Hello Students,
Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Definition and Types of Sound Waves. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে শব্দ তরঙ্গের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ | Definition and Types of Sound Waves।
শব্দ তরঙ্গের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ | Definition and Types of Sound Waves
■ শব্দ তরঙ্গ (Wave):- কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় যে-কোনো জড় মাধ্যমের কণাগুলির সমষ্টিগত কম্পনের ফলে সৃষ্ট যে আন্দোলন মাধ্যমকে অবলম্বন করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চালিত হয়, অথচ মাধ্যমের কণাগুলির কোনো স্থায়ী স্থানচ্যুতি ঘটে না, তাকে তরঙ্গ বলে। যে পদ্ধতিতে শক্তি মাধ্যমের একস্থান থেকে অন্যস্থানে বিস্তার লাভ করে তাকে তরঙ্গ গতি (Wave motion) বলে। তরঙ্গের বিস্তার লাভের জন্য জড় মাধ্যমকে অবশ্যই স্থিতিস্থাপক এবং অবিচ্ছিন্ন হতে হবে। যে কারণে এই ধরনের তরঙ্গকে স্থিতিস্থাপক তরঙ্গ (elastic wave) বলে।
■ তরঙ্গের প্রকার ভেদ (Types of wave) : তরঙ্গের প্রকৃতি অনুযায়ী তরঙ্গ দুই প্রকারের হয়, যথা— (i) তির্যক বা অনুপ্রস্থ তরঙ্গ (Transverse wave ) এবং (ii) অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ (Longitudinal wave)।
(i) তির্যক বা অনুপ্রস্থ তরঙ্গ:- কোনো স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের কণাগুলির সমষ্টিগত কম্পনের ফলে মাধ্যমে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, সেই তরঙ্গ যদি ওই মাধ্যমের কণাগুলির গতির সমকোণে অগ্রসর হয়, তবে ওই তরঙ্গকে তির্যক বা অনুপ্রস্থ তরঙ্গ বলে। একটা লম্বা দড়ির এক প্রান্ত দেয়ালে হুকের সঙ্গে বেঁধে দড়ির অপর প্রান্তটি হাতে ধরে আড়াআড়ি নাড়ালে দড়িটিতে তির্যক তরঙ্গের সৃষ্টি হয়।
(ii) অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ:- কোনো স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের কণাগুলির সমষ্টিগত কম্পনের ফলে মাধ্যমে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, সেই তরঙ্গ যদি ওই মাধ্যমের কণাগুলির গতির সমান্তরালে অগ্রসর হয়, তবে ওই তরঙ্গকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে। একটা লম্বা ঝোলানো স্প্রিং – এর নীচের প্রান্তে একটা ওজন ঝুলিয়ে ওই প্রান্তকে টেনে ছেড়ে দিলে দেখা যাবে, স্প্রিং -এর বিভিন্ন অংশে সংকোচন (ঘনীভবন) ও প্রসারণ (তনুভবন) স্প্রিং -এর দৈর্ঘ্য বরাবর অগ্রসর হয়ে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের সৃষ্টি করে।
■ পর্যাবৃত্ত গতি বিষয়ক কয়েকটি সংজ্ঞা (Some definitions in connection with periodic motion):-
(1) পর্যাবৃত্ত গতি (Periodic motion) : কোনো গতিশীল বস্তু যদি নির্দিষ্ট সময় পর পর একই অবস্থানে ফিরে আসে এবং বার বার একই পথে যাতায়াত করে, তবে ওই বস্তুর গতিকে পর্যাবৃত্ত গতি বলে। সরল দোলকের গতি, পৃথিবীর বার্ষিক গতি, ঘণ্টার বা মিনিটের কাঁটার গতি প্রভৃতি পর্যাবৃত্ত গতির উদাহরণ।
(2) পূর্ণ দোলন (Complete oscillation) : পর্যাবৃত্ত গতিতে গতিশীল কোনো বস্তু তার গতিপথের যে-কোনো বিন্দু থেকে নির্দিষ্ট দিকে যাত্রা করে বিপরীত দিক থেকে আবার সেই বিন্দুতে ফিরে এলে বলা হয় যে, বস্তুটি একটি পূর্ণ দোলন বা কম্পন শেষ করেছে।
(3) বিস্তার (Amplitude):- কম্পনশীল বস্তুকণাকে ওর সাম্য অবস্থান থেকে যে সর্বোচ্চ দূরত্বে যেতে হয়, তাকেই বস্তুকণার বিস্তার বলে।
(4) পর্যায়কাল বা দোলনকাল (Time period):- একটি কম্পনশীল বস্তুর একটি পূর্ণ দোলন ঘটতে যে সময় লাগে, তাকে ওর পর্যায়কাল বা দোলনকাল (T) বলে।
(5) কম্পাঙ্ক (Frequency):- পর্যাবৃত্ত গতিতে স্পন্দনশীল বস্তুকণা প্রতি সেকেন্ডে যতবার পূর্ণ স্পন্দন বা পূর্ণ দোলন সম্পন্ন করে, সেই সংখ্যাকে বস্তুকণার কম্পাঙ্ক (n) বলে।
(6) তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (Wave length):- তরঙ্গের গতিপথে অবস্থিত মাধ্যমের কণাগুলি যে সময়ে একটি পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করে সেই সময়ে তরঙ্গটি যে দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকে তরঙ্গ-দৈর্ঘ্য বলে।
(7) তরঙ্গ বেগ (Wave velocity):- এক সেকেন্ডে তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গ বেগ বলে।
❏ General Knowledge – Click Here
❏ Job Notification – Click Here
❏ Online Mock Test Quiz – Click Here
Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।