সংক্ষিপ্ত টীকা- চন্দ্রশেখর উপন্যাস, বিষবৃক্ষ উপন্যাস | Chandrashekhar Novel and Bishvriksha Novel

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ নিয়ে এসেছি Chandrashekhar Novel and Bishvriksha Novel. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে চন্দ্রশেখর উপন্যাস, বিষবৃক্ষ উপন্যাস | Chandrashekhar Novel and Bishvriksha Novel

Ajjkal

চন্দ্রশেখর উপন্যাস, বিষবৃক্ষ উপন্যাস | Chandrashekhar Novel and Bishvriksha Novel

■ চন্দ্রশেখর উপন্যাস:-

উত্তর:: ‘চন্দ্রশেখর’ বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা বিখ্যাত ঐতিহাসিক উপন্যাস। ১৮৭৫ খ্রীষ্টাব্দে এটি প্রকাশিত হয়। নবাব মীরকাশিম ও ইংরাজ সংঘর্ষের পটভূমিকায় এই উপন্যাসে প্রতাপ শৈবলিনীর প্রেম ও তার পরিণতি দেখানো হয়েছে। চন্দ্রশেখর, প্রতাপ, মীরকাশিম, শৈবলিনী, দলনী প্রমুখ এই উপন্যাসের বিশিষ্ট চরিত্র। ‘চন্দ্রশেখর’ উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র ইতিহাস থেকে মীরকাশিম, ওয়ারেন হেস্টিংস প্রভৃতি চরিত্র গ্রহণ করে এর একটি ঐতিহাসিক রূপদানের চেষ্টা করলেও এটি হয়ে পড়েছে প্রতাপ ও শৈবলিনীর অপূর্ব প্রেমকাহিনী।

এই উপন্যাসে যেখানে ইতিহাস অনুপস্থিত লেখক সেখানে ইতিহাসের অনুকূল কাল্পনিক ঘটনার আশ্রয় নিয়েছেন। …. প্রতাপ শৈবলিনীর আকর্ষণ এবং শৈবলিনীর স্বামী চন্দ্রশেখরের আদর্শ চরিত্র এর প্রধান বক্তব্য।” ‘চন্দ্রশেখর’ উপন্যাসে প্রতাপ শৈবলিনীর বাল্য প্রেমের অপূর্ব চিত্র আঁকা হয়েছে সর্বপ্রথমে— “ভাগীরথীতীরে, আম্রকাননে বসিয়া একটি বালক ভাগীরথীর সান্ধ্য জনকল্লোল শ্রবণ করিতেছিল। তাহার পদতলে; নবদুর্বাশয্যায় শয়ন করিয়া, একটি ক্ষুদ্র বালিকা, নীরবে তাহার মুখপানে চাহিয়াছিল— চাহিয়া, চাহিয়া, চাহিয়া, আকাশ নদী বৃক্ষ, দেখিয়া আবার মুখপানে চাহিয়া রহিল। বালকের নাম প্রতাপ বালিকার নাম শৈবলিনী।

এইরূপে ভালোবাসা জন্মিল। …… বাল্যকালের ভালোবাসায় বুঝি কিছু অভিসম্পন্ন আছে। যাহাদের বাল্যকালে ভালোবাসিয়াছ, তাহাদের কয়জনের সঙ্গে যৌবনে দেখা সাক্ষাৎ হয় ? শৈবলিনী মনে মনে জানিত, প্রতাপের সহিত আমার বিবাহ হইবে। প্রতাপ জানিত বিবাহ হইবে না। শৈবলিনী জ্ঞাতিকন্যা সম্বন্ধ দূর বটে , কিন্তু জ্ঞাতি।”

■ বিষবৃক্ষ উপন্যাস:-

উত্তর:: ‘বিষবৃক্ষ’ বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা বিখ্যাত সামাজিক উপন্যাস। ১৮৭৩ খ্রীষ্টাব্দে এই উপন্যাস প্রকাশিত হয়। কুন্দনন্দিনী নামক বিধবাকে বিবাহ করবার জন্য নগেন্দ্রনাথের দাম্পত্য জীবন কিরূপে ধ্বংস হয়ে গেল, তা এই উপন্যাসের বিষয়বস্তু। নগেন্দ্রনাথ, সূর্যমুখী, কুন্দনন্দিনী প্রমুখ এই উপন্যাসের বিশিষ্ট চরিত্র। ‘বিষবৃক্ষ’ উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে ধনী বিবাহিত জমিদার নগেন্দ্রনাথের বাল্য-বিধব কুন্দনন্দিনীর প্রতি প্রেম ও তার পরিণাম। নগেন্দ্রনাথ তাঁর পত্নী সূর্যমুখীর প্রতি উদাসীন হে কুন্দনন্দিনীকে বিবাহ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর এ বিবাহ সুখের হয়নি বলেই কুন্দনন্দিনীকে বিষপানে আত্মহত্যা করতে হল।“ এতে নিষিদ্ধ কামনার উদ্দামতা আছে, চরিত্র দ্বন্দ্বও আছে। কিন্তু বিশুদ্ধ মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস হিসেবে এটি প্রথম হলেও উৎকৃষ্ট নয়। কারণ এতে বাস্তব ঘটনায় আঁকা চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের চেয়ে রোমান্টিক ধরনের ঘটনাবিন্যাস ও চরিত্রাঙ্কন অধিকতর প্রাধান্য পেয়েছে।”

‘বিষবৃক্ষ’ উপন্যাসে কুন্দনন্দিনীর সঙ্গে নগেন্দ্রনাথের প্রথম সাক্ষাতের বর্ণনায় বঙ্কিমচন্দ্র নিপুণ শিল্প দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন— “গৃহটি নিতান্ত সামান্য নহে। কিন্তু এখন তাহাতে সম্পদ লক্ষণ নাই। প্রকোষ্ঠ সকল ভগ্ন, মলিন, মনুষ্য সমাগমচিহ্ন বিরহিত কেবলমাত্র পেচক, মূষিক ও নানাবিধ কীট পতঙ্গাদি সমকীর্ণ। একটিমাত্র কক্ষে আলো জ্বলিতেছিল। সেই কক্ষমধ্যে নগেন্দ্রনাথ প্রবেশ করিলেন; দেখিলেন এক ছিন্নশয্যায় একজন প্রাচীন শয়ন করিয়া আছেন, দেখিয়া বোধ হয়, তাহার অন্তিমকাল উপস্থিত। চক্ষু ম্লান, নিশ্বাস প্রখর, ওষ্ঠ কিম্পিত। শয্যা পার্শ্বে গৃহচ্যুত ইষ্টক খন্ডের উপর একটি মৃন্ময় প্রদীপ, তাহাতে তৈলাভাব, শয্যোপয়িস্থ জীবন প্রদীপেও তাহাই। আর শয্যাপার্শ্বেও আর এক প্রদীপ ছিল — এক আনন্দিত গৌরকান্তি স্ত্রিব্ধ জ্যোতির্ম্ময়রূপিনী।”

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।