খাদ্যের সংজ্ঞা ও শ্রেণিবিভাগ | Definition and Classification of Food
■ আমরা যা কিছু খাই তাকে আহার্য সামগ্রী বলে। কিন্তু সব আহার্য বস্তু খাদ্য হিসাবে পরিগণিত হয় না। যে সমস্ত আহার্য সামগ্রী দেহের পুষ্টি ও বৃদ্ধির সহায়ক সেগুলিকে খাদ্য বলে। অথবা যে সমস্ত আহার্য সামগ্রী গ্রহণ করলে জীবদেহের পুষ্টি বৃদ্ধি ও শক্তি উৎপাদন ও ক্ষয়পূরণ হয় এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে ওঠে তাকে খাদ্য বলে।
■ শক্তির উৎসরূপে খাদ্য:- জীবদেহে শক্তির উৎস হল খাদ্য। সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াকালে সৌরশক্তি খাদ্যের মধ্যে স্থৈতিকশক্তিরূপে আবদ্ধ হয়। জীবদেহে শ্বসনের সময় স্থৈতিকশক্তি তাপশক্তি বা গতিশক্তি রূপে মুক্ত হয়, ফলে জীবদেহের যাবতীয় বিপাক ক্রিয়া যেমন- বৃদ্ধি, চলন, গমন, জনন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রিত হয়। সুতরাং প্রাণধারণের জন্য প্রত্যেক জীবকেই খাদ্য গ্রহণ করতে হয়।
■ খাদ্যের শ্রেণিবিভাগ:- জীবদেহে খাদ্যের কার্যকারীতা অনুযায়ী খাদ্যকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
❏ (a) দেহ-পরিপোষক খাদ্য:- এই খাদ্য দেহের গঠন, বৃদ্ধি ও শক্তি উৎপাদনে সহায়ক। যেমন- শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট , আমিষ বা প্রোটিন এবং স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট বা লিপিড।
❏ (b) দেহ-সংরক্ষক খাদ্য:- এই প্রকার খাদ্য দেহকে রোগ-সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। যেমন- খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন, খনিজ পদার্থ বা মিনার্যালস।
■ ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ:- যে বিশেষ খাদ্য উপাদান সাধারণ খাদ্যে অতি অল্প পরিমাণে থেকে দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধক শক্তি বৃদ্ধি করে তাকে ভিটামিন বলে।
■ ভিটামিনের শ্রেণিবিভাগ:- দ্রাব্যতা অনুসারে ভিটামিন দুই প্রকার। যেমন-
● (i) তেলে বা স্নেহ পদার্থে দ্রবণীয় ভিটামিন — A, D, E, K.
● (ii) জলে দ্রবণীয় ভিটামিন – B, C, P.