বৈদিক সভ্যতার বৈশিষ্ট্য সমূহ | Characteristics of Vedic Civilization

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ এসেছি Characteristics of Vedic Civilization. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে বৈদিক সভ্যতার বৈশিষ্ট্য সমূহ | Characteristics of Vedic Civilization

Ajjkal

বৈদিক সভ্যতার বৈশিষ্ট্য সমূহ | Characteristics of Vedic Civilization

সুপ্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা দীর্ঘ ক্রমবিবর্তনের মধ্যে দিয়ে বিকশিত হয়ে ওঠে। বৈদিক সভ্যতা হল ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তনের এক গৌরবময় স্তর। সাম্প্রতিককালে বৈদিক সভ্যতাকে কোনও বহিরাগত জাতির অবদান বলে মনে করা হয় না। সিন্ধু ও সরস্বতী নদীর অববাহিকা অঞ্চলে যে সুপ্রাচীন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল তারই সূত্র ধরে এই সভ্যতার উন্মেষ ঘটে।

■ বৈদিক সভ্যতা তথা আর্যদের সামাজিক বৈশিষ্ট্য :

(১) পারিবারিক কাঠামো : বৈদিক সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল যৌথ পরিবার প্রথা। এই পরিবার ছিল একান্নবর্তী ও পিতৃতান্ত্রিক। পিতা বা বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন পরিবারের সর্বময় কর্তা, তাই তাঁকে ‘গৃহপতি’ বা ‘কুলপা’ বলা হত। পরিবারের সকলে তাঁর নির্দেশ অনুগতভাবে পালন করত।

(২) নারীর স্থান : পুরুষতান্ত্রিক বৈদিক সমাজে পুত্রসন্তানের জন্ম বেশি কাম্য হলেও কন্যাসন্তানের লালনপালনে কোনো ত্রুটি ছিল না। সমাজে নারীদের চরিত্রের মান ছিল উন্নত এবং মর্যাদাপূর্ণ। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এযুগের নারীরা যথেষ্ট উৎকর্ষের পরিচয় দেন। এযুগে অপালা, ঘোষা, মমতা, লোপামুদ্রা প্রমুখ নারীরা জ্ঞানগরিমায় খ্যাতিলাভ করেন।

■ (৩) জাতিভেদ ও বর্ণপ্রথা : প্রথম দিকে বৈদিকসমাজে বর্ণভেদবা জাতিভেদপ্রথার বিশেষ প্রচলন ছিল না। প্রচলিত ব্যাখ্যা অনুসারে অনার্যদের সঙ্গে অবিরাম যুদ্ধের ফলে আর্যও অনার্যদের মধ্যে শ্রেণিভেদেরউদ্ভব হয় এবং বর্ণপ্রথার উন্মেষ হয়। ঋগ্বেদেরদশম মণ্ডলে ‘পুরুষসূত্রে’ প্রথম বর্ণভেদের উল্লেখ পাওয়া যায়। এরপর পেশা বা কর্ম অনুসারে সমাজে মানুষে মানুষে ব্যবধান সৃষ্টি হয়। যাঁরা বিদ্যাচর্চা ও যাগযজ্ঞ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন, তাঁরা ব্রাত্মণ নামে পরিচিত হলেন। সামরিক ও প্রশাসনিক কার্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ‘ক্ষত্রিয়’নামে পরিচিত হলেন। যাঁরা কৃষি, পশুপালন, ব্যাবসাবাণিজ্য পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন তাঁদের বলা হত ‘বৈশ্য’। উপরোক্ত তিন শ্রেণির সেবায় নিযুক্ত ব্যক্তিরা ছিলেন সমাজের একেবারে নীচের স্তরে — এদের বলা হত শূদ্র’। পরবর্তী বৈদিক যুগে জাতিভেদ প্রথা আরও কঠোর ও অনমনীয় হয়ে ওঠে।

(৪) চতুরাশ্রম ব্যবস্থা : ‘চতুরাশ্রম’ ব্যবস্থা ছিল বৈদিক সমাজব্যবস্থার অপর একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। ‘আশ্রম’ কথার অর্থ হল ‘জীবনের অবস্থা’। প্রথম পর্যায়ে আর্য বালককে গুরুগৃহে ব্রহ্মচারী জীবনযাপন করে বিদ্যাচর্চার মধ্যে কাটাতে হত, দ্বিতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থী নিজগৃহে ফিরে গার্হস্থ্য জীবনে আবদ্ধ থাকত, তৃতীয় পর্যায়ে বানপ্রস্থাশ্রম, অর্থাৎ সংসারের দায়দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে বনে গিয়ে নির্লিপ্তভাবে জীবনযাপন করতে হত, সবশেষে সন্ন্যাসাশ্রমে ঈশ্বর চিন্তায় নিমগ্ন থাকতে হত।

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।