Hello Students,
Wellcome to www.edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, edu.bengaliportal.com আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি Computers and modern life. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই edu.bengaliportal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে কম্পিউটার ও আধুনিক জীবন || Computers and modern life ||. নিচে কম্পিউটার ও আধুনিক জীবন || Computers and modern life set টি যত্নসহকারে পড়ুন ও পরীক্ষার জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত হয়ে যান। এই কম্পিউটার ও আধুনিক জীবন || Computers and modern life || এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।
🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘
[pdf টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে Click করুন]
কম্পিউটার ও আধুনিক জীবন || Computers and modern life
শিল্পবিপ্লবের পর থেকে যন্ত্রবিজ্ঞানের জয়যাত্রা অব্যাহত। বাষ্পশক্তি, বিদ্যুৎশক্তি ও আণবিক শক্তি যন্ত্রবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার নিত্যনতুন দ্বার দিয়েছে খুলে। ফলে সংখ্যাতীত আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষ যন্ত্রশক্তিতে হয়েছে দুর্বার শক্তির অধিকারী। যন্ত্র আজ শুধু তার হাতের ক্রীড়নক নয়, তার কর্মজীবনের বৃহত্তর ক্ষেত্রে অনুগত ভৃত্যের মতো হুকুম তামিল করতে সদা ব্যস্ত। এই যন্ত্রমানবের নাম কম্পিউটার, যা বিজ্ঞানে আধুনিকতম আবিষ্কার ও এক যুগান্তকারী বিস্ময়।
কম্পিউটার উদ্ভাবনের জনক হিসেবে খ্যাতির অধিকারী হলেন ব্রিটিশ গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ। তাঁর পরিকল্পিত গণকযন্ত্রই কম্পিউটার গঠনের প্রেরণা যুগিয়েছে পরবর্তীকালে। ব্যাবেজের গণকযন্ত্রের পরিকল্পনা ছিল অষ্টাদশ শতকের তৃতীয় দশকে। ইলেকট্রনিক্স জ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার ক্রমোন্নতি কম্পিউটার গঠনের পক্ষে হল সম্পূর্ণ সহায়ক। ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিবিদ্যার মেলবন্ধনে মানুষের হাতে এল স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রমানব কম্পিউটার। কম্পিউটারের আভিধানিক অর্থ হল ‘ইলেকট্রনিক যন্ত্ৰগণক’। ল্যাটিন শব্দ ‘কম্পিউটেয়ার’ থেকে ‘কম্পিউটার’ কথার উদ্ভব। শুধু সংখ্যা গণনাই আধুনিক-কম্পিউটারের কাজ নয়, তার প্রয়োগ আধুনিক জীবনের বহুব্যাপ্ত ক্ষেত্রে বিস্তৃত।
কম্পিউটার যেন যন্ত্রমস্কিষ্ক। মানুষ সমস্যার সমাধান করে তার মগজে ধরে রাখা স্মৃতি, অভিজ্ঞতা, তথ্য ও তত্ত্বের প্রয়োগ ঘটিয়ে। কম্পিউটারের মগজে থাকে তিনটি সুস্পষ্ট অংশ; এক, সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট; দুই, ইনপুট; তিন, আউটপুট। যে কোনো সমস্যা সংক্রান্ত সবরকম তথ্য নিয়ে কাজ করে ‘সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট’। ‘ইনপুট’ তথ্য সংবলিত নির্দেশ গ্রহণ করে আর ‘আউটপুট ’ প্রকাশ করে গণনা সমন্বিত ফল । যে সকল তথ্য নিয়ে কম্পিউটার কাজ করে তাকে বলে ‘ডাটা’ , আর যে ক্রমবিন্যাস পদ্ধতিতে সে কাজ করে তাকে বলে ‘প্রোগ্রাম’। কম্পিউটারে তথ্য ও নির্দেশ প্রদানের জন্য যে বিশেষ ভাষা ব্যবহার করা হয় তাকে বলে ‘প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ’।
কম্পিউটারের কার্যকারিতা ও প্রয়োগক্ষেত্র ব্যাপক। কারণ কম্পিউটারের আছে দ্রুত গণনার শক্তি, বহু তথ্যকে গুছিয়ে মগজে ধরে রাখার ক্ষমতা, নির্ভুল উত্তর দেওয়া, তা ছাড়া ‘ডাটা’ ও ‘প্রোগ্রাম’ অনুযায়ী কাজ করতে পারা।
কম্পিউটার যেন সবজান্তা মেশিন। মানুষের পরম নির্ভরশীল বন্ধু। কোটি কোটি সংখ্যার অঙ্ক মিলিয়ে নির্ভুল হিসেব করে দিতে পারে কম্পিউটার। ভূত -ভবিষ্যতের হাজারো প্রশ্নের জবাব দিয়ে জ্যোতিষ – ঠাকুরের কাজও করতে পারে ওই যন্ত্র। বড়ো বড়ো কলকারখানায় বসে উৎপাদনের পরিকল্পনা আর তা নিয়ন্ত্রণের খবরদারি করছে, শ্রমিক নিয়োগ ও বরখাস্ত করছে, লাভক্ষতির হিসাবনিকাশ করছে ওই যন্ত্রমানব। রেলওয়ে, এয়ারলাইন্স, পোস্ট-টেলিগ্রাফ, ব্যাংক, রিসার্চ সেন্টার, ইনসিওরেন্স প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটারের অপ্রতিহত আধিপত্য। শিক্ষাক্ষেত্রেও করছে গুরুগিরি। পরীক্ষার ফল প্রকাশ, মেয়ের যোগ্য পাত্র নির্বাচন, অপরাধীকে খুঁজে বের করা, পুরোনো মামলার নথিপত্র খুঁজে তথ্য সংগ্রহ করে দেওয়া, বিজ্ঞাপন প্রচার করা — কী না করছে মানুষের সৃষ্ট ওই যন্ত্র-মগজ। এই কারণে আধুনিক সভ্যতায় কম্পিউটারের অবদান অনস্বীকার্য।
ভারত কম্পিউটার যুগে পা দিয়েছে ইতিপূর্বেই। সরকারি আনুকূল্যে কম্পিউটার পাকাপোক্তভাবে বসেছে ভারতের শিল্পে, ব্যাবসাবাণিজ্যে, পরিবহনে, যোগাযোগব্যবস্থায়, অফিস – আদালতে এমনকি শিক্ষাক্ষেত্রে। পরিসংখ্যানে প্রকাশ: ১৯৫৫ সালে ভারতে প্রথম কম্পিউটার বসে, ১৯৭৫ – এ সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার, ১৯৮৪ – তে তিন হাজার, এখন বহু কোটি। এভাবে ভারতীয় জীবনেও কম্পিউটার নিয়েছে অপরিহার্য ভূমিকা।
কল্পবিজ্ঞানীদের কল্পনায় এই যন্ত্রদানবের ক্ষমতা অপরিসীম। তাঁদের আশঙ্কা মানুষের সৃষ্ট এই যন্ত্রদানবকে দিয়ে কাজ করাতে করাতে এমন এক সময় আসবে, যখন কাজের ক্ষুধায় উন্মত্ত দানব তার স্রষ্টা মানুষকেই করবে ক্রীতদাস। কথাটাকে একটু ঘুরিয়ে দেখলেই বাস্তব সত্যটা স্পষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা এত বেশি যে, একটা কম্পিউটার অনেক মানুষের কাজ করে দিতে পারে। কম্পিউটারের ব্যাপক প্রয়োগ ও ব্যবহার মানুষকে করবে কর্মহীন। যন্ত্র তখন মানুষের ক্রীড়নক না হয়ে মানুষ হবে যন্ত্রের ক্রীড়নক। মানুষের কাজ কেড়ে নিতে নিতে বিশাল সংখ্যার মানুষকে করবে বেকার।
তা বলে অগ্রগতির রথ স্তব্ধ হয়ে থাকবে ? বিজ্ঞান- নির্ভর নতুন যুগের শরিক হতে না পারলে আধুনিক সুখ-সম্পদ হবে হস্তচ্যুত। বিজ্ঞানের এত বড়ো আশীর্বাদকে গ্রহণ করতে না পারার পরিণাম হবে সভ্যতার অগ্রগমনের পক্ষে ক্ষতিকর। এই অপরিণামদর্শিতার জন্য আগামী প্রজন্ম বর্তমান প্রজন্মের ওপর হবে ক্ষমাহীন৷
🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘
🔵🔴 ভারতের বৃহত্তম, দীর্ঘতম ও উচ্চতম pdf- Click Here
🔵🔴 বিপরীত শব্দ pdf- Click Here
🔵🔴 কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here
🔵🔴 পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here
🔵🔴 বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ও নামকরণকারী দেশ pdf- Click Here
🔵🔴 সমোচ্চারিত শব্দ বা সমার্থক শব্দ pdf- Click Here
🔵🔴 বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর pdf- Click Here
🔵🔴 বছরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন pdf- Click Here
🔵🔴 100+ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর pdf- click Here
🔵🔴 ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর pdf- click Here
🔵🔴 WBCS preliminary practice set pdf- Click Here
🔵🔴 বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here
🔵🔴 ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর – Click Here
🔵🔴 দৈনিক ১০টি স্পেশাল MCQ – Click Here
Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।