নিউরোনের সংজ্ঞা, গঠন, শ্রেণিবিভাগ, কাজ | Definition Classification Function of Neuron




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Definition Classification Function of Neuron. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে নিউরোনের সংজ্ঞা, গঠন, শ্রেণিবিভাগ, কাজ | Definition Classification Function of Neuron

Ajjkal



নিউরোনের সংজ্ঞা, গঠন, শ্রেণিবিভাগ, কাজ | Definition Classification Function of Neuron

নিউরোনের সংজ্ঞা (Definition of Neurone) : (কোষদেহসহ সমস্ত রকম প্রবর্ধক নিয়ে গঠিত স্নায়ুতন্ত্রের গঠনমূলক ও কার্যমূলক একককে নিউরোন বলে।

নিউরোনের গঠন (Structural of Neurone) : স্নায়ুকোষ বা নিউরোন প্রধানত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত, যথা :

A. কোষদেহ বা নিউরোসাইটন
B. প্রবর্ধক বা প্রসেস্

C. নিউরোনের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Neurone) :

● কাজ অনুসারে : কাজ অনুযায়ী নিউরোন তিন রকমের হয়, যেমন :



(A) সংজ্ঞাবহ বা সংবেদজ বা সেনসরি নিউরোন (Sensory Neurone) : সৈনসরি রকম নিউরোনগুলো রিসেপ্টর থেকে স্নায়ুস্পন্দন (nerve impulse) অর্থাৎ আবেগকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বহন করে। সংজ্ঞাবহ নিউরোনের দ্বারা আবেগ বাইরে থেকে ভেতরে পরিবাহিত হয় বলে একে অন্তর্বাহী বা অ্যাফারেন্ট নিউরোন (afferent neurone) বলে। এই রকম নিউরোন রিসেপ্টর থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে বলে একে রিসেপ্টর নিউরোন (receptor neurone) – ও বলা হয়।

(B) আজ্ঞাবহবা চেষ্টিয়বা মোটর নিউরোন (Motor Neurone) : মোটর নিউরোনগুলো কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে স্নায়ুস্পন্দন অর্থাৎ সাড়া, কারক অর্থাৎ ইফেক্টরে বহন করে। আজ্ঞাবহ নিউরোন দ্বারা স্নায়ুস্পন্দন দেহের ভিতর থেকে বাইরে পরিবাহিত হয় বলে একে বহির্বাহী বা ইফারেন্ট নিউরোন (efferent neurone) বলে। এই রকমের নিউরোন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে পাঠানো স্নায়ুসম্পন্দনগুলোকে কারক অর্থাৎ ইফেক্টরে পাঠায় বলে একে ইফেক্টর নিউরোন (effector neurone) – ও বলা হয়।

(C) সহযোগী বা অ্যাডজাস্টর বা ইন্টারকানেকটিং নিউরোন (Adjustor or Interconnecting Neurone) : ইন্টারকানেটিং নিউরোনগুলো সেনসরি ও মোটর নিউরোনের মধ্যে সংযোগ সাধন করে। এই ধরনের নিউরোন সবসময় কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবস্থিত হয়।

● প্রবর্ধকের সংখ্যা অনুসারে : কোষদেহ থেকে উৎপন্ন প্রবর্ধকের সংখ্যা অনুযায়ী নিউরোন পাঁচ রকমের হয়, যেমন :

(i) অ্যাপোলার বা মেরুবিহীন (Apolar) : কোষদেহে যখন প্রবর্ধক থাকে না।




(ii) ইউনিপোলার বা এক – মেরুবর্তী (Unipolar) : কোষদেহে যখন একটিমাত্র প্রবর্ধক অর্থাৎ অ্যাক্সন থাকে।

(iii) বাইপোলার বা দ্বি-মেরুবর্তী (Bipolar) : কোষদেহের দু’দিকে যখন প্রবর্ধক থাকে অর্থাৎ একদিকে একটি অ্যাক্সন এবং অপরদিকে একটি ডেনড্রন।

(iv) সিউডো – ইউনিপোলার বা মেকী-এক -মেরুবর্তী (Pseudo – unipolar) : প্রাথমিক অবস্থায় দুটি প্রবর্ধক থাকে, যারা বয়ঃবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরস্পর মিলিত হয়ে একটি প্রবর্ধকে পরিণত হয়।

(v) মালটিপোলার বা বহু – মেরুবর্তী (Multipolar) : কোষদেহে যখন একাধিক প্রবর্ধক থাকে, যেমন : একটি অ্যাক্সন এবং অসংখ্য ডেনড্রন বা ডেনড্রাইট।

নিউরোনের কাজ (Functions of Neurone) : নিউরোনের প্রধান কাজ হল উদ্দীপনা বা স্নায়ুস্পন্দন বহন করা। সেনসরি নিউরোন রিসেপ্টর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এবং মোটর নিউরোন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেক্টরে স্নায়ুস্পন্দন বহন করে।

নিউরোগ্লিয়া (Neuroglia) : স্নায়ুকোষ বা নিউরোন ছাড়াও স্নায়ুকলায় বা স্নায়ুতন্ত্রে নিউরোগ্লিয়া নামে আর একরকম গঠনগত উপাদান পরিলক্ষিত হয়। এটি প্রকৃতপক্ষে একরকমের পরিবর্তিত যোগ কলা। এরা স্নায়ুতন্ত্রের ধারক কোষ হিসেবে কাজ করে। এরা বিভাজনে সক্ষম এবং বহু প্রবর্ধক যুক্ত। এদের স্নায়ুস্পন্দন পরিবহনের ক্ষমতা নেই। স্নায়ুকোষের মৃত্যুর পর এগুলি তার স্থান দখল করে। স্নায়ুতন্ত্রের মোট কোষসমষ্টির প্রায় 90 শতাংশই হল নিউরোগ্লিয়া।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।