ্মতা মাপার জন্য কাচনলের গায়ে উষ্মতার স্কেল আঁকা আছে। যে বস্তুর উম্মতা মাপা হয় তার সঙ্গে বাল্বটির সংস্পর্শ ঘটালে, পারদ আয়তনে বেড়ে স্কেলের যে দাগ পর্যন্ত পৌঁছায় সেটিই হবে বস্তুর উষ্মতা।

সুবেদী থার্মোমিটারের বৈশিষ্ট্য :

(1) কুন্ডের আয়তন বেশি হওয়া দরকার।

(2) নলের ছিদ্র খুব সরু হওয়া প্রয়োজন।

(3) উচ্চ আয়তন-প্রসারণযুক্ত তরল ব্যবহার করতে হবে।




থার্মোমিটার স্কেল (Thermometric scales) : উষ্মতা মাপার স্কেল তৈরি করার জন্য দুটি নির্দিষ্ট উষ্মতা স্থির ধরে নেওয়া হয়। এই উষ্মতা দুটিকে স্থিরাঙ্ক বলে।

নিম্ন-স্টিরাঙ্ক (Lower fixed point) : প্রমাণ বায়ুমন্ডলীয় চাপে যে উষ্মতায় বিশুদ্ধ বরফ গলে জলে পরিণত হয় অথবা বিশুদ্ধ জল জমে বরফে পরিণত হয় তাকে নিম্ন-স্থিরাঙ্ক বা হিমাঙ্ক বা বরফ বিন্দু (Freezing point or ice point) বলে।

ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ক (Upper fixed point) : প্রমাণ বায়ুমন্ডলীয় চাপে যে উন্মতায় বিশুদ্ধ জল স্টীমে পরিণত হয় তাকে ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ক বা স্ফুটনাঙ্ক বা স্টীম বিন্দু (Boiling point or steam point) বলে।

প্রাথমিক অন্তর (Fundamental interval) : থার্মোমিটারের নিম্ন-স্থিরাঙ্ক ও ঊর্ধ্ব – স্থিরাঙ্ক দুটির মধ্যবর্তী উষ্মতার ব্যবধানকে বলা হয় প্রাথমিক অন্তর। এই ব্যবধানকে কয়েকটি সমান অংশে ভাগ করে বিভিন্ন থার্মোমিটার স্কেল তৈরি করা হয়। প্রত্যেক অংশকে ডিগ্রি বলে। আমাদের দেশে সাধারণত দুই রকমের থার্মোমিটার স্কেল চালু আছে।

(a) সেলসিয়াস (আগে ‘সেন্টিগ্রেড’ বলা) হত স্কেল : এই স্কেলে নিম্ন-স্থিরাঙ্ককে 0°C এবং ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ককে 100°C ধরে মাঝখানের অংশকে সমান 100 ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতি ভাগকে বলা হয় ডিগ্রি সেলসিয়াস (°C)। অ্যানডার্স সেলসিয়াস (Celsius) নামে সুইডেনের একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী 1742 খ্রিস্টাব্দে এই স্কেল উদ্ভাবন করেন।

(b) ফারেনহাইট স্কেলঃ এই স্কেলে নিম্ন স্থিরাঙ্ককে 32°F এবং ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ককে 212°F ধরে মধ্যবর্তী দূরত্বকে সমান 180 ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতি ভাগকে বলা হয় এক ডিগ্রি ফারেনহাইট (°F)। জি.ডি. ফারেনহাইট নামে এক বিজ্ঞানী 1720 খ্রিস্টাব্দে এই স্কেল উদ্ভাবন করেন।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।