অভিযোজনের সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা | Definition and Explanation of Adaptation




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Definition and Explanation of Adaptation. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে অভিযোজনের সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা | Definition and Explanation of Adaptation

Ajjkal



অভিযোজনের সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা | Definition and Explanation of Adaptation

অভিযোজনের সংজ্ঞা : পারিপার্শ্বিক পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য জীবদেহের গঠনগত, শারীরবৃত্তীয় ও আচরণগত যে স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে (যা বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয়ে জৈব অভিব্যক্তির পথকে সুগম করে), তাকেই অভিযোজন বা অ্যাডাপটেশন বলে।

❏ বিভিন্ন জীব বিভিন্ন পরিবেশে বসবাস করে। ওই পরিবেশে খাপ খাইয়ে চলার জন্য জীবের বিভিন্ন অঙ্গের পরিবর্তন ঘটে। যেমন মাছ জলে বাস করার জন্য তার দেহটি মাকু আকৃতির হয়েছে। জলে সাঁতার কাটার জন্য পাখনা এবং শ্বাসকার্য চালানোর জন্য ফুলকা সৃষ্টি হয়েছে। এইভাবে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য জীবদেহের যেসব বৈশিষ্ট্যের অবির্ভাব ঘটে এবং জীবদেহের গঠনগত, শারীরবৃত্তীয় এবং আচরণগত যেসব পরিবর্তন লক্ষ করা যায় তাদের অভিযোর্জন বলে।



■ অভিযোজনের প্রয়োজনীয়তা ও উদ্দ্যেশ্য (Importance & Purpose of Adaptation) :

❏ অভিযোজনের প্রয়োজনীয়তা : অভিযোজনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। যেহেতু পরিবেশ নিয়ত পরিবর্তনশীল, সেহেতু কোনও পরিবেশে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সেখানকার জীবদের মধ্যে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে, নতুবা তাদের অবলুপ্তির সম্ভাবনা থাকে। এই কারণেই পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য সেখানকার জীবদের পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত অর্থাৎ অভিযোজিত হওয়া অবশ্য প্রয়োজনীয়।

অভিযোজনের উদ্দেশ্য : অভিযোজনের প্রধান উদ্দেশ্য হল :




  1. পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে জীবনধারণ ও বংশবিস্তার করাই হল অভিযোজনের প্রধান উদ্দেশ্য।
  2. পরিবর্তিত পরিবেশে গঠনগত, শারীরবৃত্তীয় এবং আচরণগত নানান পরিবর্তন ঘটিয়ে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকাই হল অভিযোজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
  3. পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নানান পরিবর্তন ঘটিয়ে আপন প্রজাতির অস্তিত্বরক্ষা হল অভিযোজনের আর একটি উদ্দেশ্য।
  4. অভিযোজনের ফল হিসেবে জীবদেহে যে অনুকূল পরিবর্তন আসে তা বংশপরম্পরায় উত্তর পুরুষের দেহে সঞ্চারিত হয়ে বিবর্তনের পথকে সুগম করে।

অল্পকথায়, পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াবার অবিরাম প্রচেষ্টাই হল অভিযোজনের মূলসূত্র।

অভিযোজন ও অভিব্যক্তির সম্পর্ক (Relation between Adaptation and Evolution) : অভিযোজনের সঙ্গে বিবর্তনের সম্পর্ক নিম্নলিখিত তিনটি উক্তিতে প্রকাশ করা যায়।

● 1. পরিবর্তিত পরিবেশে অভিযোজিত হওয়ার মাধ্যমে জীবদের বিবর্তন ঘটে : প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলার জন্য নির্দিষ্ট পরিবেশে বসবাসকারী জীবদের মধ্যে একটা প্রচেষ্টা থাকে। কেননা, পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হতে না পারলে তাদের অবলুপ্তির সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু কোনও প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত সব সদস্যের পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা সফল হয় না। দেখা গেছে, এই ধরনের ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ জেনেটিক গঠন বিশিষ্ট সদস্যের প্রচেষ্টা অন্যান্যদের তুলনায় সফল হয়। যাদের ক্ষেত্রে এই সাফল্য ঘটে, তারা পরিবর্তিত পরিবেশে স্থায়ী আসন লাভ করে এবং অন্যান্যরা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরিবর্তিত পরিবেশে এইভাবে ধারাবাহিক অভিযোজনের মধ্যে দিয়ে জৈব বিবর্তন ঘটে। অভিযোজনগত এইসব বৈশিষ্ট্য বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হওয়ার ফলেই নতুন নতুন প্রজাতির জীবের আবির্ভাব ঘটে । সুতরাং দেখা যায় যে, অভিযোজন ও অভিব্যক্তি পরস্পর ঘনিষ্টভাবে সম্পর্কযুক্ত।

● 2. বিবর্তনের পথে কোনও বৈশিষ্ট্যের একবার অবলুপ্তি ঘটলে তার পুনরাবির্ভাব ঘটে না : একথা আমরা জানি যে সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী প্রভৃতি প্রাণীদের আবির্ভাব ঘটেছে মাছের মত জলচর পূর্বপুরুষ থেকে। শ্বাসযন্ত্র বা ফুলকা ত্যাগ করে তার পরিবর্তে স্থলবাসী প্রাণীরা ফুসফুস অর্জন করেছে। কোনও কোনও স্থলবাসী প্রাণী, যেমন : তিমি, কুমির, কচ্ছপ ইত্যাদি নানা কারণে আবার জলের জীবনে ফিরে গেছে, কিন্তু জলে শ্বাসকার্য চালানোর জন্য ফুলকা তারা আর ফিরে পায়নি।

● 3. কোনও প্রজাতি নির্দিষ্ট পরিবেশে একবার পরিপূর্ণরূপে অভিযোজিত হওয়ার পর তার পুনরায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। যেমন : প্রায় পনেরো কোটি বছর আগে বিলুপ্ত লাং ফিস — ‘সেরাটোডাস’ যে ধরনের বসতিতে বাস করতো, তার বর্তমান বংশধর অস্ট্রেলিয়াবাসী ‘নিওসেরাটোডাস প্রায় একই ধরনের বসতিতে বাস করে। ফলে উভয়ের মধ্যে গঠনগত পরিবর্তন বিশেষ কিছু ঘটেনি।

■ উপরোক্ত তিনটি আলোচনা থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, অভিযোজনের মাধ্যমেই জীবের বিবর্তন ঘটে।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।