শব্দের প্রতিফলনের সংজ্ঞা ও সূত্রাবলী | Definition and Formulas of Sound Reflexion




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Definition and Formulas of Sound Reflexion. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে শব্দের প্রতিফলনের সংজ্ঞা ও সূত্রাবলী | Definition and Formulas of Sound Reflexion

Ajjkal



শব্দের প্রতিফলনের সংজ্ঞা ও সূত্রাবলী | Definition and Formulas of Sound Reflexion

শব্দের প্রতিফলন (Reflection of sound):- শব্দ-তরঙ্গ যখন এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমের বিভেদতলে আপতিত হয়, তখন ওই আপতিত শব্দ-তরঙ্গের কিছু অংশ বিভেদতল থেকে দিক পরিবর্তন করে আবার প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে। এই ঘটনাকে শব্দের প্রতিফলন বলে। আপতিত তরঙ্গের বাকি অংশের কিছুটা মাধ্যমদ্বয়ের বিভেদতলে শোষিত হয় এবং কিছুটা দ্বিতীয় মাধ্যমের ভিতর দিয়ে চলে যায়। বাড়ির দেয়াল, নদীর উঁচু পাড় , পাহাড় বা গাছের সারি শব্দের প্রতিফলকের কাজ করে।



শব্দের প্রতিফলনের সূত্রগুলি হল—

(i) আপতিত শব্দ রশ্মি, প্রতিফলিত শব্দ রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে প্রতিফলক তলের ওপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে।

(ii) আপতন কোণ এবং প্রতিফলন কোণ পরস্পরের সমান হয়।

প্রতিধ্বনি (Echo) সংজ্ঞা:-

কোনো উৎস থেকে উৎপন্ন শব্দ, দূরের কোনো প্রতিফলকে প্রতিফলিত হয়ে মূল শব্দ থেকে পৃথকভাবে শ্রোতার কানে এসে পৌঁছোলে, প্রতিফলিত শব্দটিকে মূল শব্দের প্রতিধ্বনি বলে।

■ সুরযুক্ত ও ও সুরবর্জিত শব্দ (Musical sound and Noise) :




সুরযুক্ত শব্দ : শব্দের উৎস বা স্বনকের নিয়মিত, পর্যাবৃত্ত ও ধারাবাহিক কম্পনের ফলে উৎপন্ন শ্রুতিমধুর শব্দকে সুরযুক্ত শব্দ বলে। অনুভূতির বিচারে শ্রুতিসুখকর শব্দকে সুরযুক্ত শব্দ বলে। সুরশলাকার শব্দ, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র থেকে উৎপন্ন শব্দ সুরযুক্ত শব্দ।

সুরবর্জিত শব্দ : শব্দের উৎস বা স্বনকের অনিয়মিত, ক্ষণস্থায়ী কম্পনের ফলে উৎপন্ন শ্রুতিকটু শব্দকে সুরবর্জিত শব্দ বলে। অনুভূতির বিচারে শ্রুতিকটু শব্দকে সুরবর্জিত শব্দ বলে। গাড়ি চলাচলের শব্দ, বাজ পড়ার শব্দ, পটকার শব্দ বা বিস্ফোরণের শব্দ ক্ষণস্থায়ী, এগুলি সুরবর্জিত শব্দ।

সুরযুক্ত শব্দের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of musical sound) : সুরযুক্ত শব্দের তিনটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়— (i) প্রাবল্য বা তীব্রতা (Loudness or Intensity), (ii) তীক্ষ্ণতা (Pitch) এবং (iii) গুণ বা জাতি (Quality or Timbre)

(1) প্রাবল্য বা তীব্রতা:- প্রাবল্য বা তীব্রতা বলতে শব্দ কতটা জোরে হচ্ছে তা বোঝায়। একক ক্ষেত্রফলের ভিতর দিয়ে লম্বভাবে এক সেকেণ্ডে প্রবাহিত শব্দ শক্তির পরিমাণ হল প্রাবল্য বা তীব্রতা। শব্দের প্রাবল্য বা তীব্রতা বৃদ্ধি পায় যদি— (i) উৎসের আকার বড়ো হয়, (ii) কম্পনের .বিস্তার বেশি হয়, (iii) উৎস ও শ্রোতার ভিতর দূরত্ব কম হয়, (iv) মাধ্যমের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়, (v) অনুনাদী বস্তু উপস্থিত থাকে এবং (vi) বায়ুর প্রবাহ শব্দের বিস্তারের দিকে হয়।

(2) তীক্ষ্ণতা:- যে ধর্ম দিয়ে একই প্রাবল্যবিশিষ্ট খাদের সুর এবং চড়া সুরের মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায়, তাকে তীক্ষ্ণতা বলে।

(3) গুণ বা জাতি:- যে বিশেষত্বের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে উৎপন্ন একই প্রাবল্য এবং তীক্ষ্ণতা বিশিষ্ট স্বরগুলির মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায়, তাকে সুরযুক্ত শব্দের গুণ বা জাতি বলে। যে বাদ্যযন্ত্রের স্বরে উপসুরের সংখ্যা বেশি সেই স্বরের গুণ বা জাতি তত উঁচু।

সুরু (Tone) এবং স্বর (Note):- একটি মাত্র কম্পাঙ্কবিশিষ্ট শব্দকে সুর বলে। যে সুরযুক্ত শব্দে একাধিক কম্পাঙ্কের শব্দ মিশে থাকে, তাকে স্বর বলে। কোনো স্বরে উপস্থিত বিভিন্ন কম্পাঙ্কবিশিষ্ট সুরগুলির মধ্যে যে সুরটির কম্পাঙ্ক সবচেয়ে কম, তাকে মূলসুর (Fundamental tone) বলে। কোনো স্বরে উপস্থিত সুরগুলির মধ্যে মূলসুর ছাড়া অন্যান্য সুরগুলিকে উপসুর (Overtone) বলে। যেসব উপসুরের কম্পাঙ্ক মূলসুরের কম্পাঙ্কের সরল গুণিতক, তাদের সমমেল (Harmonics) বলে।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।