সংক্ষিপ্ত টীকা- চোখের বালি উপন্যাস | Cokhera Bali Novel

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ নিয়ে এসেছি Cokhera Bali Novel. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে চোখের বালি উপন্যাস | Cokhera Bali Novel

Ajjkal

চোখের বালি উপন্যাস | Cokhera Bali Novel

■ চোখের বালি উপন্যাস:-

উত্তর:: ‘চোখের বালি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বিখ্যাত সামাজিক উপন্যাস। ১৯০৩ খ্রীষ্টাব্দে এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। ‘চোখের বালি’ উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ বালবিধবা বিনোদিনীর হৃদয়ে পুরুষের প্রতি দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষার স্ফূরণ ও তার মানসিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার বিশ্লেষণ করেছেন। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মনো-বিশ্লেষণধর্মী উপন্যাস হিসাবে এটি স্মরণীয়। “মহেন্দ্র, আশা, বিহারী ও বিনোদিনী — দুজন পুরুষ দুজন স্ত্রীলোকের সমস্যা কিভাবে জট পাকিয়ে গিয়েছিল, কেমন করে তার গ্রন্থিমোচন হল; বাঙলা সমাজ ও পারিবারিক জীবনের যুগসঞ্চিত সংস্কারে কবিগুরু, কিভাবে আঘাত দিলেন, তার এক বিচিত্র বলিষ্ঠ বিশ্লেষণাত্মক বর্ণনা এই উপন্যাসে পাওয়া যাবে। … রবীন্দ্রনাথ বালবিধবার প্রেমকে স্বীকার করতে পারেননি, আবার তাকে সমাজ সংসারের স্বাভাবিক জীবনের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজন বোধ করেননি।

মনস্তত্ত্বের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ, ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া, অবচেতন সত্তার নিগূঢ় ইঙ্গিত, সমাজ সংসারের স্বাভাবিক প্রকৃতির সংঘাতের ফলে নারীর জীবন কোন্ পরিণতির দিকে অগ্রসর হয়, রবীন্দ্রনাথ অত্যন্ত নিপূণতার সঙ্গে সে কথা বলেছেন।” প্রথম সামাজিক উপন্যাস হলেও এই উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ যে অসামান্য মনোবিশ্লেষণ, হীরক দ্যুতিময় বাক্যবিন্যাস ও কাব্য সৌন্দর্য রচনা করেছেন, তাতে বিস্মিত হতে হয়।

মহেন্দ্র, বিহারী, আশা, বিনোদিনী প্রভৃতি প্রতিটি চরিত্রের স্বকীয়তা ও উজ্জ্বলতা নমনীয় মহেন্দ্রর পরিচয় দিয়ে বলা হয়েছে – “কাঙারু শাবকের মতো মাতৃগর্ভ হইতে ভুমিষ্ঠ হইয়াও মাতার বহির্গর্ভের থলিটির মধ্যে আবৃত থাকাই তাহার অভ্যাস হইয়া গিয়াছিল। মার সাহায্য ব্যতিত তাহার আহার বিহার আরাম বিরাম সম্পন্ন হইবার জো ছিল না। বাল্যকাল হইতে মহেন্দ্র দেবতা ও মানবের কাছে সর্বপ্রকার প্রশ্রয় পাইয়াছে। এই জন্য তাহার ইচ্ছার বেগ উচ্ছৃঙ্খল। পরের ইচ্ছার চাপ সে সহিতে পারে না।” বিনোদিনীর মনে আশার প্রতি ঈর্ষার আগুনকে সুন্দর করে প্রকাশ করা হয়েছে “এমন সুখের ঘরকন্না – এমন সোহাগের সাথী। এ ঘরকে আমি রাজার রাজত্বের, এ সাথীকে যে আমি পায়ের দাস করিয়া রাখিতে পারিতাম। তখন কি ঘরের দশা, এ মানুষের এই ছিরি থাকিত।

আমার জায়গায় কিনা এই কচিখুকি, এই খেলার পুতুল। বিহারী যখন তাকে বিবাহ করবার প্রস্তাব দিল তখন বিনোদিনী বলেছে – “ছি ছি একথা মনে করিতে লজ্জা হয়। আমি বিধবা, আমি নিন্দিতা, অথচ সমাজের কাছে তোমাকে লাঞ্ছিত করিব এ কখনো হইতেই পারে না। ছি ছি একথা তুমি মুখে আনিয়ো না।” বিনোদিনীর যথার্থ পরিচয় পাবার পর বিহারীর মনোভাব “বিনোদিনী যে সৌন্দর্যরসে বিহারীকে অভিষিক্ত করিয়া দিয়াছে, সংসারের মধ্যে বিনোদিনীর সহিত সেই সৌন্দর্যের উপযুক্ত কোন সম্বন্ধ সে কল্পনা করিতে পারে না। পদ্মকে তুলিতে গেলে পঙ্ক উঠিয়া পড়ে – তাই বিহারী নিভৃত গঙ্গাতীরে বিশ্বসঙ্গীতের মাঝখানে তাহার মানসী প্রতিমাকে প্রতিষ্ঠিত করিয়া আপনার হৃদয়কে ধূপের মতো দগ্ধ করিতেছে।”

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।