সংক্ষিপ্ত টীকা- চতুর্দশপদী কবিতাবলী, বীরাঙ্গনা কাব্য | Caturdasapadi Kabitabali

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Short Note- Caturdasapadi Kabitabali. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে চতুর্দশপদী কবিতাবলী, বীরাঙ্গনা কাব্য | Caturdasapadi Kabitabali

Ajjkal

চতুর্দশপদী কবিতাবলী, বীরাঙ্গনা কাব্য | Caturdasapadi Kabitabali

■ মধ্যসূদন দত্তের ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’:-

উত্তর:: ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ (১৮৬৬) মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত সনেট। বাংলা কাব্যে আগে সনেট ছিল না। মধুসূদন চতুর্দশপদী কবিতা রচনার মাধ্যমে প্রথমে সনেট নিয়ে এলেন। মধুসূদন যখন ফরাসী দেশে বাস করছিলেন, তখন তিনি এইসব সনেট রচনা করেন। এই সব সনেটে তিনি বাল্যস্মৃতি, জন্মভূমি, কপোতাক্ষ নদ, রামায়ণ, মহাভারত, বিদ্যাসাগর প্রভৃতির চিত্র অংকন করেছেন।

এই সকল গীতিকবিতার মধ্যে তাঁর ব্যক্তিসত্তার মুক্তি ঘটেছে। মধুসূদন যে চতুর্দশপদী কবিতাবলী রচনা করেছেন, সেগুলি বাংলা ভাষায় একমাত্র সার্থক সনেট। শতাধিক চতুর্দশপদী কবিতায় কতভাবেই না ব্যক্ত হয়েছে মধুসূদনের ব্যক্তি ও কবিজীবনের নিগূঢ় হৃদয়বার্তা যার মধ্যে দিয়ে তাঁর মনোজগতের সুস্পষ্ট পরিচয় ফুটে উটেছে। যেমন ইংরেজি ভাষা ত্যাগ করে বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর আকষর্ণের মূল সূত্র পাওয়া যা’র কবি মাতৃভাষায়’ নিজাগারে ছিল মোর অমূল্য রতন অগণ্য ! তা সবে আমি অবহেলা করি, অর্থ লোভে দেশে দেশে করিনু ভ্রমণ …… বঙ্গ কুল লক্ষ্মী মোরে নিশার স্বপনে কহিলা, ‘হে বৎস, দেখি তোমার ভকতি, সুপ্রসন্ন তব প্রতি দেবী সরস্বতী।

■ বীরাঙ্গনা কাব্য:-

উত্তর:: মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৬২ খ্রিষ্টাব্দে ‘বীরঙ্গনা’ কাব্যটি রচনা করেন। প্রখ্যাত ইতালীয় কবি Publious ovinus Nasso বা Ovid (খ্রিঃপূঃ ৪৩-১৮) এর Heroides কাব্যের অনুকরণে। বাংলা সাহিত্যে এটি প্রথম পত্রকাব্য। ভারতীয় পুরাণ, মহাকাব্য ও নাটক থেকে স্মরণীয় নারী চরিত্র নির্বাচন করে তাদের লেখা কল্পিত পত্রের মাধ্যমে প্রেম প্রীতি বিরহ যন্ত্রণা কাম প্রতিহিংসার সুন্দর চিত্র অংকন করেছেন।

১১ টি পত্রের মধ্যে তিনি ১১ টি নারীর জীবন্ত আলেখ্য নির্মাণ করেছেন। ‘সোমের প্রতি তারা’, ‘পুরুরবার প্রতি উর্বশী’, দশরথের প্রতি কৈকেয়ী’, ‘লক্ষ্মণের প্রতি শূর্পনখা’ প্রভৃতি পত্র এই কাব্যাংশে অতি উৎকৃষ্ট রচনা। শূর্পণখার পত্রে লক্ষণের প্রতি অনুরাগে ব্যক্ত হয়েছে তাঁর বৈধব্য জ্বালা “এস গুণানিধি – দেখ আমি, – এ মিনতি ও পদে। কায়ঃ মন প্রাণ আমি সঁপিব তোমারে। ভুক্ত আমি রাজাভোগ দাসীর আলয়ে।” বালির বিধবা স্ত্রী তারা লিখেছেন— “জনম মম মহাঋষি কুলে তবু চণ্ডালিনী আমি ? ফলিল কি এবে পরিমলাকারফুলে, হায়” ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ সম্পূর্ণ এক অভিনব সৃষ্টি।

এই কাব্যে ১১ টি সর্গে প্রেমাস্পদের উদ্দেশে লিখিত ১১ জন নায়িকার বক্তব্য পত্রকাব্যাকারে রচিত। শকুন্তলা, তারা, রুক্মিণী, কৈকেয়ী, দ্রৌপদী প্রমুখ নায়িকার অন্তরজ্বালা ফুটে উঠেছে প্রতিটি পত্রের মধ্যে। বালির বিধবা স্ত্রী তারার পত্র জনম মম মহাঋষি কুলে তবু চণ্ডালিনী আমি ? ফলিল কি এবে পরিমলাকরফুলে, হায়, হলাহল ? কোকিলের নীড়ে কি রে রাখিলি গোপনে কাক শিশু ? — কর্মমাশা-পাপ-প্রবাহিনী ? কেমনে পড়িল বহি জাহ্নবীর জলে।

■ অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থ:-

উত্তর:: ‘অগ্নিবীণা’ কাজী নজরুল ইসলামের লেখা একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়। এই কাব্যের বিভিন্ন কবিতার মধ্য দিয়ে কবি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, জীবন ও যৌবনের আবেগ প্রকাশ করেছেন। জীবন ও যৌবনের প্রমত্ত বন্ধনহীন উল্লাস এর মূল সুর। এই কাব্যের বিশিষ্ট কবিতা হল — প্রলয়োল্লাস , বিদ্রোহী, ধূমকেতু, কামাল পাশা, রণভেরী, শাতিল আরব, খেয়াপারের তরণী প্রভৃতি।

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।